ইপেপার । আজ সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

দরকষাকষির লক্ষ্যে মাঠে নামছে ইসলামি দলগুলো

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:৩০:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২২
  • / ১৫ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন: বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে যুগপৎভাবে কঠোর আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশের ইসলামি দলগুলো। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ইতঃমধ্যেই ইসলামি দলগুলো তাদের নেতা-কর্মীদের নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে বিএনপির সভা-সমাবেশে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। বিএনপির ধারাবাহিক সমাবেশে ইসলামি দলের নেতা-কর্মীরা হাইকমান্ডের নির্দেশে যোগদানও করছেন। আপাতত দলগুলো নিজেদের শক্তি প্রদর্শনের লক্ষ্যে আগামী ১৭ ডিসেম্বর মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী নির্বাচন সামনে রেখে দেশের প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সঙ্গে দরকষাকষির পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। তবে দলগুলোর পছন্দের তালিকায় আওয়ামী লীগের চেয়ে বিএনপি এগিয়ে রয়েছে।
ইসলামি দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে আরও জানা গেছে, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন তারা। তাদের কোনো কোনো তৎপরতা বিএনপির চেয়েও বেশি। যদিও তা কৌশলগত কারণে প্রকাশ্যে আনা হচ্ছে না। দায়িত্বশীলরা জানান, নভেম্বর মাসজুড়ে সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা ইসলামি দলগুলোর ইউনিয়ন ও থানা পর্যায়ের ইউনিটগুলোকে ছোট ছোট দলে জোটবদ্ধ হতে বলা হয়েছে। জেলা পর্যায়ে সম্মিলিতভাবে জোটবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা চলছে। ডিসেম্বরে ইউনিয়ন থেকে শুরু করে জেলা পর্যায় পর্যন্ত জোটবদ্ধ হয়ে একত্রে মাঠে নামার কথা রয়েছে। নতুন জোট গঠন করে রাজধানীতে শোডাউন করার পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, অনেক ইসলামি দলের শীর্ষ নেতারা বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সরাসরি অংশ নিচ্ছেন না এখনো। পরিস্থিতি বিবেচনায় তারা মাঠে নামবেন চূড়ান্ত মুহূর্তে। তবে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশসহ কয়েকটি দল নানা ইস্যুতে কর্মসূচি দিয়ে মাঠে রয়েছে। নয়টি ইসলামি ও সমমনা দল নিয়ে জোট গঠনের চেষ্টা করছে চরমোনাই পীরের দলটি। নভেম্বরের শেষ দিকে টানা তিন দিনের মাহফিল ডেকেছেন চরমোনাই পীর। সারা দেশ থেকে সেখানে মানুষের যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতঃমধ্যেই বরিশালগামী অধিকাংশ লঞ্চের কেবিন এমনকি পুরো লঞ্চ বুকিং দেওয়া হয়েছে। ব্যয়বহুল এই মাহফিলের অর্থ আসছে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে। মাহফিলে যোগ দেবেন রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।

সূত্রটি বলছে, ইতঃমধ্যেই ইসলামি ও সমমনা ১২ দলীয় মোর্চা কয়েক দফায় নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেছে। দলগুলো হচ্ছে- খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, সম্মিলিত ওলামা মাশায়েখ পরিষদ, নেজামে ইসলাম পার্টি, ইসলামিক পার্টি, আহকামে শরীয়ত হেফাজত কমিটি, ইসলামী ঐক্য আন্দোলন, মুসলিম লীগ, ন্যাপ ভাসানী, ভাসানী ফ্রন্ট ও ন্যাশনাল ডেমেক্রেটিক পার্টি। ধর্মভিত্তিক এসব দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে অন্যান্য ইসলামি দল। বর্তমানে দেশে ৩৯টি ইসলামি দলের কার্যক্রম চললেও নির্বাচন কমিশন থেকে নিবন্ধন পেয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, জাকের পার্টি ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ। এছাড়া নিবন্ধনের বাইরেও অনেক ধর্মভিত্তিক দল রয়েছে, যার সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরও জানা গেছে, জামায়াতে ইসলামী নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধনের জন্য নাম পরিবর্তন করে রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে। ওই গ্রুপটির সঙ্গে রয়েছে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন ‘হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ’। হেফাজতে ইসলাম ইতঃমধ্যে থানা পর্যায় পর্যন্ত কমিটি গঠনের কাজ শেষ করেছে। ইতঃমধ্যেই কয়েক দফায় চট্টগ্রামের হাটহাজারী আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসায় সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে সারা দেশে সংগঠনের কর্মকান্ড জোরদার করার সিদ্ধান্ত হয়।

চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব মুফতি মাওলানা রশিদ আহমদ বলেন, যেভাবে দেশ চলছে, এভাবে কোনো দেশ চলতে পারে না। এমনকি চলতে দেওয়া যায় না। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা অন্য কোনো নামে হোক, আমরা দেশে নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। দেশের শান্তিশৃঙ্খলা, দেশের স্বার্থে ও সমৃদ্ধির জন্য এর কোনো বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে কোন দল ক্ষমতায় গেল, তা আমাদের দেখার বিষয় না। তিনি আরও বলেন, নানা কারণে ও চাপে ইসলামী ঐক্যজোট ২০ দলীয় জোটে নেই। আমরা সহিংসতা নয়, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। তবে আমরা দেশে ইসলামি শাসনব্যবস্থা কায়েমের পক্ষে। আমরা চাই, যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক না কেন, দেশে ইসলামি শাসনব্যবস্থা চালু হোক। সে ক্ষেত্রে যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে, তাহলে বিএনপির ওপরও দেশে ইসলামি শাসনব্যবস্থা কায়েম করতে চাপ প্রয়োগ করা হবে। এ ব্যাপারে আমাদের সঙ্গে সব ইসলামি দলের শীর্ষ নেতাদের কথা হয়েছে। ইসলামি দলগুলো সর্বসম্মতিক্রমেই দেশে ইসলামি শাসনব্যবস্থা কায়েম করার পক্ষে। তিনি বলেন, ইসলামি শাসনব্যবস্থার কথা বললেই অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। প্রকৃত পক্ষে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ বর্তমানে প্রতিটি আদালতে একজন বাদী বা বিবাদীকে এক বা একাধিক মামলার পেছনে যে পরিমাণ শ্রম, মেধা, অর্থ ও সময় ব্যয় করতে হয়, ইসলামি শাসনব্যবস্থা কায়েম হলে তার প্রয়োজন হবে না। আমরা মূলত শেষ নবীর উম্মত হিসেবে মদিনার ১০ বছরের শাসনব্যবস্থার অনুকরণে দেশে ইসলামি শাসনব্যবস্থা কায়েম করতে চাই। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রযুক্তির এই যুগে অনেক কিছুর পরিবর্তন হয়েছে। সেসব ক্ষেত্রে প্রয়োজনে প্রযুক্তি বিষয়ে পারদর্শীদের তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ইসলামি শাসন পদ্ধতিতে বিচার করা হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

দরকষাকষির লক্ষ্যে মাঠে নামছে ইসলামি দলগুলো

আপলোড টাইম : ১১:৩০:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২২

সমীকরণ প্রতিবেদন: বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে যুগপৎভাবে কঠোর আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশের ইসলামি দলগুলো। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ইতঃমধ্যেই ইসলামি দলগুলো তাদের নেতা-কর্মীদের নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে বিএনপির সভা-সমাবেশে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। বিএনপির ধারাবাহিক সমাবেশে ইসলামি দলের নেতা-কর্মীরা হাইকমান্ডের নির্দেশে যোগদানও করছেন। আপাতত দলগুলো নিজেদের শক্তি প্রদর্শনের লক্ষ্যে আগামী ১৭ ডিসেম্বর মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী নির্বাচন সামনে রেখে দেশের প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সঙ্গে দরকষাকষির পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। তবে দলগুলোর পছন্দের তালিকায় আওয়ামী লীগের চেয়ে বিএনপি এগিয়ে রয়েছে।
ইসলামি দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে আরও জানা গেছে, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন তারা। তাদের কোনো কোনো তৎপরতা বিএনপির চেয়েও বেশি। যদিও তা কৌশলগত কারণে প্রকাশ্যে আনা হচ্ছে না। দায়িত্বশীলরা জানান, নভেম্বর মাসজুড়ে সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা ইসলামি দলগুলোর ইউনিয়ন ও থানা পর্যায়ের ইউনিটগুলোকে ছোট ছোট দলে জোটবদ্ধ হতে বলা হয়েছে। জেলা পর্যায়ে সম্মিলিতভাবে জোটবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা চলছে। ডিসেম্বরে ইউনিয়ন থেকে শুরু করে জেলা পর্যায় পর্যন্ত জোটবদ্ধ হয়ে একত্রে মাঠে নামার কথা রয়েছে। নতুন জোট গঠন করে রাজধানীতে শোডাউন করার পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, অনেক ইসলামি দলের শীর্ষ নেতারা বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সরাসরি অংশ নিচ্ছেন না এখনো। পরিস্থিতি বিবেচনায় তারা মাঠে নামবেন চূড়ান্ত মুহূর্তে। তবে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশসহ কয়েকটি দল নানা ইস্যুতে কর্মসূচি দিয়ে মাঠে রয়েছে। নয়টি ইসলামি ও সমমনা দল নিয়ে জোট গঠনের চেষ্টা করছে চরমোনাই পীরের দলটি। নভেম্বরের শেষ দিকে টানা তিন দিনের মাহফিল ডেকেছেন চরমোনাই পীর। সারা দেশ থেকে সেখানে মানুষের যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতঃমধ্যেই বরিশালগামী অধিকাংশ লঞ্চের কেবিন এমনকি পুরো লঞ্চ বুকিং দেওয়া হয়েছে। ব্যয়বহুল এই মাহফিলের অর্থ আসছে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে। মাহফিলে যোগ দেবেন রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।

