ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

দামুড়হুদা ও জীবননগরে কৃষক জোটের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি পেশ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:১৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / ২৮ বার পড়া হয়েছে

সমীকরন ডেস্ক:

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা ও জীবননগরে মাটি পরীক্ষাগার স্থাপনসহ ৯ দফা দাবি সম্বলিত কৃষক জোটের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি পেশ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে ও রিসোর সহযোগিতায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)-এর নিকট এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

দামুড়হুদা:

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় কৃষি ও কৃষকের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধানের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলা কৃষক জোটের পক্ষ থেকে এই স্বারকলিপি প্রদান করা হয়।

দামুড়হুদা উপজেলার রিসো সংস্থার সহযোগিতায় পরিচালিত কৃষক জোটের সভাপতি ইমতিয়াজ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান উপস্থিত থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাসলিমা আক্তার ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বরাবর এই স্মারকলিপি দেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাছলিমা আক্তারের পক্ষে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুদীপ্ত সিংহ স্মারকলিপিটি গ্রহন করেন। পরে উপজেলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মনিরুজ্জামানের নিকট তার অফিসকক্ষে এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন জোটের সভাপতি আব্দুল আলিম, উপজেলা কৃষক জোটের অর্থ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, কুড়ুলগাছি ইউনিয়ন সভাপতি জামির হোসেন, সহসভাপতি নোয়াজেস আলি, কুড়ুলগাছি ইউনিয়ন জোটের সদস্য সবেদার আলি, সাইদুল ইসলাম প্রমুখ।

জীবননগর:

জীবননগর উপজেলা কৃষক জোটের ৯ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে ও রিসো এনজিওর সহযোগিতায় এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। জানা গেছে, জীবননগর উপজেলা চুয়াডাঙ্গা জেলার অন্যতম কৃষি প্রধান এলাকা। এই জেলার ৯৫ শতাংশ জনগণ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কৃষির উপর নির্ভরশীল। এ অঞ্চলের কৃষি ও কৃষকদের সমস্যা ও সমাধানে জীবননগর উপজেলা কৃষক জোট দীর্ঘদিন যাবত কাজ করে আসছে। স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কৃষক জোটের সভাপতি আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল, সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সদস্য আব্দুল কাদের, আকিমুল ইসলাম, আতিয়ার রহমান, সৈয়দ আলী, রাজেদুল ইসলাম, আ: খালেক, শরিফুল ইসলাম, আ: কাইয়ুব, রিসো এনজিওর সম্বয়কারী মশিউর রহমান, মনিটরিং অফিসার দারুল ইসলাম, ফিল্ড অর্গানাইজার হৃদয় আহম্মেদ ও নুরজাহান আক্তার।

৯ দফা দাবিগুলো হলো:

ক) ডিলারগণ অধিক মুনাফা লাভের উদ্দেশ্যে প্রায়ই কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে সরাসরি সার বিক্রয় না করে খুচরা বিক্রেতার মাধ্য উচ্চ মূল্যে বিক্রয় করে। সুতরাং সরকার নির্ধারিত মূল্যে সার প্রাপ্তি নিশ্চিত করা, ডিলার ও খুচরা বিক্রেতার দোকানে মুল্য তালিকা টাঙানো এবং ক্রেতা কৃষককে বিক্রয়কালীন রশিদ প্রদান নিশ্চিত করা।

খ) অধিকাংশ সার ডিলারের ইউনিয়ন পর্যায়ে নিজস্ব কোন বিক্রয় কেন্দ্র নেই। সে কারনে কৃষকদের উপজেলা সদরে গিয়ে সার কিনতে হয়। এমতাবস্থায় অবিলম্বে ইউনিয়ন পর্যায়ে নির্ধারিত ডিলারের বিক্রয় কেন্দ্র স্থাপন নিশ্চিত করাসহ ইউনিয়নে নূন্যতম তিনটি ব্লকে ৩ জন খুচরা বিক্রেতা নিয়োগ করে সার সরবরাহ নিশ্চিত করা।

