ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

ডিজিটাল গ্রামের বেহাল দশা!

প্রতিবেদক, তিতুদহ:
  • আপলোড টাইম : ০৮:৫৭:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২১
  • / ৪৪ বার পড়া হয়েছে

২০১৯ সালে তিতুদহ ইউনিয়নের ২৮টি গ্রাম জরিপ করে সবচেয়ে ছোট, পরিচ্ছন্ন, উন্নয়নশীল হিসেবে বিত্তিরদাড়ি গ্রামকে ডিজিটাল হিসেবে উপাধি দেন চুয়াডাঙ্গা জেলার সাবেক জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস। তবে গ্রামের বাইরে দিয়ে গত কয়েকদিন পূর্বে একটি পাকা রাস্তা তৈরি হলেও গ্রামটির মধ্যে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি এখন পর্যন্ত। আগের সেই পুরাতন মাটির রাস্তার কাঁদার মধ্যদিয়ে এখনও গ্রামের মানুষকে অধিক কষ্ট নিয়ে যাতায়াতসহ সকল কৃষিপণ্য পরিবহন করে এই গ্রামের কৃষকেরা। অন্য বছর শীত মৌসুমে ধুলার মধ্যদিয়ে মাঠ থেকে নানা ধরনের কৃষিপণ্য বাড়িতেসহ সরাসরি বাজারজাতকরণ করতে পারলেও এবছর কোনো ধরনেই সম্ভব হচ্ছে না। গত তিন দিনের নিম্নচাপে রাস্তার ওপর তৈরি হওয়া সকল খানা-খন্দ পানিতে ভরে যাওয়াসহ সম্পূর্ণ রাস্তা এখন কাঁদায় পরিণত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে গ্রামের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। সেই সাথে ইতঃমধ্যে মাঠ থেকে পাকা ধান নিয়ে আসার ক্ষেত্রে দিশাহারা গ্রামের ধানচাষীসহ শীতকালীন সবজি চাষিগণ। গ্রামটি তিনটি পাড়া নিয়ে গঠিত হলেও এখানে ২৮০টি ভোটারসহ প্রায় সাড়ে ৫শ এর অধিক জনসংখ্যার বসবাস।

স্থানীয় সমাজসেবক আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘বর্তমান সরকার দেশের সকল গ্রামকে শহরের রুপ দিতে নানা ধরনের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। তবে কয়েকবছর পূর্বে সাবেক জেলা প্রশাসক ও তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আকতার হোসেন আমাদের গ্রামকে পুরোপুরিভাবে ডিজিটাল হিসেবে উপাধি দেন। এছাড়া এই গ্রামকে মানুষের সামনে তুলে ধরার জন্য নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে এখন আমাদের গ্রামের রাস্তার উন্নয়নই হয়নি, বাকিগুলো আর নাই বললাম।’

এছাড়াও গ্রামের কয়েকজন মহিলা বলেন, ‘আর কতদিন আমরা এই কষ্ট সহ্য করব।’ তারা আরও বলেন, যখন গ্রামটি ডিজিটাল হিসেবে নামকরণ করেন, তখন গ্রামটি তিতুদহ ইউনিয়নের আওতায় ছিল। কিন্তু এখন বিত্তিরদাড়ি গ্রামটি নবগঠিত গড়াইটুপি ইউনিয়নের আওতায় পরিচালিত হচ্ছে। তবে গ্রামটি নবগঠিত ইউনিয়নের মধ্যে পড়ায় হয়তো গ্রামটি ডিজিটাল করণের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে বলে অনেকে ধারণা করছে।

স্থানীয়দের দাবি, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ যদি গ্রামটিকে ডিজিটাল হিসেবে সাঁজাতে সকল কার্যক্রম এবং একমাত্র কাঁচা রাস্তাটি দ্রুত পাকাকরণ করতে সহায়তা করে, তাহলে গ্রামের মানুষের যাতায়াতসহ অধিক কষ্টে কৃষিপণ্য পরিবহনের হাত থেকে রক্ষা পাবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ডিজিটাল গ্রামের বেহাল দশা!

