ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

জেহালা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যুবলীগ কর্মীর সংবাদ সম্মেলন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৩:৩৩:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুলাই ২০২৩
  • / ২১ বার পড়া হয়েছে

ভ্রাম্যমাণ প্রতিবেদক, আলমডাঙ্গা:
আলমডাঙ্গা উপজেলার জেহালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মকলেছুর রহমান শিলনের বিরুদ্ধে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক মাদক ব্যবসা করানোর অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ইউনিয়ন যুবলীগ কর্মী কামাল হোসেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কামাল হোসেন দাবি করেন, মাদক ব্যবসা করতে অস্বীকৃতি জানানোই চেয়ারম্যান শিলন তাকে জীবননাশের হুমকিসহ বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখাচ্ছেন। এছাড়াও তার বাড়িতে রাত-দিনে পুলিশ পাঠিয়ে হয়রানি করছেন। সংবাদ সম্মেলনে কামাল হোসেন আরও বলেন, গত ২০২১ সালে জেহালা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মকলেছুর রহমান শিলন বিজয়ী হন। তিনি জেহালা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। চেয়ারম্যান শিলন নির্বাচনে বিজয়ী হবার পর থেকে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন।

কামাল কৃষিকাজ করে সংসার চালান দাবি করে আরও বলেন, বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে চেয়ারম্যান তার সাথে চলাচল করতে বলেন। জোরপূর্বক ২০২২ সালে গোপনে মোটরসাইকেলে মাদক পাঠিয়ে কেদারনগর গ্রামে পৌঁছে দিতে বলেন। সেখানে আগে থেকেই র‌্যাব উপস্থিত করে রাখেন চেয়ারম্যান শিলন। এ ঘটনায় র‌্যাব তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। একপর্যায়ে শিলন চেয়ারম্যানের নির্দেশে কামাল কোর্টে আত্মসমর্পণ করেন। বর্তমানে তিনি জামিনে আছেন। জেল থেকে বের হওয়ার পর চেয়ারম্যান নানা কৌশলে আবার তাকে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে ফেলেন। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান তাকে কোনো মামলা হবে না বলে প্রতিশ্রুতিও দেন। গত দেড় বছর যাবৎ মাদক ব্যবসার পাশাপাশি অন্যান্য অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়েন বলে কামাল অকপটে স্বীকার করেন।

ইতোমধ্যে পুলিশি অভিযান চলার কারণে তিনি পরিবার ও সমাজের চাপে মাদক ব্যবসা থেকে বেরিয়ে এসেছেন দাবি করেছেন। কিন্তু চেয়ারম্যান জোরপূর্বক মাদক ব্যবসা করতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছেন বলে উল্লেখ করেন। চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে দিনে-রাতে অপরিচিত ব্যক্তি বাড়িতে গিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলেও সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসাসহ প্রশাসনের নিকট জানমালের নিরাপত্তা চেয়েছেন যুবলীগ কর্মী কামাল হোসেন।

এ বিষয়ে জেহালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান শিলন বলেন, ‘আমি প্রায় আড়াই মাস আগে আমার ইউনিয়নে কোন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবী থাকবে না বলে ঘোষণা দিয়েছিলাম। তারই পরিপেক্ষিতে বিভিন্ন সময় পুলিশের এই এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ৭ থেকে ৮ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে। এরই জেরে সমাজের একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী কামাল হোসেন আমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

জেহালা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যুবলীগ কর্মীর সংবাদ সম্মেলন

আপলোড টাইম : ০৩:৩৩:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুলাই ২০২৩

ভ্রাম্যমাণ প্রতিবেদক, আলমডাঙ্গা:
আলমডাঙ্গা উপজেলার জেহালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মকলেছুর রহমান শিলনের বিরুদ্ধে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক মাদক ব্যবসা করানোর অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ইউনিয়ন যুবলীগ কর্মী কামাল হোসেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কামাল হোসেন দাবি করেন, মাদক ব্যবসা করতে অস্বীকৃতি জানানোই চেয়ারম্যান শিলন তাকে জীবননাশের হুমকিসহ বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখাচ্ছেন। এছাড়াও তার বাড়িতে রাত-দিনে পুলিশ পাঠিয়ে হয়রানি করছেন। সংবাদ সম্মেলনে কামাল হোসেন আরও বলেন, গত ২০২১ সালে জেহালা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মকলেছুর রহমান শিলন বিজয়ী হন। তিনি জেহালা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। চেয়ারম্যান শিলন নির্বাচনে বিজয়ী হবার পর থেকে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন।

কামাল কৃষিকাজ করে সংসার চালান দাবি করে আরও বলেন, বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে চেয়ারম্যান তার সাথে চলাচল করতে বলেন। জোরপূর্বক ২০২২ সালে গোপনে মোটরসাইকেলে মাদক পাঠিয়ে কেদারনগর গ্রামে পৌঁছে দিতে বলেন। সেখানে আগে থেকেই র‌্যাব উপস্থিত করে রাখেন চেয়ারম্যান শিলন। এ ঘটনায় র‌্যাব তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। একপর্যায়ে শিলন চেয়ারম্যানের নির্দেশে কামাল কোর্টে আত্মসমর্পণ করেন। বর্তমানে তিনি জামিনে আছেন। জেল থেকে বের হওয়ার পর চেয়ারম্যান নানা কৌশলে আবার তাকে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে ফেলেন। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান তাকে কোনো মামলা হবে না বলে প্রতিশ্রুতিও দেন। গত দেড় বছর যাবৎ মাদক ব্যবসার পাশাপাশি অন্যান্য অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়েন বলে কামাল অকপটে স্বীকার করেন।

ইতোমধ্যে পুলিশি অভিযান চলার কারণে তিনি পরিবার ও সমাজের চাপে মাদক ব্যবসা থেকে বেরিয়ে এসেছেন দাবি করেছেন। কিন্তু চেয়ারম্যান জোরপূর্বক মাদক ব্যবসা করতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছেন বলে উল্লেখ করেন। চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে দিনে-রাতে অপরিচিত ব্যক্তি বাড়িতে গিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলেও সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসাসহ প্রশাসনের নিকট জানমালের নিরাপত্তা চেয়েছেন যুবলীগ কর্মী কামাল হোসেন।

এ বিষয়ে জেহালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান শিলন বলেন, ‘আমি প্রায় আড়াই মাস আগে আমার ইউনিয়নে কোন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবী থাকবে না বলে ঘোষণা দিয়েছিলাম। তারই পরিপেক্ষিতে বিভিন্ন সময় পুলিশের এই এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ৭ থেকে ৮ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে। এরই জেরে সমাজের একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী কামাল হোসেন আমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে।’