ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

টিকিট ইস্যুতে ধীরগতি, ভোগান্তি চরমে!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৩৫:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ মার্চ ২০২২
  • / ২৮ বার পড়া হয়েছে

২১-২৫ মার্চ পর্যন্ত অনলাইনে টিকিট বিক্রি বন্ধ রাখা হয়েছে : স্টেশন মাস্টার

নিজস্ব প্রতিবেদক:

অনলাইনে ট্রেনের টিকিট বিক্রি বন্ধ থাকায় চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনে টিকিট প্রত্যাশীদের দীর্ঘ লাইনে বিড়ম্বনা তৈরি হয়েছে। টিকিট প্রত্যাশীদের অভিযোগ, কাউন্টার থেকে দ্রুত দেওয়া হচ্ছে না টিকিট। গতকাল সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে স্টেশনে গিয়ে দীর্ঘ লাইনে থাকতে দেখা গেছে টিকিট প্রত্যাশীদের। এনিয়ে চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হচ্ছে না। সব টিকিট হাতে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে দেওয়া হচ্ছে। তাই একটু সময় বেশি লাগছে।

রেলওয়ে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৬ মার্চ থেকে রেলওয়ের টিকিটিংয়ের দায়িত্ব নেবে সহজ লিমিটেড। নতুন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব গ্রহণের সুবিধার্থে ২১ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত পাঁচদিন অনলাইনে টিকিট বিক্রি বন্ধ থাকছে। এসময় ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে স্টেশনের কাউন্টার থেকে শতভাগ টিকিট ইস্যু করা হবে। গতকাল সোমবার দেওয়া হয়েছে ২২ মার্চের অগ্রিম টিকিট, আজ ২২ মার্চ দেওয়া হবে ২৩ মার্চের টিকিট, ২৩ মার্চ দেওয়া হবে ২৪ মার্চের টিকিট এবং ২৪ মার্চ দেওয়া হবে ২৫ মার্চের অগ্রিম টিকিট এবং আগামী ২৬ মার্চ থেকে আগের নিয়মে ট্রেনের টিকিট ব্যবস্থাপনার কাজ করবে সহজ লিমিটেড।

টিকিট প্রত্যাশী রইস উদ্দিন জানান, অনলাইনে টিকিট না পেয়ে স্টেশনে এসেছি। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে, তবুও এখনো টিকিট কিনতে পারিনি। কারণ লাইনে অনেক মানুষ, আর টিকিট বিক্রিতে ধীরগতি। কাউন্টার থেকে আস্তে আস্তে টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। এর ফলে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে টিকিটের জন্য। শফিকুল ইসলাম নামের আরেক টিকিট প্রত্যাশী জানান, সকাল ছয়টার দিকে এসেছি। এইতো কিছুক্ষণ আগে অগ্রিম টিকিট কিনতে পারলাম। অনেকেই লাইনে না দাঁড়িয়ে পাশে থেকে টিকিট নেওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, এই বিষয়গুলো রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে গুরুত্বসহকারে দেখা দরকার। বেসরকারি চাকরিজীবী মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমি যশোরে যাওয়ার জন্য সুন্দরবনের টিকিট কাটতে এসেছি। কিন্তু স্টেশনে টিকিট না থাকায় পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে। অবশেষে খুলনা পর্যন্ত টিকিট কাটতে হলো।’

এবিষয়ে চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার জানান, ২১ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত পাঁচ দিন অনলাইনে টিকিট বিক্রি বন্ধ রাখা হয়েছে। নতুন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব গ্রহণের সুবিধার্থে এই টিকিট বিক্রি বন্ধ থাকবে। তিনি জানান, সব টিকিট হাতে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে বিক্রি করতে হচ্ছে। এ জন্য একটু সময় বেশি লাগছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

টিকিট ইস্যুতে ধীরগতি, ভোগান্তি চরমে!

আপলোড টাইম : ০৮:৩৫:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ মার্চ ২০২২

২১-২৫ মার্চ পর্যন্ত অনলাইনে টিকিট বিক্রি বন্ধ রাখা হয়েছে : স্টেশন মাস্টার

নিজস্ব প্রতিবেদক:

অনলাইনে ট্রেনের টিকিট বিক্রি বন্ধ থাকায় চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনে টিকিট প্রত্যাশীদের দীর্ঘ লাইনে বিড়ম্বনা তৈরি হয়েছে। টিকিট প্রত্যাশীদের অভিযোগ, কাউন্টার থেকে দ্রুত দেওয়া হচ্ছে না টিকিট। গতকাল সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে স্টেশনে গিয়ে দীর্ঘ লাইনে থাকতে দেখা গেছে টিকিট প্রত্যাশীদের। এনিয়ে চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হচ্ছে না। সব টিকিট হাতে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে দেওয়া হচ্ছে। তাই একটু সময় বেশি লাগছে।

রেলওয়ে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৬ মার্চ থেকে রেলওয়ের টিকিটিংয়ের দায়িত্ব নেবে সহজ লিমিটেড। নতুন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব গ্রহণের সুবিধার্থে ২১ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত পাঁচদিন অনলাইনে টিকিট বিক্রি বন্ধ থাকছে। এসময় ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে স্টেশনের কাউন্টার থেকে শতভাগ টিকিট ইস্যু করা হবে। গতকাল সোমবার দেওয়া হয়েছে ২২ মার্চের অগ্রিম টিকিট, আজ ২২ মার্চ দেওয়া হবে ২৩ মার্চের টিকিট, ২৩ মার্চ দেওয়া হবে ২৪ মার্চের টিকিট এবং ২৪ মার্চ দেওয়া হবে ২৫ মার্চের অগ্রিম টিকিট এবং আগামী ২৬ মার্চ থেকে আগের নিয়মে ট্রেনের টিকিট ব্যবস্থাপনার কাজ করবে সহজ লিমিটেড।

টিকিট প্রত্যাশী রইস উদ্দিন জানান, অনলাইনে টিকিট না পেয়ে স্টেশনে এসেছি। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে, তবুও এখনো টিকিট কিনতে পারিনি। কারণ লাইনে অনেক মানুষ, আর টিকিট বিক্রিতে ধীরগতি। কাউন্টার থেকে আস্তে আস্তে টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। এর ফলে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে টিকিটের জন্য। শফিকুল ইসলাম নামের আরেক টিকিট প্রত্যাশী জানান, সকাল ছয়টার দিকে এসেছি। এইতো কিছুক্ষণ আগে অগ্রিম টিকিট কিনতে পারলাম। অনেকেই লাইনে না দাঁড়িয়ে পাশে থেকে টিকিট নেওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, এই বিষয়গুলো রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে গুরুত্বসহকারে দেখা দরকার। বেসরকারি চাকরিজীবী মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমি যশোরে যাওয়ার জন্য সুন্দরবনের টিকিট কাটতে এসেছি। কিন্তু স্টেশনে টিকিট না থাকায় পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে। অবশেষে খুলনা পর্যন্ত টিকিট কাটতে হলো।’

এবিষয়ে চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার জানান, ২১ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত পাঁচ দিন অনলাইনে টিকিট বিক্রি বন্ধ রাখা হয়েছে। নতুন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব গ্রহণের সুবিধার্থে এই টিকিট বিক্রি বন্ধ থাকবে। তিনি জানান, সব টিকিট হাতে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে বিক্রি করতে হচ্ছে। এ জন্য একটু সময় বেশি লাগছে।