ইপেপার । আজ বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

দামুড়হুদায় চাষের আওতায় আসছে প্রায় দুই হাজার বিঘা জমি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৫৯:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ জুন ২০২৩
  • / ১৮ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক, কার্পাসডাঙ্গা:
‘এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবে না’ প্রধানমন্ত্রীর এমন নির্দেশনায় দামুড়হুদায় প্রায় দুই হাজার বিঘা জমি দুই ফসল (ধান) উৎপাদনের আওতায় আনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। জলাবদ্ধ এই জমি চাষের আওতায় আনতে প্রয়োজন প্রায় দুই কিলোমিটার ড্রেনের। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রোকসানা মিতা, উপজেলা কৃষি অফিসার মনিরুজ্জামান, সদর ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী প্রমুখ গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে জলাবদ্ধ বিলসহ ড্রেন নির্মাণ এলাকা পরিদর্শন করেন।

জানা গেছে, দামুড়হুদায় আব্দুল ওদুদ শাহ্ ডিগ্রি কলেজের পেছন থেকে উজিরপুর পর্যন্ত সোলাগাড়ি ও দোবিল এলাকায় প্রায় ২ হাজার বিঘা জমি সারা বছর জলাবদ্ধ হয়ে থাকে। বিলের কিনারায় সামান্য পরিমাণ জমিতে একটি ধানের চাষ হলেও প্রায় ২ হাজার বিঘা জমিতে থাকে জলাবদ্ধ। দুই কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ করে মাথাভাঙ্গা নদীতে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হলে সব জমিতে দুটি ফসল (ধান) উৎপাদন করা সম্ভব হবে।

এ বিষয় নিয়ে ৭ মাস আগে ওই বিলের জমির মালিক দীন মোহাম্মদ, আব্দুর রাজ্জাকসহ বেশ কয়েকজন কৃষক উপজেলা কৃষি অফিসার মনিরুজামানের সঙ্গে আলোচনা করেন। চলতি বছরের ২৭ মার্চ চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষক জোটের সভাপতি অধ্যক্ষ শাজাহান খাঁন, সাধারণ সম্পাদক দিদারুল ইসলাম ও কৃষক দীন মোহাম্মদ জেলা প্রশাসক বরাবর জমিগুলো চাষের আওতায় আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আবেদন করেন। বিষয়টি জেলা প্রশাসক দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতাকে দেখার জন্য বলেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা গতকাল শুক্রবার সরেজমিনে ওই বিল ও ড্রেন নির্মাণের স্থান পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সদর ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলীকে কৃষকদের নিয়ে বসে সকলের মতামতের ভিত্তিতে একটি নকশা তৈরি করার জন্য বলেন। নকশা তৈরির পর পরবর্তী করণীয় বিষয় গ্রহণ করা হরে বলে জানান তিনি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষক জোটের সভাপতি অধ্যক্ষ শাজাহান আলী খান, সাধারণ সম্পাদক দিদারুল ইসলাম, উপজেলা কৃষক জোটের সভাপতি ইমতিয়াজ হোসেন, উপজেলা সিআইজির সভাপতি ও দামুড়হুদা সদর ইউপির সদস্য সামসুল ইসলাম, চাষাবাদ প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মশিউর রহমান, উপসহকারী প্রকৌশলী দিদারুল ইসলাম, কৃষক নজরুল ইসলাম, রাজ্জাক আলি ও মুনছুর আলী।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

দামুড়হুদায় চাষের আওতায় আসছে প্রায় দুই হাজার বিঘা জমি

আপলোড টাইম : ০৮:৫৯:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ জুন ২০২৩

প্রতিবেদক, কার্পাসডাঙ্গা:
‘এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবে না’ প্রধানমন্ত্রীর এমন নির্দেশনায় দামুড়হুদায় প্রায় দুই হাজার বিঘা জমি দুই ফসল (ধান) উৎপাদনের আওতায় আনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। জলাবদ্ধ এই জমি চাষের আওতায় আনতে প্রয়োজন প্রায় দুই কিলোমিটার ড্রেনের। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রোকসানা মিতা, উপজেলা কৃষি অফিসার মনিরুজ্জামান, সদর ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী প্রমুখ গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে জলাবদ্ধ বিলসহ ড্রেন নির্মাণ এলাকা পরিদর্শন করেন।

জানা গেছে, দামুড়হুদায় আব্দুল ওদুদ শাহ্ ডিগ্রি কলেজের পেছন থেকে উজিরপুর পর্যন্ত সোলাগাড়ি ও দোবিল এলাকায় প্রায় ২ হাজার বিঘা জমি সারা বছর জলাবদ্ধ হয়ে থাকে। বিলের কিনারায় সামান্য পরিমাণ জমিতে একটি ধানের চাষ হলেও প্রায় ২ হাজার বিঘা জমিতে থাকে জলাবদ্ধ। দুই কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ করে মাথাভাঙ্গা নদীতে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হলে সব জমিতে দুটি ফসল (ধান) উৎপাদন করা সম্ভব হবে।

এ বিষয় নিয়ে ৭ মাস আগে ওই বিলের জমির মালিক দীন মোহাম্মদ, আব্দুর রাজ্জাকসহ বেশ কয়েকজন কৃষক উপজেলা কৃষি অফিসার মনিরুজামানের সঙ্গে আলোচনা করেন। চলতি বছরের ২৭ মার্চ চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষক জোটের সভাপতি অধ্যক্ষ শাজাহান খাঁন, সাধারণ সম্পাদক দিদারুল ইসলাম ও কৃষক দীন মোহাম্মদ জেলা প্রশাসক বরাবর জমিগুলো চাষের আওতায় আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আবেদন করেন। বিষয়টি জেলা প্রশাসক দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতাকে দেখার জন্য বলেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা গতকাল শুক্রবার সরেজমিনে ওই বিল ও ড্রেন নির্মাণের স্থান পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সদর ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলীকে কৃষকদের নিয়ে বসে সকলের মতামতের ভিত্তিতে একটি নকশা তৈরি করার জন্য বলেন। নকশা তৈরির পর পরবর্তী করণীয় বিষয় গ্রহণ করা হরে বলে জানান তিনি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষক জোটের সভাপতি অধ্যক্ষ শাজাহান আলী খান, সাধারণ সম্পাদক দিদারুল ইসলাম, উপজেলা কৃষক জোটের সভাপতি ইমতিয়াজ হোসেন, উপজেলা সিআইজির সভাপতি ও দামুড়হুদা সদর ইউপির সদস্য সামসুল ইসলাম, চাষাবাদ প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মশিউর রহমান, উপসহকারী প্রকৌশলী দিদারুল ইসলাম, কৃষক নজরুল ইসলাম, রাজ্জাক আলি ও মুনছুর আলী।