ইপেপার । আজ রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪

দর্শনা কেরু মিলজোন এলাকার মডেল প্রকল্প পরিদর্শনকালে শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০১:৫১:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ২৪ বার পড়া হয়েছে

ওয়াসিম রয়েল: চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় অবস্থিত দেশের ঐতিহ্যবাহী ভারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান কেরু অ্যান্ড কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড পরিদর্শন করেছেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা। গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আড়িয়া গ্রামের মাঠে বিএসএফআইসি ও বিএটি বাংলাদেশের যৌথ প্রচেষ্টায় আখের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প পরিদর্শন করেন। পরে, কেরুজ আড়িয়া কৃষি খামার পরিদর্শন শেষে আকন্দবাড়িয়া পরীক্ষামূলক খামারে ২০২২-২৩ মৌসুমের আখ রোপনের উদ্ধোধন করেন তিনি। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ডিস্টিলারি কারখানা, কেরুজ ফার্মাসিটিক্যাল ও বিএমআর কার্যক্রম বিষয় পরিদর্শন শেষে গেস্ট হাউসে চিনিকল কর্মকর্তাদের সাথে কেরুজ সার্বিক পরামর্শমূলক আলোচনা করেন।

মডেল প্রকল্প পরিদর্শনকালে বাংলাদেশ সরকারের শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, আখের উৎপাদন বৃদ্ধিতে আখের বিক্রি মূল্য মণপ্রতি ১৮০টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। মূল্য বৃদ্ধির ফলে আখাচাষীদের আগ্রহ ফিরবে। এতে দেশের চিনি শিল্প ঘুরে দাড়াবে। আখের জাত প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে গুণগতমানসম্পন্ন আখ উৎপাদনে সহায়তা এবং উদ্বুদ্ধকরণে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন এর সঙ্গে বিএটি বাংলাদেশ একযোগে কাজ করে চলেছে। সম্ভাবনাময় এই শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে আমরা বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি যার মধ্যে এই টেকসই মডেল প্রকল্পটি অন্যতম। এ ধরনের উদ্যোগ দেশজুড়ে সম্প্রসারণ করা গেলে দেশের প্রান্তিক চাষী আখ চাষে উদ্বুদ্ধ হবে এবং ফলস্বরূপ চিনি কলগুলোতে পুনরায় গতির সঞ্চার হবে বলে আমার বিশ্বাস।

বিএসএফআইসি’র চেয়ারম্যান মো. আরিফুর রহমান অপু বলেন, ‘চিনির উপর আমদানি নির্ভরতা কমাতে টেকসই কৃষি ব্যবস্থার কোনো বিকল্প নেই। বিএটি বাংলাদেশ এর মাধ্যমে করা এই প্রকল্পে আমরা যে সফলতা পেয়েছি তা আমরা কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাই, যাতে করে তারা সামনের দিনগুলোতে আখ চাষে আরো উদ্বুদ্ধ হয়।