গ) উচ্চ ভূমি ও শুষ্ক আবহাওয়ার কারনে অন্যান্য জেলার তুলনায় চুয়ডাঙ্গা জেলায় প্রায় একমাস আগে ফসলের চাষাবাদ শুরু হয়। ফলে সরকারি প্রনোদনাসহ অন্যান্য সহযোগিতা এই এলাকার কৃসকরা যথাসময়ে পয়না। এমতাবস্থায় অঞ্চল ভিত্তিক ফ্লেক্সিবল কৃষি ক্যালেন্ডার সম্পাদনা ও তদানুযায়ী সরকারের প্রনোদনাসহ অন্যান্য সহযোগিতা সময়মত সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য বিশেষ দাবী জানাচ্ছি।

ঙ) অধিকাংশ ইউনিয়নে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার পদ শুন্য রয়েছে। আবার কিছু বৃহত্তর ইউনিয়নকে একাধিক ইউনিয়নে বিভক্ত করায় সেখানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পদ সৃষ্টি করা হয়নি। উল্লেখিত ইউনিয়ন সমূহে প্রয়োজনীয় সংখ্যক উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার পদ সৃষ্টি এবং সকল শুন্যপদে নিয়োগের মাধ্যমে কৃষি পরিসেবা তরান্বিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

চ) কৃষকগণ সরকারি প্রণোদনাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বিষয়ক তথ্য জানেন না। সুতরাং সরকারী প্রণোদনাসহ কৃষি পরিসেবা বির্ষক যাবতীয় তথ্য ইউনিয়ন পরিষদে টাঙানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

ছ) চুয়াডাঙ্গা জেলায় মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার কোন ব্যবস্থা নেই যা এ অঞ্চলের কৃষির উন্নয়নে অন্যতম অন্তরায়। সুতরাং মাটি পরীক্ষাগার স্থাপন সাপেক্ষে মাটির গুনাগুন বৃদ্ধির পরামর্শ দেওয়ার ব্যবস্থা করা।

জ) বাংলাদেশের অনেক স্থানে সরকারি উদ্যোগে সমন্বিত সেচ ব্যবস্থা নেই যা এ অঞ্চলের কৃষির উন্নয়নে অন্যতম অন্তরায়। সুতরাং মাটি পরীক্ষাগার স্থাপন সাপেক্ষে মাটির গুনাগুন বৃদ্ধির পরামর্শ দেওয়ার ব্যবস্থা করা।

ঝ) বাংলাদেশের অনেক স্থানে সরকারি উদ্যোগে সমন্বিত সেচ ব্যবস্থার প্রচলন রয়েছে, যা কৃষি প্রধান চুয়ডাঙ্গা জেলায় নেই। সুতরাং কৃষি প্রধান চুয়াডাঙ্গা জেলায় পানির অপচয় রোধে, কম খরচে সরকারী উদ্যোগে সমন্বিত সেচ ব্যবস্থা গড়ে তোলা।

ঞ) ঝড়-বজ্রবৃষ্টির সময় মাঠে কোন আশ্রয় কেন্দ্র না থাকায় প্রতি বছর বজ্রপাতে অনেক কৃষকের প্রাণহানি ঘটে।

ইতিমধ্যে আমরা অবগত হয়েছি দামুড়হুদা উপজেলায় ৮টি শেড স্থাপন করা হয়েছে যা পর্যাপ্ত নয়। সুতরাং বজ্রপাতের হাত থেকে রক্ষার জন্য জীবননগর উপজেলার সকল ফসলের মাঠে বজ্রপাত নিরোধী শেড নির্মাণ করা। কৃষকজোটের দাবী গৃহীত উদ্যোগ কৃষি ও কৃষকের সমস্যা সমাধানসহ এ অঞ্চলের টেকসই কৃষি উন্নয়নকে তরান্বিত করবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