আপলোড টাইম : ০৮:৫৭:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২১

২০১৯ সালে তিতুদহ ইউনিয়নের ২৮টি গ্রাম জরিপ করে সবচেয়ে ছোট, পরিচ্ছন্ন, উন্নয়নশীল হিসেবে বিত্তিরদাড়ি গ্রামকে ডিজিটাল হিসেবে উপাধি দেন চুয়াডাঙ্গা জেলার সাবেক জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস। তবে গ্রামের বাইরে দিয়ে গত কয়েকদিন পূর্বে একটি পাকা রাস্তা তৈরি হলেও গ্রামটির মধ্যে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি এখন পর্যন্ত। আগের সেই পুরাতন মাটির রাস্তার কাঁদার মধ্যদিয়ে এখনও গ্রামের মানুষকে অধিক কষ্ট নিয়ে যাতায়াতসহ সকল কৃষিপণ্য পরিবহন করে এই গ্রামের কৃষকেরা। অন্য বছর শীত মৌসুমে ধুলার মধ্যদিয়ে মাঠ থেকে নানা ধরনের কৃষিপণ্য বাড়িতেসহ সরাসরি বাজারজাতকরণ করতে পারলেও এবছর কোনো ধরনেই সম্ভব হচ্ছে না। গত তিন দিনের নিম্নচাপে রাস্তার ওপর তৈরি হওয়া সকল খানা-খন্দ পানিতে ভরে যাওয়াসহ সম্পূর্ণ রাস্তা এখন কাঁদায় পরিণত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে গ্রামের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। সেই সাথে ইতঃমধ্যে মাঠ থেকে পাকা ধান নিয়ে আসার ক্ষেত্রে দিশাহারা গ্রামের ধানচাষীসহ শীতকালীন সবজি চাষিগণ। গ্রামটি তিনটি পাড়া নিয়ে গঠিত হলেও এখানে ২৮০টি ভোটারসহ প্রায় সাড়ে ৫শ এর অধিক জনসংখ্যার বসবাস।

স্থানীয় সমাজসেবক আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘বর্তমান সরকার দেশের সকল গ্রামকে শহরের রুপ দিতে নানা ধরনের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। তবে কয়েকবছর পূর্বে সাবেক জেলা প্রশাসক ও তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আকতার হোসেন আমাদের গ্রামকে পুরোপুরিভাবে ডিজিটাল হিসেবে উপাধি দেন। এছাড়া এই গ্রামকে মানুষের সামনে তুলে ধরার জন্য নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে এখন আমাদের গ্রামের রাস্তার উন্নয়নই হয়নি, বাকিগুলো আর নাই বললাম।’

এছাড়াও গ্রামের কয়েকজন মহিলা বলেন, ‘আর কতদিন আমরা এই কষ্ট সহ্য করব।’ তারা আরও বলেন, যখন গ্রামটি ডিজিটাল হিসেবে নামকরণ করেন, তখন গ্রামটি তিতুদহ ইউনিয়নের আওতায় ছিল। কিন্তু এখন বিত্তিরদাড়ি গ্রামটি নবগঠিত গড়াইটুপি ইউনিয়নের আওতায় পরিচালিত হচ্ছে। তবে গ্রামটি নবগঠিত ইউনিয়নের মধ্যে পড়ায় হয়তো গ্রামটি ডিজিটাল করণের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে বলে অনেকে ধারণা করছে।

স্থানীয়দের দাবি, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ যদি গ্রামটিকে ডিজিটাল হিসেবে সাঁজাতে সকল কার্যক্রম এবং একমাত্র কাঁচা রাস্তাটি দ্রুত পাকাকরণ করতে সহায়তা করে, তাহলে গ্রামের মানুষের যাতায়াতসহ অধিক কষ্টে কৃষিপণ্য পরিবহনের হাত থেকে রক্ষা পাবে।