বিএটি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান গোলাম মইন উদ্দিন বলেন, এই অঞ্চলে ১১২ বছর ধরে আমরা ব্যবসায় পরিচালনা করে আসছি। আমাদের উত্তম কৃষি পদ্ধতির ব্যবহারে আমরা উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সক্ষম হয়েছি যা অত্যন্ত গর্বের। শিল্প মন্ত্রণালয় ও বিএসএফআইসিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাদের এরকম একটি সম্ভাবনাময় শিল্পে কাজের সুযোগ করে দেয়ার জন্য। বাংলাদেশের সামগ্রিক ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা অর্জনের জন্য সরকার ও বেসরকারি খাতের সমন্বয় সাধন ও নতুন নতুন উন্নয়নমূলক উদ্যোগ গ্রহণের বিকল্প নেই। সফল এই প্রকল্প থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিয়ে আখের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারলে অদূর ভবিষ্যতে আমদানি নির্ভরতা কাটিয়ে চিনি শিল্প সগৌরবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সক্ষম হবে।।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান, কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু তারেক, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সানজিদা বেগম, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবিএম তারিকুজ্জামান, কেরুজ জিএম (অর্থ) সাইফুল ইসলাম, জিএম (ডিস্টিলারি) ফিদা হাসান বাদশা, জিএম (ফ্যাক্টরি) সুমন কুমার সাহা, জিএম (কৃষি) আশরাফুল আলম ভূঁইয়া, মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) শেখ শাহাব উদ্দিন, বিএটি-এর হেড অফ লিগ্যাল এন্ড এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স মুবিনা আসাফ, হেড অফ এক্সটার্নাল এফেয়ার্স শেখ শাবাব আহমেদ, হেড অফ পাবলিক এ্যাফেয়ার্স ও কোম্পানি সেক্রেটারি আজিজুর রহমান এফসিএস, ডিভিশনাল লীফ ম্যানেজার ভেলায়েত আলী আহসান, কেরুর উপ-ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মাসুদ রেজা, দর্শনা কেরুজ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ সবুজ, সাধারন সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ। তারা এ সময় স্থানীয় চাষী, মিল কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের সাথে আখের এই নতুন সম্ভাবনাময় উৎপাদন কলাকৌশল বিষয়ে মতবিনিময় ও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ শিল্প মন্ত্রণালয় দেশের চিনি শিল্পকে লাভজনক করে তুলতে নানাবিধ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্প মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি) এর সময়োপযোগী দিক নির্দেশনায় গতবছর বিএটি বাংলাদেশ প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক কৃষি পদ্ধতি প্রয়োগের মাধ্যমে আখের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি টেকসই মডেল প্রকল্প গ্রহণ করে। বিএটি বাংলাদেশ গত ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে একর প্রতি ১৯ মেট্রিক টন আখের ফলনের পরিবর্তে দ্বিগুণ ফলনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এই টেকসই মডেলের কাজ শুরু করে। মডেল প্রকল্পের আওতায় কেরু এন্ড কোং সুগার মিল, মোবারকগঞ্জ সুগার মিল, জয়পুরহাট সুগার মিল, নর্থ বেঙ্গল সুগার মিল ও নাটোর সুগার মিলের আওতাধীন মোট ৩০ একর জমি চাষীদের মাধ্যমে বর্গা নিয়ে উত্তম কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করে আখের আবাদ শুরু করে। এই মডেল প্রকল্পের আওতায় চাষীরা আধুনিক পদ্ধতিতে জমি তৈরী, বীজ সংগ্রহ, ভালো বীজ বাছাইকরণ, পরিমিত সার প্রয়োগ ও চারা রোপণ করা বিষয়ক সম্যক ধারণা লাভ করে। এর পাশাপাশি চাষীরা বিভিন্ন কৃষি পরামর্শ, জমির আগাছা নিধন, ঝাড় বাধা, সঠিকমাত্রায় সার ও কীটনাশকের প্রয়োগের বিষয়ে সময়মতো নির্দেশনা লাভ করে থাকে। এছাড়া প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পুরো মৌসুমব্যাপী কৃষি প্রশিক্ষণ, ওয়েব ভিত্তিক বার্তা প্রেরণের (বন্ধুসেবা) মাধ্যমে এই প্রকল্প পূর্বের চেয়ে দ্বিগুনেরও বেশি ফলনের ব্যাপারে অনেকটাই নিশ্চিত করতে পেরেছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

দর্শনা কেরু মিলজোন এলাকার মডেল প্রকল্প পরিদর্শনকালে শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা

আপলোড টাইম : ০১:৫১:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

ওয়াসিম রয়েল: চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় অবস্থিত দেশের ঐতিহ্যবাহী ভারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান কেরু অ্যান্ড কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড পরিদর্শন করেছেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা। গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আড়িয়া গ্রামের মাঠে বিএসএফআইসি ও বিএটি বাংলাদেশের যৌথ প্রচেষ্টায় আখের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প পরিদর্শন করেন। পরে, কেরুজ আড়িয়া কৃষি খামার পরিদর্শন শেষে আকন্দবাড়িয়া পরীক্ষামূলক খামারে ২০২২-২৩ মৌসুমের আখ রোপনের উদ্ধোধন করেন তিনি। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ডিস্টিলারি কারখানা, কেরুজ ফার্মাসিটিক্যাল ও বিএমআর কার্যক্রম বিষয় পরিদর্শন শেষে গেস্ট হাউসে চিনিকল কর্মকর্তাদের সাথে কেরুজ সার্বিক পরামর্শমূলক আলোচনা করেন।

মডেল প্রকল্প পরিদর্শনকালে বাংলাদেশ সরকারের শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, আখের উৎপাদন বৃদ্ধিতে আখের বিক্রি মূল্য মণপ্রতি ১৮০টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। মূল্য বৃদ্ধির ফলে আখাচাষীদের আগ্রহ ফিরবে। এতে দেশের চিনি শিল্প ঘুরে দাড়াবে। আখের জাত প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে গুণগতমানসম্পন্ন আখ উৎপাদনে সহায়তা এবং উদ্বুদ্ধকরণে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন এর সঙ্গে বিএটি বাংলাদেশ একযোগে কাজ করে চলেছে। সম্ভাবনাময় এই শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে আমরা বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি যার মধ্যে এই টেকসই মডেল প্রকল্পটি অন্যতম। এ ধরনের উদ্যোগ দেশজুড়ে সম্প্রসারণ করা গেলে দেশের প্রান্তিক চাষী আখ চাষে উদ্বুদ্ধ হবে এবং ফলস্বরূপ চিনি কলগুলোতে পুনরায় গতির সঞ্চার হবে বলে আমার বিশ্বাস।