দামুড়হুদা ও জীবননগরে কৃষক জোটের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি পেশ

আপলোড টাইম : ০৪:১৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২২

সমীকরন ডেস্ক:

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা ও জীবননগরে মাটি পরীক্ষাগার স্থাপনসহ ৯ দফা দাবি সম্বলিত কৃষক জোটের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি পেশ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে ও রিসোর সহযোগিতায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)-এর নিকট এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

দামুড়হুদা:

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় কৃষি ও কৃষকের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধানের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলা কৃষক জোটের পক্ষ থেকে এই স্বারকলিপি প্রদান করা হয়।

দামুড়হুদা উপজেলার রিসো সংস্থার সহযোগিতায় পরিচালিত কৃষক জোটের সভাপতি ইমতিয়াজ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান উপস্থিত থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাসলিমা আক্তার ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বরাবর এই স্মারকলিপি দেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাছলিমা আক্তারের পক্ষে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুদীপ্ত সিংহ স্মারকলিপিটি গ্রহন করেন। পরে উপজেলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মনিরুজ্জামানের নিকট তার অফিসকক্ষে এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন জোটের সভাপতি আব্দুল আলিম, উপজেলা কৃষক জোটের অর্থ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, কুড়ুলগাছি ইউনিয়ন সভাপতি জামির হোসেন, সহসভাপতি নোয়াজেস আলি, কুড়ুলগাছি ইউনিয়ন জোটের সদস্য সবেদার আলি, সাইদুল ইসলাম প্রমুখ।

জীবননগর:

জীবননগর উপজেলা কৃষক জোটের ৯ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে ও রিসো এনজিওর সহযোগিতায় এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। জানা গেছে, জীবননগর উপজেলা চুয়াডাঙ্গা জেলার অন্যতম কৃষি প্রধান এলাকা। এই জেলার ৯৫ শতাংশ জনগণ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কৃষির উপর নির্ভরশীল। এ অঞ্চলের কৃষি ও কৃষকদের সমস্যা ও সমাধানে জীবননগর উপজেলা কৃষক জোট দীর্ঘদিন যাবত কাজ করে আসছে। স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কৃষক জোটের সভাপতি আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল, সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সদস্য আব্দুল কাদের, আকিমুল ইসলাম, আতিয়ার রহমান, সৈয়দ আলী, রাজেদুল ইসলাম, আ: খালেক, শরিফুল ইসলাম, আ: কাইয়ুব, রিসো এনজিওর সম্বয়কারী মশিউর রহমান, মনিটরিং অফিসার দারুল ইসলাম, ফিল্ড অর্গানাইজার হৃদয় আহম্মেদ ও নুরজাহান আক্তার।

৯ দফা দাবিগুলো হলো:

ক) ডিলারগণ অধিক মুনাফা লাভের উদ্দেশ্যে প্রায়ই কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে সরাসরি সার বিক্রয় না করে খুচরা বিক্রেতার মাধ্য উচ্চ মূল্যে বিক্রয় করে। সুতরাং সরকার নির্ধারিত মূল্যে সার প্রাপ্তি নিশ্চিত করা, ডিলার ও খুচরা বিক্রেতার দোকানে মুল্য তালিকা টাঙানো এবং ক্রেতা কৃষককে বিক্রয়কালীন রশিদ প্রদান নিশ্চিত করা।

খ) অধিকাংশ সার ডিলারের ইউনিয়ন পর্যায়ে নিজস্ব কোন বিক্রয় কেন্দ্র নেই। সে কারনে কৃষকদের উপজেলা সদরে গিয়ে সার কিনতে হয়। এমতাবস্থায় অবিলম্বে ইউনিয়ন পর্যায়ে নির্ধারিত ডিলারের বিক্রয় কেন্দ্র স্থাপন নিশ্চিত করাসহ ইউনিয়নে নূন্যতম তিনটি ব্লকে ৩ জন খুচরা বিক্রেতা নিয়োগ করে সার সরবরাহ নিশ্চিত করা।

