ইপেপার । আজ শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

জীবননগর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে বেড়েছে প্রতারণা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:০৬:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ জুন ২০২২
  • / ২১ বার পড়া হয়েছে

সমীকরন প্রতিবেদক: এখনো থামেনি জীবননগর দলিল লেখক সমিতির সভাপতি নুরুল ইসলাম ও সদস্য রানা, বিশার দৌরাত্ম্য। অবাধে চলছে তাঁদের ভুয়া দলিল তৈরি করার কার্যক্রম এবং সমিতির নামে টাকা হাতিয়ে নিজেদের পকেট ভরার কাজ। এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। ফলে তারা প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করেই চলেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি গত দুই বছর আগে কৃষি ব্যাংকের সাবেক ম্যানেজার মাহাতাব উদ্দিনের সময়  লোন করার জন্য জমির কাগজপত্র ঠিক করতে যায়। আমার যে টাকার প্রয়োজন, সে তুলনায় আমার জমি হচ্ছে না। এসময় আমাকে একজন বলল তুমি বাঁকার রানা-বিষার কাছে যাও, কিছু টাকা হয়ত বেশি নিবে, কিন্তু তারা তোমার কাগজপত্র তৈরি করে দিবে। তার কথা মতো রান-বিষার কাছে গেলে তারা আমার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়ে একটি দলিল তৈরি করে দেয়। তাদের কাছে নকল সিল-স্বাক্ষর সব আছে। এখনো তারা এই কাজ করে খুব গোপনে। তবে তারা ব্যাংকে লোন করানোর জন্য ওই সময় এ কাজগুলো বেশি করত। বিভিন্ন ব্যাংকে তাদের একটি সিন্ডিকেট আছে, তাদের মধ্যেমে রানা-বিষা এ ধরণের অপকর্ম করে থাকে। জীবননগর দলিল লেখক সমিতির সভাপতি নুরুল ইসলামের ছায়াতলে থেকে রানা-বিশা এই চক্রটি প্রতিনিয়ত মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে। শুধু তাই নয়, তাদের সিন্ডিকেটে সাধারণ মানুষ দিশাহারা হয়ে পড়েছে।’

এদিকে, তাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর থেকে এলাকার মানুষ নুরুল ইসলাম, রানা ও বিষার ওপর ফুঁসে উঠেছে। তাদের একের পর এক অপকর্ম বেরিয়ে আসছে। রানা, বিষা বনে গেছে মানিক রতনে। এলাকায় গড়ে তুলেছে বহুতল ভবন। এ যেন আলাদীনের চ্যারাগ পাওয়ার মতো ঘটনা।

এ বিষয়ে রানা বলেন, ‘আমরা কোনো দুই নাম্বারি কাজ করিনি। তাছাড়া এই যুগে কোনো কর্মকর্তার স্বাক্ষার ও সিল জাল করে কাজ করা যায় না। আমাদের বিরুদ্ধে একটি চক্র মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে।’ বিষা বলেন, ‘আমার দলিল লেখা পেশা। এখান থেকে আমার আয় হয়, আমি কারো সাথে কোনো প্রতারণা করিনি।’

জীবননগর দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘রানা-বিষা কী করে না করে আমি কিছুই জানি না।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জীবননগরের সাব-রেজিস্ট্রার নফিয বিন যামান বলেন, ‘যদি কেউ স্বাক্ষর বা সিল জাল করে, আর প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

জীবননগর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে বেড়েছে প্রতারণা

আপলোড টাইম : ০৯:০৬:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ জুন ২০২২

সমীকরন প্রতিবেদক: এখনো থামেনি জীবননগর দলিল লেখক সমিতির সভাপতি নুরুল ইসলাম ও সদস্য রানা, বিশার দৌরাত্ম্য। অবাধে চলছে তাঁদের ভুয়া দলিল তৈরি করার কার্যক্রম এবং সমিতির নামে টাকা হাতিয়ে নিজেদের পকেট ভরার কাজ। এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। ফলে তারা প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করেই চলেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি গত দুই বছর আগে কৃষি ব্যাংকের সাবেক ম্যানেজার মাহাতাব উদ্দিনের সময়  লোন করার জন্য জমির কাগজপত্র ঠিক করতে যায়। আমার যে টাকার প্রয়োজন, সে তুলনায় আমার জমি হচ্ছে না। এসময় আমাকে একজন বলল তুমি বাঁকার রানা-বিষার কাছে যাও, কিছু টাকা হয়ত বেশি নিবে, কিন্তু তারা তোমার কাগজপত্র তৈরি করে দিবে। তার কথা মতো রান-বিষার কাছে গেলে তারা আমার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়ে একটি দলিল তৈরি করে দেয়। তাদের কাছে নকল সিল-স্বাক্ষর সব আছে। এখনো তারা এই কাজ করে খুব গোপনে। তবে তারা ব্যাংকে লোন করানোর জন্য ওই সময় এ কাজগুলো বেশি করত। বিভিন্ন ব্যাংকে তাদের একটি সিন্ডিকেট আছে, তাদের মধ্যেমে রানা-বিষা এ ধরণের অপকর্ম করে থাকে। জীবননগর দলিল লেখক সমিতির সভাপতি নুরুল ইসলামের ছায়াতলে থেকে রানা-বিশা এই চক্রটি প্রতিনিয়ত মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে। শুধু তাই নয়, তাদের সিন্ডিকেটে সাধারণ মানুষ দিশাহারা হয়ে পড়েছে।’

এদিকে, তাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর থেকে এলাকার মানুষ নুরুল ইসলাম, রানা ও বিষার ওপর ফুঁসে উঠেছে। তাদের একের পর এক অপকর্ম বেরিয়ে আসছে। রানা, বিষা বনে গেছে মানিক রতনে। এলাকায় গড়ে তুলেছে বহুতল ভবন। এ যেন আলাদীনের চ্যারাগ পাওয়ার মতো ঘটনা।

এ বিষয়ে রানা বলেন, ‘আমরা কোনো দুই নাম্বারি কাজ করিনি। তাছাড়া এই যুগে কোনো কর্মকর্তার স্বাক্ষার ও সিল জাল করে কাজ করা যায় না। আমাদের বিরুদ্ধে একটি চক্র মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে।’ বিষা বলেন, ‘আমার দলিল লেখা পেশা। এখান থেকে আমার আয় হয়, আমি কারো সাথে কোনো প্রতারণা করিনি।’

জীবননগর দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘রানা-বিষা কী করে না করে আমি কিছুই জানি না।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জীবননগরের সাব-রেজিস্ট্রার নফিয বিন যামান বলেন, ‘যদি কেউ স্বাক্ষর বা সিল জাল করে, আর প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’