দামুড়হুদার হাতিভাঙ্গায় মশার কয়েল থেকে গোয়াল ঘরে অগ্নিকাণ্ড; দুই গরুর মৃত্যু
- আপলোড টাইম : ০৯:৪০:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ মার্চ ২০২২
- / ২৯ বার পড়া হয়েছে
প্রতিবেদক, দামুড়হুদা:
দামুড়হুদা উপজেলার হাতিভাঙ্গায় মশার কয়েল থেকে গরুর গোয়ালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আগুনে পুড়ে দুটি বড় গরুর মৃত্যু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় প্রায় ২ লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। গরুসহ ঘরের জিনিসপত্র পুড়ে যাওয়ায় দিশাহারা হয়ে পড়েছেন ভুক্তভোগী বিধবা বিলকিস খাতুন। দুর্ঘটনায় খবর পেয়ে আর্থিক অনুদান দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইএনও) তাসলিমা আক্তার। এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ভুক্তভোগীকে আর্থিক সহযোগিতা করেছেন দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী।
জানা যায়, দামুড়হুদা উপজেলার হাতিভাঙ্গা গ্রামের মৃত তাহের আলীর স্ত্রী বিলকিস খাতুন প্রতিদিনের ন্যায় গরুর গোয়ালে মশার কয়েল ধরিয়ে দিয়ে ঘুমাতে যান। গভীর রাতে হঠাৎ গোয়াল ঘরে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে। পরে তাঁর চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এসে গরু দুটি বাঁচনোর চেষ্টা করে। অনেক চেষ্টার পর এলাকাবাসী আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলেও গরু দুটি বাঁচানো যায়নি। একমাত্র সম্বল হারিয়ে বিলকিস খাতুন দিশাহারা হয়ে পড়েছেন।
এ বিষয় বিলকিস খাতুন কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, ‘আমার স্বামী ছয় মাস আগে মারা গেছে। আমি বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে অনেক কষ্টে দুটি বাছুর গরু কিনেছিলাম। এক বেলা খেয়ে না খেয়ে গরুগুলো লালন-পালন করেছি। আমার একি সর্বনাশ হলো। আমি এখন কী নিয়ে বাঁচব।’
স্থানীয় মেম্বার কামরুল হাসান জানান, ‘আসলে বিলকিস খাতুন খুব গরিব মানুষ। বসত করার মতো ভিটে জমিও নেই। আগুনে পুড়ে দুটি গরু মারা গেল। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।’
দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী বলেন, ‘ঘটনাটি শোনার পরপরই আমি হাতিভাঙ্গা গ্রামে যায়। আসলেই মেয়েটি খুব গরীব এবং অসহায়। আগুনে পুড়ে তার একমাত্র সম্বল দুটি গরু মারা গেছে। সেই সাথে অন্যান্য জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তার যা ক্ষতি হয়েছে, তা অপূরণীয়। আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে আমি তাকে ৫ হাজার টাকা আর্থিক সহযোগিতা করেছি। আমার ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে যতটুকু সহযোগিতা করতে পারি, আমি করব।’
এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তাসলিমা আক্তার বলেন, ‘ঘটনাটি আমি শুনেছি। সরকারিভাবে যতটুকু সহযোগিতা করা সম্ভব হয়, আমরা তার জন্য করব।’