গ) উচ্চ ভূমি ও শুষ্ক আবহাওয়ার কারনে অন্যান্য জেলার তুলনায় চুয়ডাঙ্গা জেলায় প্রায় একমাস আগে ফসলের চাষাবাদ শুরু হয়। ফলে সরকারি প্রনোদনাসহ অন্যান্য সহযোগিতা এই এলাকার কৃসকরা যথাসময়ে পয়না। এমতাবস্থায় অঞ্চল ভিত্তিক ফ্লেক্সিবল কৃষি ক্যালেন্ডার সম্পাদনা ও তদানুযায়ী সরকারের প্রনোদনাসহ অন্যান্য সহযোগিতা সময়মত সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য বিশেষ দাবী জানাচ্ছি।

ঙ) অধিকাংশ ইউনিয়নে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার পদ শুন্য রয়েছে। আবার কিছু বৃহত্তর ইউনিয়নকে একাধিক ইউনিয়নে বিভক্ত করায় সেখানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পদ সৃষ্টি করা হয়নি। উল্লেখিত ইউনিয়ন সমূহে প্রয়োজনীয় সংখ্যক উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার পদ সৃষ্টি এবং সকল শুন্যপদে নিয়োগের মাধ্যমে কৃষি পরিসেবা তরান্বিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

চ) কৃষকগণ সরকারি প্রণোদনাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বিষয়ক তথ্য জানেন না। সুতরাং সরকারী প্রণোদনাসহ কৃষি পরিসেবা বির্ষক যাবতীয় তথ্য ইউনিয়ন পরিষদে টাঙানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

ছ) চুয়াডাঙ্গা জেলায় মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার কোন ব্যবস্থা নেই যা এ অঞ্চলের কৃষির উন্নয়নে অন্যতম অন্তরায়। সুতরাং মাটি পরীক্ষাগার স্থাপন সাপেক্ষে মাটির গুনাগুন বৃদ্ধির পরামর্শ দেওয়ার ব্যবস্থা করা।

জ) বাংলাদেশের অনেক স্থানে সরকারি উদ্যোগে সমন্বিত সেচ ব্যবস্থা নেই যা এ অঞ্চলের কৃষির উন্নয়নে অন্যতম অন্তরায়। সুতরাং মাটি পরীক্ষাগার স্থাপন সাপেক্ষে মাটির গুনাগুন বৃদ্ধির পরামর্শ দেওয়ার ব্যবস্থা করা।

ঝ) বাংলাদেশের অনেক স্থানে সরকারি উদ্যোগে সমন্বিত সেচ ব্যবস্থার প্রচলন রয়েছে, যা কৃষি প্রধান চুয়ডাঙ্গা জেলায় নেই। সুতরাং কৃষি প্রধান চুয়াডাঙ্গা জেলায় পানির অপচয় রোধে, কম খরচে সরকারী উদ্যোগে সমন্বিত সেচ ব্যবস্থা গড়ে তোলা।

ঞ) ঝড়-বজ্রবৃষ্টির সময় মাঠে কোন আশ্রয় কেন্দ্র না থাকায় প্রতি বছর বজ্রপাতে অনেক কৃষকের প্রাণহানি ঘটে।

ইতিমধ্যে আমরা অবগত হয়েছি দামুড়হুদা উপজেলায় ৮টি শেড স্থাপন করা হয়েছে যা পর্যাপ্ত নয়। সুতরাং বজ্রপাতের হাত থেকে রক্ষার জন্য জীবননগর উপজেলার সকল ফসলের মাঠে বজ্রপাত নিরোধী শেড নির্মাণ করা। কৃষকজোটের দাবী গৃহীত উদ্যোগ কৃষি ও কৃষকের সমস্যা সমাধানসহ এ অঞ্চলের টেকসই কৃষি উন্নয়নকে তরান্বিত করবে।