ইপেপার । আজ রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪

দর্শনা-হিজলগাড়ি সড়কের প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:২০:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ২২ বার পড়া হয়েছে

দর্শনা অফিস:
দর্শনা-হিজলগাড়ি সড়কের বাসস্ট্যান্ড থেকে দক্ষিণ চাঁদপুর ১ নম্বর ওয়ার্ডের পৌর বাউন্ডারি পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তার বেহল দশা। এ সড়ক দিয়ে চলাচলরত ছোট-বড় যানবাহনের প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা।

জানা গেছে, চার বছর আগে দর্শনা পৌর এলাকার দক্ষিণ চাঁদপুর হল্ট স্টেশন থেকে পৌর এলাকার শেষ বাউন্ডারি পর্যন্ত জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মনজুর উদ্যোগে এলজিডি কর্তৃক ঠিকাদারের মাধ্যমে রাস্তাটি সংস্কার করা হয়। কিন্তু দুই পাশের উঁচু স্থাপনায় নিচু সড়কের পাশে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় রাস্তায় পানি জমে খানা-খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। যা বর্তমানে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে।

স্থানীয়রা জানান, দর্শনা-হিজলগাড়ি সড়কটি দিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নেহালপুর, বেগমপুর, তিতুদহ ইউনিয়নের সকল গ্রামের মানুষের চলাচল। দর্শনা থানা হওয়ার পর আরও বেশি মানুষের চলাচল হয় দর্শনা অভিমুখে। বিভিন্ন মালামাল ভর্তি ট্রাক, আলমসাধু ও পাওয়ারট্রলি অতিরিক্ত চলাচলের কারণে বছর দুয়েক আগে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সড়কটি। পরে স্থানীয়রা নিজেদের অর্থে বিভিন্ন সময় ইটের রাবিশ, বালি ও ভাঙ্গা ইট দিয়ে চলাচলের উপযোগী করে আসছিল। কিন্তু বর্তমানে কয়েকদিনের ভারি বর্ষনে পানি জমে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে চলাচল বন্ধের উপক্রম প্রায়।

এ বিষয়ে দর্শনা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর খালেকুজ্জামান বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত সড়কটি সম্পর্কে এলজিডি কর্তৃপক্ষের কাছে জেনেছি, রাস্তাটি সংস্কারের জন্য পরিমাপ শেষে টেন্ডার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তবে অল্প সময়ের মধ্যে সড়কটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণ হিসেবে দক্ষিণ চাঁদপুর ছটাঙ্গা মাঠের অবৈধ বালি ব্যবসায়ীদের দায়ী করেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর খালেক। এ বিষয়ে দর্শনা পৌরসভার মেয়র মতিয়ার রহমানের সাথে কথা বলতে গেলে তিনি অসুস্থ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে এলজিইডির দামুড়হুদা উপজেলা প্রকৌশলী খালিদ হোসেন জানান, সড়কটির দর্শনা হল্ট স্টেশন রেল গেইট থেকে পৌরসভার শেষ সীমানা পর্যন্ত খুবই খারাপ অবস্থা। মাপামাপি শেষে অনুমোদন হয়েছে, দ্রুতগতিতে টেন্ডার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। সড়কটি বর্তমানে ১২ ফুট চওড়া আছে কিন্তু সড়কটি কার্পেটিং ও বর্ধিতকরণের জন্য অনুমোদন হয়েছে ১৮ ফুটের। এই বৈরি আবহাওয়া পার হলেই ৪০-৪৫ দিনের মধ্যে নির্মাণকাজের অনুমোদন দেওয়া হতে পারে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

দর্শনা-হিজলগাড়ি সড়কের প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা

আপলোড টাইম : ০৮:২০:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

দর্শনা অফিস:
দর্শনা-হিজলগাড়ি সড়কের বাসস্ট্যান্ড থেকে দক্ষিণ চাঁদপুর ১ নম্বর ওয়ার্ডের পৌর বাউন্ডারি পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তার বেহল দশা। এ সড়ক দিয়ে চলাচলরত ছোট-বড় যানবাহনের প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা।

জানা গেছে, চার বছর আগে দর্শনা পৌর এলাকার দক্ষিণ চাঁদপুর হল্ট স্টেশন থেকে পৌর এলাকার শেষ বাউন্ডারি পর্যন্ত জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মনজুর উদ্যোগে এলজিডি কর্তৃক ঠিকাদারের মাধ্যমে রাস্তাটি সংস্কার করা হয়। কিন্তু দুই পাশের উঁচু স্থাপনায় নিচু সড়কের পাশে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় রাস্তায় পানি জমে খানা-খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। যা বর্তমানে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে।

স্থানীয়রা জানান, দর্শনা-হিজলগাড়ি সড়কটি দিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নেহালপুর, বেগমপুর, তিতুদহ ইউনিয়নের সকল গ্রামের মানুষের চলাচল। দর্শনা থানা হওয়ার পর আরও বেশি মানুষের চলাচল হয় দর্শনা অভিমুখে। বিভিন্ন মালামাল ভর্তি ট্রাক, আলমসাধু ও পাওয়ারট্রলি অতিরিক্ত চলাচলের কারণে বছর দুয়েক আগে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সড়কটি। পরে স্থানীয়রা নিজেদের অর্থে বিভিন্ন সময় ইটের রাবিশ, বালি ও ভাঙ্গা ইট দিয়ে চলাচলের উপযোগী করে আসছিল। কিন্তু বর্তমানে কয়েকদিনের ভারি বর্ষনে পানি জমে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে চলাচল বন্ধের উপক্রম প্রায়।

এ বিষয়ে দর্শনা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর খালেকুজ্জামান বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত সড়কটি সম্পর্কে এলজিডি কর্তৃপক্ষের কাছে জেনেছি, রাস্তাটি সংস্কারের জন্য পরিমাপ শেষে টেন্ডার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তবে অল্প সময়ের মধ্যে সড়কটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণ হিসেবে দক্ষিণ চাঁদপুর ছটাঙ্গা মাঠের অবৈধ বালি ব্যবসায়ীদের দায়ী করেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর খালেক। এ বিষয়ে দর্শনা পৌরসভার মেয়র মতিয়ার রহমানের সাথে কথা বলতে গেলে তিনি অসুস্থ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে এলজিইডির দামুড়হুদা উপজেলা প্রকৌশলী খালিদ হোসেন জানান, সড়কটির দর্শনা হল্ট স্টেশন রেল গেইট থেকে পৌরসভার শেষ সীমানা পর্যন্ত খুবই খারাপ অবস্থা। মাপামাপি শেষে অনুমোদন হয়েছে, দ্রুতগতিতে টেন্ডার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। সড়কটি বর্তমানে ১২ ফুট চওড়া আছে কিন্তু সড়কটি কার্পেটিং ও বর্ধিতকরণের জন্য অনুমোদন হয়েছে ১৮ ফুটের। এই বৈরি আবহাওয়া পার হলেই ৪০-৪৫ দিনের মধ্যে নির্মাণকাজের অনুমোদন দেওয়া হতে পারে।