বিএসএফআইসি’র চেয়ারম্যান মো. আরিফুর রহমান অপু বলেন, ‘চিনির উপর আমদানি নির্ভরতা কমাতে টেকসই কৃষি ব্যবস্থার কোনো বিকল্প নেই। বিএটি বাংলাদেশ এর মাধ্যমে করা এই প্রকল্পে আমরা যে সফলতা পেয়েছি তা আমরা কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাই, যাতে করে তারা সামনের দিনগুলোতে আখ চাষে আরো উদ্বুদ্ধ হয়।

বিএটি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান গোলাম মইন উদ্দিন বলেন, এই অঞ্চলে ১১২ বছর ধরে আমরা ব্যবসায় পরিচালনা করে আসছি। আমাদের উত্তম কৃষি পদ্ধতির ব্যবহারে আমরা উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সক্ষম হয়েছি যা অত্যন্ত গর্বের। শিল্প মন্ত্রণালয় ও বিএসএফআইসিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাদের এরকম একটি সম্ভাবনাময় শিল্পে কাজের সুযোগ করে দেয়ার জন্য। বাংলাদেশের সামগ্রিক ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা অর্জনের জন্য সরকার ও বেসরকারি খাতের সমন্বয় সাধন ও নতুন নতুন উন্নয়নমূলক উদ্যোগ গ্রহণের বিকল্প নেই। সফল এই প্রকল্প থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিয়ে আখের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারলে অদূর ভবিষ্যতে আমদানি নির্ভরতা কাটিয়ে চিনি শিল্প সগৌরবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সক্ষম হবে।।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান, কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু তারেক, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সানজিদা বেগম, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবিএম তারিকুজ্জামান, কেরুজ জিএম (অর্থ) সাইফুল ইসলাম, জিএম (ডিস্টিলারি) ফিদা হাসান বাদশা, জিএম (ফ্যাক্টরি) সুমন কুমার সাহা, জিএম (কৃষি) আশরাফুল আলম ভূঁইয়া, মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) শেখ শাহাব উদ্দিন, বিএটি-এর হেড অফ লিগ্যাল এন্ড এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স মুবিনা আসাফ, হেড অফ এক্সটার্নাল এফেয়ার্স শেখ শাবাব আহমেদ, হেড অফ পাবলিক এ্যাফেয়ার্স ও কোম্পানি সেক্রেটারি আজিজুর রহমান এফসিএস, ডিভিশনাল লীফ ম্যানেজার ভেলায়েত আলী আহসান, কেরুর উপ-ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মাসুদ রেজা, দর্শনা কেরুজ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ সবুজ, সাধারন সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ। তারা এ সময় স্থানীয় চাষী, মিল কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের সাথে আখের এই নতুন সম্ভাবনাময় উৎপাদন কলাকৌশল বিষয়ে মতবিনিময় ও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ শিল্প মন্ত্রণালয় দেশের চিনি শিল্পকে লাভজনক করে তুলতে নানাবিধ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্প মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি) এর সময়োপযোগী দিক নির্দেশনায় গতবছর বিএটি বাংলাদেশ প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক কৃষি পদ্ধতি প্রয়োগের মাধ্যমে আখের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি টেকসই মডেল প্রকল্প গ্রহণ করে। বিএটি বাংলাদেশ গত ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে একর প্রতি ১৯ মেট্রিক টন আখের ফলনের পরিবর্তে দ্বিগুণ ফলনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এই টেকসই মডেলের কাজ শুরু করে। মডেল প্রকল্পের আওতায় কেরু এন্ড কোং সুগার মিল, মোবারকগঞ্জ সুগার মিল, জয়পুরহাট সুগার মিল, নর্থ বেঙ্গল সুগার মিল ও নাটোর সুগার মিলের আওতাধীন মোট ৩০ একর জমি চাষীদের মাধ্যমে বর্গা নিয়ে উত্তম কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করে আখের আবাদ শুরু করে। এই মডেল প্রকল্পের আওতায় চাষীরা আধুনিক পদ্ধতিতে জমি তৈরী, বীজ সংগ্রহ, ভালো বীজ বাছাইকরণ, পরিমিত সার প্রয়োগ ও চারা রোপণ করা বিষয়ক সম্যক ধারণা লাভ করে। এর পাশাপাশি চাষীরা বিভিন্ন কৃষি পরামর্শ, জমির আগাছা নিধন, ঝাড় বাধা, সঠিকমাত্রায় সার ও কীটনাশকের প্রয়োগের বিষয়ে সময়মতো নির্দেশনা লাভ করে থাকে। এছাড়া প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পুরো মৌসুমব্যাপী কৃষি প্রশিক্ষণ, ওয়েব ভিত্তিক বার্তা প্রেরণের (বন্ধুসেবা) মাধ্যমে এই প্রকল্প পূর্বের চেয়ে দ্বিগুনেরও বেশি ফলনের ব্যাপারে অনেকটাই নিশ্চিত করতে পেরেছে।