সূত্রটি বলছে, ইতঃমধ্যেই ইসলামি ও সমমনা ১২ দলীয় মোর্চা কয়েক দফায় নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেছে। দলগুলো হচ্ছে- খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, সম্মিলিত ওলামা মাশায়েখ পরিষদ, নেজামে ইসলাম পার্টি, ইসলামিক পার্টি, আহকামে শরীয়ত হেফাজত কমিটি, ইসলামী ঐক্য আন্দোলন, মুসলিম লীগ, ন্যাপ ভাসানী, ভাসানী ফ্রন্ট ও ন্যাশনাল ডেমেক্রেটিক পার্টি। ধর্মভিত্তিক এসব দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে অন্যান্য ইসলামি দল। বর্তমানে দেশে ৩৯টি ইসলামি দলের কার্যক্রম চললেও নির্বাচন কমিশন থেকে নিবন্ধন পেয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, জাকের পার্টি ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ। এছাড়া নিবন্ধনের বাইরেও অনেক ধর্মভিত্তিক দল রয়েছে, যার সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরও জানা গেছে, জামায়াতে ইসলামী নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধনের জন্য নাম পরিবর্তন করে রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে। ওই গ্রুপটির সঙ্গে রয়েছে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন ‘হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ’। হেফাজতে ইসলাম ইতঃমধ্যে থানা পর্যায় পর্যন্ত কমিটি গঠনের কাজ শেষ করেছে। ইতঃমধ্যেই কয়েক দফায় চট্টগ্রামের হাটহাজারী আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসায় সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে সারা দেশে সংগঠনের কর্মকান্ড জোরদার করার সিদ্ধান্ত হয়।

চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব মুফতি মাওলানা রশিদ আহমদ বলেন, যেভাবে দেশ চলছে, এভাবে কোনো দেশ চলতে পারে না। এমনকি চলতে দেওয়া যায় না। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা অন্য কোনো নামে হোক, আমরা দেশে নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। দেশের শান্তিশৃঙ্খলা, দেশের স্বার্থে ও সমৃদ্ধির জন্য এর কোনো বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে কোন দল ক্ষমতায় গেল, তা আমাদের দেখার বিষয় না। তিনি আরও বলেন, নানা কারণে ও চাপে ইসলামী ঐক্যজোট ২০ দলীয় জোটে নেই। আমরা সহিংসতা নয়, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। তবে আমরা দেশে ইসলামি শাসনব্যবস্থা কায়েমের পক্ষে। আমরা চাই, যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক না কেন, দেশে ইসলামি শাসনব্যবস্থা চালু হোক। সে ক্ষেত্রে যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে, তাহলে বিএনপির ওপরও দেশে ইসলামি শাসনব্যবস্থা কায়েম করতে চাপ প্রয়োগ করা হবে। এ ব্যাপারে আমাদের সঙ্গে সব ইসলামি দলের শীর্ষ নেতাদের কথা হয়েছে। ইসলামি দলগুলো সর্বসম্মতিক্রমেই দেশে ইসলামি শাসনব্যবস্থা কায়েম করার পক্ষে। তিনি বলেন, ইসলামি শাসনব্যবস্থার কথা বললেই অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। প্রকৃত পক্ষে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ বর্তমানে প্রতিটি আদালতে একজন বাদী বা বিবাদীকে এক বা একাধিক মামলার পেছনে যে পরিমাণ শ্রম, মেধা, অর্থ ও সময় ব্যয় করতে হয়, ইসলামি শাসনব্যবস্থা কায়েম হলে তার প্রয়োজন হবে না। আমরা মূলত শেষ নবীর উম্মত হিসেবে মদিনার ১০ বছরের শাসনব্যবস্থার অনুকরণে দেশে ইসলামি শাসনব্যবস্থা কায়েম করতে চাই। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রযুক্তির এই যুগে অনেক কিছুর পরিবর্তন হয়েছে। সেসব ক্ষেত্রে প্রয়োজনে প্রযুক্তি বিষয়ে পারদর্শীদের তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ইসলামি শাসন পদ্ধতিতে বিচার করা হবে।