ইপেপার । আজ শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

দর্শনার শ্যামপুরে সরকারি জমি দখলের অভিযোগ

দর্শনা অফিস:
  • আপলোড টাইম : ০৫:১৪:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২১
  • / ৩৬ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা পৌর এলাকার শ্যামপুরে সরকারি পতিত জলাশয়ের জমি রাজ্জাক হোসেন নামের এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে অবৈধভাবে দখল করার অভিযোগ উঠেছে। আর এই জমি দখলকে কেন্দ্র করে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরণের রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষ বলে স্থানীয়রা আশঙ্কা প্রকাশ করছে।


স্থানীয়রা জানায়, দর্শনা পৌর এলাকার শ্যামপুর মল্লিকপড়ার রাজ্জাকসহ বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি প্রকাশ্যে ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে সরকারি পতিত জলাশয় দখলের চেষ্টা করছে। এনিয়ে শ্যামপুরবাসী ও আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে দীর্ঘদিন চলে বিরোধ চলে আসছে। আর এই ঘটনায় প্রভাবশালী রাজ্জাক গ্রামের নিরীহ অসহায় মানুয়ের উপর হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।


জানা যায়, নলবিলা গ্রামের মৃত আয়ুব আলী ছেলে আব্দুর রাজ্জাক দর্শনা শ্যামপুর মল্লিকপাড়ায় আনুমানিক প্রায় ১৫ বছর ধরে বসবাস করে আসছে। বছর কয়েক আগে রাজ্জাক শ্যামপুর মল্লিকপাড়ার চৌরাস্তা সংলগ্ন নদীর পাশে ২৬ শতক জমি ক্রয় করে। সে সময় থেকেই নদীর পাশে অবস্থিত কবরস্থান সংলগ্ন সরকারি পতিত জলাশয় দখল করার নানা ফন্দি-ফিকির করে আসছে রাজ্জাক। বেশ কয়েকবার ক্যাডার নিয়ে কবরস্থান ও জলাশয় দখল করতে এসে এলাকার জনগণের বাধার মুখে পড়ে ফিরে যায়। পড়ে ক্ষিপ্ত হয়ে নিরীহ জনগণের উপর হামলাসহ নানা হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে রাজ্জাক। এনিয়ে গত বুধবার আবারো রাজ্জাক তার ভাড়া করা ক্যাডারবাহিনী নিয়ে পুকুরের মাটি ভরাট ও কবরস্থানের জায়গা দখল করতে আসে। এসময় গ্রামের সাধারণ মানুষ তাদের উপর চড়াও হলে রাজ্জাক ক্যাডার বাহিনী নিয়ে পালিয়ে চলে যায়। জমির বিষয়ে কথা বলায় রাজ্জাক এলাকার বেশ কয়েকজনের নামে থানায় অভিযোগ ও কোর্টে মামলা করে হয়রানি করে আসছে বলেও গ্রামবাসী জানায়।


বিষয়টি নিয়ে নিয়ে গত মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় দর্শনা থানার সেকেন্ড অফিসার আহাম্মদ আলী গ্রামবাসী ও আব্দুর রাজ্জাকের সাথে শালিস বৈঠক করেন। এসময় আহম্মদ আলী উভয়পক্ষকে আগামী ৭দিনের মধ্যে সরকারের কাছ থেকে ঐ জমির অনুমোদন আনতে বলেন এবং সরকারি কাগজপত্র ও দখলের অনুমতি দেখানোর আগপর্যন্ত রাজ্জাক ও গ্রামবাসীকে শান্তি বজায় রাখতে নির্দেশনা দেন। শালিস বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, শ্যামপুর গ্রামের লিয়াকত আলী, আব্দুর রহমান মল্লিক, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফ মল্লিক, দর্শনা প্রেসক্লাবের সভাপতি মনিরুজ্জামান ধীরু, সাধারণ সম্পাদক হারুন রাজু, সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আওয়াল হোসেন ও সাংবাদিক ইকরামুল হক পিপুলসহ গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। এসময় সবাই এর সুষ্ঠু নিষ্পত্তি চাই।


উল্লেখ্য, এ জমিকে ঘিরে ১৯৮৬ সালে সিতাব মল্লিক নামে একজন খুন হয়েছিল। তাই ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে আবার যাতে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে এবং জমিটি যেন সরকারি পতিত জমি হিসেবেই থাকে সেই বিষয়ে গ্রামবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

