ইপেপার । আজ শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

জীবননগরে বন বিভাগের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বেরিয়ে আসছে আরও গোপন তথ্য

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৭:৪৫:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ জুলাই ২০২২
  • / ৩০ বার পড়া হয়েছে

জীবননগর অফিস: জীবননগর বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে সামাজিক বনায়নের টাকা হরিলুটসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর এবার একের পর এক বেরিয়ে আসছে আরও গোপন তথ্য। আর নিজের অপকর্ম ধামাচাপা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন মহলে দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছেন তিনি। তৈরি করেছেন একটি সিন্ডিকেট। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গোপন করার জন্য জীবননগর উপজেলার বিভিন্ন সামাজিক বনায়নের সভাপতি-সম্পাদকের কাছে ধন্না দেওয়া শুরু করেছেন তিনি।

তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, জীবননগর বন বিভাগের নতুন ভবন নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। ওই ভবনে নিরাপদ পানির জন্য একটি টিউবওয়েল প্রয়োজন। সে কারণে ২০২০-২১ অর্থবছরে বাঁকা ইউনিয়নে জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে গভীর নলকূপ স্থাপনের জন্য যে নলকূলগুলো স্থাপন করা হয়, তার মধ্যে জীবননগর বন বিভাগেরর মধ্যে একটি নলকূপ স্থাপন করা হয়। সেখানে জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নেম প্লেট স্থাপন করলেও ওই কর্মকর্তা নিজের পকেট ভরার জন্য নেমপ্লেট তুলে নলকূপ স্থাপনের জন্য লাখ টাকার বিল করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এদিকে, জীবননগর উপজেলার উথলী ইউনিয়নের মানিকপুর ও সন্তোষপুর, দেহাটি রোডের গাছ কাটা হলেও তার কোনো অর্থ পায়নি ইউনিয়ন পরিষদ।

উথলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘মানিকপুর ও সন্তোষপুর রোডের গাছ কাটা হয়েছে, এটা আমি জানি। এই গাছ নিয়ে সমস্যা হয়েছে বলল বন বিভাগের কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম কাজল। এ জন্য এ গাছের কোনো অর্থ আমরা এখনো পাইনি।’

বাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের প্রধান বলেন, ‘জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে আমার ইউনিয়নে তিনটি গভীর নলকূল দিয়েছিল। এর মধ্যে একটি টিউবওয়েলের জন্য জীবননগর বন বিভাগ থেকে শরিফুল ইসলাম ৭ হাজার টাকা জমা দিয়ে একটি টিউবওয়েল বন বিভাগে স্থাপন করেন।

এ বিষয়ে জীবননগর বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম কাজলের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। একটি চক্র আমার নামে বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীদের নিকট মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি কোনো টিউবওয়েল স্থাপন করিনি এবং টিউবওয়েল গ্রহণ করিনি।’

জীবননগর উপজেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মো. রাজিব হোসেন জানান, জীবননগর বন বিভাগে একটি নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। এর জন্য তারা ৭ হাজার টাকা জমি দিয়েছিল। তাছাড়া আমাদের কাজ শেষে প্রতিটি কাজের নেমপ্লেট দেওয়া হয়। বন বিভাগেও দেওয়া হয়েছিল কিন্তু ওই নেমপ্লেটটা ওখান থেকে কে বা কারা তুলেছে সেটা বন বিভাগের কর্মরত ব্যক্তিরা কিছুই বলতে পারছেন না।

 

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

জীবননগরে বন বিভাগের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বেরিয়ে আসছে আরও গোপন তথ্য

আপলোড টাইম : ০৭:৪৫:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ জুলাই ২০২২

জীবননগর অফিস: জীবননগর বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে সামাজিক বনায়নের টাকা হরিলুটসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর এবার একের পর এক বেরিয়ে আসছে আরও গোপন তথ্য। আর নিজের অপকর্ম ধামাচাপা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন মহলে দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছেন তিনি। তৈরি করেছেন একটি সিন্ডিকেট। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গোপন করার জন্য জীবননগর উপজেলার বিভিন্ন সামাজিক বনায়নের সভাপতি-সম্পাদকের কাছে ধন্না দেওয়া শুরু করেছেন তিনি।

তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, জীবননগর বন বিভাগের নতুন ভবন নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। ওই ভবনে নিরাপদ পানির জন্য একটি টিউবওয়েল প্রয়োজন। সে কারণে ২০২০-২১ অর্থবছরে বাঁকা ইউনিয়নে জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে গভীর নলকূপ স্থাপনের জন্য যে নলকূলগুলো স্থাপন করা হয়, তার মধ্যে জীবননগর বন বিভাগেরর মধ্যে একটি নলকূপ স্থাপন করা হয়। সেখানে জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নেম প্লেট স্থাপন করলেও ওই কর্মকর্তা নিজের পকেট ভরার জন্য নেমপ্লেট তুলে নলকূপ স্থাপনের জন্য লাখ টাকার বিল করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এদিকে, জীবননগর উপজেলার উথলী ইউনিয়নের মানিকপুর ও সন্তোষপুর, দেহাটি রোডের গাছ কাটা হলেও তার কোনো অর্থ পায়নি ইউনিয়ন পরিষদ।

উথলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘মানিকপুর ও সন্তোষপুর রোডের গাছ কাটা হয়েছে, এটা আমি জানি। এই গাছ নিয়ে সমস্যা হয়েছে বলল বন বিভাগের কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম কাজল। এ জন্য এ গাছের কোনো অর্থ আমরা এখনো পাইনি।’

বাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের প্রধান বলেন, ‘জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে আমার ইউনিয়নে তিনটি গভীর নলকূল দিয়েছিল। এর মধ্যে একটি টিউবওয়েলের জন্য জীবননগর বন বিভাগ থেকে শরিফুল ইসলাম ৭ হাজার টাকা জমা দিয়ে একটি টিউবওয়েল বন বিভাগে স্থাপন করেন।

এ বিষয়ে জীবননগর বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম কাজলের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। একটি চক্র আমার নামে বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীদের নিকট মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি কোনো টিউবওয়েল স্থাপন করিনি এবং টিউবওয়েল গ্রহণ করিনি।’

জীবননগর উপজেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মো. রাজিব হোসেন জানান, জীবননগর বন বিভাগে একটি নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। এর জন্য তারা ৭ হাজার টাকা জমি দিয়েছিল। তাছাড়া আমাদের কাজ শেষে প্রতিটি কাজের নেমপ্লেট দেওয়া হয়। বন বিভাগেও দেওয়া হয়েছিল কিন্তু ওই নেমপ্লেটটা ওখান থেকে কে বা কারা তুলেছে সেটা বন বিভাগের কর্মরত ব্যক্তিরা কিছুই বলতে পারছেন না।