ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

জরায়ুমুখে ক্যানসার রোধে টিকা ক্যাম্পেইনের লক্ষে জেলা পর্যায়ে সংবাদ সম্মেলন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০১:০৭:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৩ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা জেলায় ৯০৪টি আউটরিচ টিকাকেন্দ্রে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ৫১ হাজার ৭৯২ কিশোরীকে জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধে এক ডোজ এইচপিভি (হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস) টিকা দেওয়া হবে। টিকাদান ক্যাম্পেইনে পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির ছাত্রীদের পাশাপাশি ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বহির্ভূত কিশোরীরাও এ টিকা পাবে। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টায় জেলা সিভিল সার্জনের সম্মেলনকক্ষে এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন উপলক্ষে জেলা পর্যায়ের সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। ইউনিসেফ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, গ্যাভি ও পাথের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. আওলিয়ার রহমান।
সভাপতির বক্তব্যে ডা. আওলিয়ার রহমান বলেন, ‘জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধী এইচপিভি টিকাদান কার্যক্রম সারা দেশের জন্য একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। বাংলাদেশে নারীদের ক্যানসারজনিত মৃত্যুর মধ্যে জরায়ুমুখ ক্যানসার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এইচপিভি টিকা জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধ করে। এ টিকা বিশ্বব্যাপী পরীক্ষিত, নিরাপদ ও কার্যকর। সরকার এই টিকা বিনামূল্যে দিচ্ছে। টিকা পেতে নিবন্ধন করতে হবে www.vaxepi.gov.bd  ওয়েবসাইটে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকের কিশোরী আগামী দিনের মা। সুতরাং তাদের সুস্বাস্থ্যের ওপর নির্ভর করবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বাস্থ্যসুরক্ষা। সরকার সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচিতে এবারই প্রথম এইচপিভি টিকা সংযোজন করেছে। এইচপিভি টিকা দেয়া হবে বিনামূল্যে। এক ডোজ এইচপিভি টিকা নিয়ে জরায়ুমুখ ক্যানসার রুখে দিতে হবে। এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির ছাত্রী এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বহির্ভূত ১০—১৪ বছর বয়সী কিশোরীদের জন্য পরিচালিত হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে থেকে বক্তব্য দেন সিনিয়ন সংবাদিক এম এ মামুন ও মিজানুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি ডা. ইমরান হাসিব খন্দকার, জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জুনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন ও পরিসংখ্যান কর্মকর্তা আক্তার হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, টিকাদান কার্যক্রমটি জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অনুষ্ঠিত হবে এবং স্থানীয় কমিউনিটি হেলথ ওয়ার্কারদের মাধ্যমে শিক্ষাবহির্ভূত কিশোরীদেরও টিকার আওতায় আনা হবে। জেলার মোট জনসংখ্যা ১৩ লাখ ৬০ হাজার ৫১। টিকাদান ক্যাম্পেইনের মোট ৫১ হাজার ৭৯২ লক্ষ্যমাত্রার পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রীর সংখ্যা ৫০ হাজার ৭৭৬ জন ও স্কুল বর্হিভূত কিশোরী ১ হাজার ১৬জন। আগামী ২৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির ছাত্রীদের এবং ৮ নভেম্বর থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত স্কুল বর্হিভূত কিশোরীদের জেলার ৮৯৬টি আউটরিচ ও ৮টি স্থায়ী টিকাকেন্দ্র মোট ২৯০ জন সরকারি ও বেসরকারি স্থায়ী কর্মী দ্বারা টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এবং ক্যাম্পেইনে প্রথম সারির ১১৮ জন তত্ত্বাবধায়ক থাকবেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

জরায়ুমুখে ক্যানসার রোধে টিকা ক্যাম্পেইনের লক্ষে জেলা পর্যায়ে সংবাদ সম্মেলন

আপলোড টাইম : ০১:০৭:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা জেলায় ৯০৪টি আউটরিচ টিকাকেন্দ্রে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ৫১ হাজার ৭৯২ কিশোরীকে জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধে এক ডোজ এইচপিভি (হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস) টিকা দেওয়া হবে। টিকাদান ক্যাম্পেইনে পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির ছাত্রীদের পাশাপাশি ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বহির্ভূত কিশোরীরাও এ টিকা পাবে। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টায় জেলা সিভিল সার্জনের সম্মেলনকক্ষে এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন উপলক্ষে জেলা পর্যায়ের সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। ইউনিসেফ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, গ্যাভি ও পাথের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. আওলিয়ার রহমান।
সভাপতির বক্তব্যে ডা. আওলিয়ার রহমান বলেন, ‘জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধী এইচপিভি টিকাদান কার্যক্রম সারা দেশের জন্য একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। বাংলাদেশে নারীদের ক্যানসারজনিত মৃত্যুর মধ্যে জরায়ুমুখ ক্যানসার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এইচপিভি টিকা জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধ করে। এ টিকা বিশ্বব্যাপী পরীক্ষিত, নিরাপদ ও কার্যকর। সরকার এই টিকা বিনামূল্যে দিচ্ছে। টিকা পেতে নিবন্ধন করতে হবে www.vaxepi.gov.bd  ওয়েবসাইটে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকের কিশোরী আগামী দিনের মা। সুতরাং তাদের সুস্বাস্থ্যের ওপর নির্ভর করবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বাস্থ্যসুরক্ষা। সরকার সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচিতে এবারই প্রথম এইচপিভি টিকা সংযোজন করেছে। এইচপিভি টিকা দেয়া হবে বিনামূল্যে। এক ডোজ এইচপিভি টিকা নিয়ে জরায়ুমুখ ক্যানসার রুখে দিতে হবে। এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির ছাত্রী এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বহির্ভূত ১০—১৪ বছর বয়সী কিশোরীদের জন্য পরিচালিত হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে থেকে বক্তব্য দেন সিনিয়ন সংবাদিক এম এ মামুন ও মিজানুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি ডা. ইমরান হাসিব খন্দকার, জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জুনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন ও পরিসংখ্যান কর্মকর্তা আক্তার হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, টিকাদান কার্যক্রমটি জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অনুষ্ঠিত হবে এবং স্থানীয় কমিউনিটি হেলথ ওয়ার্কারদের মাধ্যমে শিক্ষাবহির্ভূত কিশোরীদেরও টিকার আওতায় আনা হবে। জেলার মোট জনসংখ্যা ১৩ লাখ ৬০ হাজার ৫১। টিকাদান ক্যাম্পেইনের মোট ৫১ হাজার ৭৯২ লক্ষ্যমাত্রার পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রীর সংখ্যা ৫০ হাজার ৭৭৬ জন ও স্কুল বর্হিভূত কিশোরী ১ হাজার ১৬জন। আগামী ২৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির ছাত্রীদের এবং ৮ নভেম্বর থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত স্কুল বর্হিভূত কিশোরীদের জেলার ৮৯৬টি আউটরিচ ও ৮টি স্থায়ী টিকাকেন্দ্র মোট ২৯০ জন সরকারি ও বেসরকারি স্থায়ী কর্মী দ্বারা টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এবং ক্যাম্পেইনে প্রথম সারির ১১৮ জন তত্ত্বাবধায়ক থাকবেন।