দর্শনার শ্যামপুরে সরকারি জমি দখলের অভিযোগ

আপলোড টাইম : ০৫:১৪:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২১

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা পৌর এলাকার শ্যামপুরে সরকারি পতিত জলাশয়ের জমি রাজ্জাক হোসেন নামের এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে অবৈধভাবে দখল করার অভিযোগ উঠেছে। আর এই জমি দখলকে কেন্দ্র করে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরণের রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষ বলে স্থানীয়রা আশঙ্কা প্রকাশ করছে।


স্থানীয়রা জানায়, দর্শনা পৌর এলাকার শ্যামপুর মল্লিকপড়ার রাজ্জাকসহ বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি প্রকাশ্যে ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে সরকারি পতিত জলাশয় দখলের চেষ্টা করছে। এনিয়ে শ্যামপুরবাসী ও আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে দীর্ঘদিন চলে বিরোধ চলে আসছে। আর এই ঘটনায় প্রভাবশালী রাজ্জাক গ্রামের নিরীহ অসহায় মানুয়ের উপর হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।


জানা যায়, নলবিলা গ্রামের মৃত আয়ুব আলী ছেলে আব্দুর রাজ্জাক দর্শনা শ্যামপুর মল্লিকপাড়ায় আনুমানিক প্রায় ১৫ বছর ধরে বসবাস করে আসছে। বছর কয়েক আগে রাজ্জাক শ্যামপুর মল্লিকপাড়ার চৌরাস্তা সংলগ্ন নদীর পাশে ২৬ শতক জমি ক্রয় করে। সে সময় থেকেই নদীর পাশে অবস্থিত কবরস্থান সংলগ্ন সরকারি পতিত জলাশয় দখল করার নানা ফন্দি-ফিকির করে আসছে রাজ্জাক। বেশ কয়েকবার ক্যাডার নিয়ে কবরস্থান ও জলাশয় দখল করতে এসে এলাকার জনগণের বাধার মুখে পড়ে ফিরে যায়। পড়ে ক্ষিপ্ত হয়ে নিরীহ জনগণের উপর হামলাসহ নানা হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে রাজ্জাক। এনিয়ে গত বুধবার আবারো রাজ্জাক তার ভাড়া করা ক্যাডারবাহিনী নিয়ে পুকুরের মাটি ভরাট ও কবরস্থানের জায়গা দখল করতে আসে। এসময় গ্রামের সাধারণ মানুষ তাদের উপর চড়াও হলে রাজ্জাক ক্যাডার বাহিনী নিয়ে পালিয়ে চলে যায়। জমির বিষয়ে কথা বলায় রাজ্জাক এলাকার বেশ কয়েকজনের নামে থানায় অভিযোগ ও কোর্টে মামলা করে হয়রানি করে আসছে বলেও গ্রামবাসী জানায়।


বিষয়টি নিয়ে নিয়ে গত মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় দর্শনা থানার সেকেন্ড অফিসার আহাম্মদ আলী গ্রামবাসী ও আব্দুর রাজ্জাকের সাথে শালিস বৈঠক করেন। এসময় আহম্মদ আলী উভয়পক্ষকে আগামী ৭দিনের মধ্যে সরকারের কাছ থেকে ঐ জমির অনুমোদন আনতে বলেন এবং সরকারি কাগজপত্র ও দখলের অনুমতি দেখানোর আগপর্যন্ত রাজ্জাক ও গ্রামবাসীকে শান্তি বজায় রাখতে নির্দেশনা দেন। শালিস বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, শ্যামপুর গ্রামের লিয়াকত আলী, আব্দুর রহমান মল্লিক, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফ মল্লিক, দর্শনা প্রেসক্লাবের সভাপতি মনিরুজ্জামান ধীরু, সাধারণ সম্পাদক হারুন রাজু, সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আওয়াল হোসেন ও সাংবাদিক ইকরামুল হক পিপুলসহ গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। এসময় সবাই এর সুষ্ঠু নিষ্পত্তি চাই।


উল্লেখ্য, এ জমিকে ঘিরে ১৯৮৬ সালে সিতাব মল্লিক নামে একজন খুন হয়েছিল। তাই ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে আবার যাতে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে এবং জমিটি যেন সরকারি পতিত জমি হিসেবেই থাকে সেই বিষয়ে গ্রামবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।