ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে ডিসি মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫৪:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ মার্চ ২০২২
  • / ৩১ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদক:

চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খান। গত শুক্রবার (১৮ মার্চ) চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সরদার আল আমিন।

মতবিনিময়কালে চুয়াডাঙ্গার নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘সংবাদপত্র সমাজের দর্পণ। সংবাদপত্র সমাজের অসঙ্গতি যেমনি তুলে ধরে, তেমনি দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডও তুলে ধরে। আর একাজগুলো যারা তুলে ধরেন তারাই সাংবাদিক। নির্ভীক সাংবাদিকতা সমাজ-দেশকে ও জাতিকে এগিয়ে নেয়। আর এই কঠিন দায়িত্ব পালন করে থাকেন সাংবাদিকরা। আমি চুয়াডাঙ্গায় যোগদানের পর থেকেই এখানকার পরিচ্ছন্ন সাংবাদিকতা আমার নজরে এসেছে। দক্ষতার সঙ্গে নির্ভীক সাংবাদিকরা সমাজ ও দেশকে এগিয়ে নিতে পারেন। চুয়াডাঙ্গার সাংবাদিকদের কাছে আমি পেশাদারিত্ব সর্বদায় প্রত্যাশা করব। জনগণের সুবিধা-অসুবিধা উত্তরণে সাংবাদিকেরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকেন। তাই সাংবাদিকদের সহযোগিতা আমার কাছে অগ্রগণ্য। এছাড়া মাদক, বাল্যবিয়ে ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমি ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে এগিয়ে যাব। কারণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, আমাদের উচিত তাঁর পাশে থাকা। তাহলেই খুব দ্রুত উন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তোলা সম্ভব হবে।’

চুয়াডাঙ্গা জেলার উন্নয়নসহ সামগ্রিক বিষয় নিয়ে নিজের কিছু পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে ডিসি বলেন, ‘আমাদের কিছু পরিকল্পনা রয়েছে। সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। আলমডাঙ্গা উপজেলা একটি বড় উপজেলা। এই উপজেলা ভেঙে দুটো করা সম্ভব। সেটা নিয়েও ভাবা যায়। তাছাড়া যানজট ও ভোগান্তি কমাতে রেলওয়ের উপর ওভার ব্রিজ করার পরিকল্পনা তো রয়েছেই। এছাড়া যত দ্রুত সম্ভব জেলা শিল্পকলা একাডেমির ভবন নির্মাণসহ জেলাকে বি গ্রেডে উন্নতি করার চেষ্টা করবো। এ জেলায় যোগদানের পর আমি নানা উন্নয়ন পরিকল্পনা লিপিবদ্ধ করছি। আজ আপনাদের সুন্দর সুন্দর পরামর্শগুলোও নোট করেছি। সর্বোপরি চুয়াডাঙ্গা জেলার সার্বিক উন্নয়নে আমার চেষ্টার কোনো কমতি থাকবে না।’

সবশেষে ডিসি বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব জেলার প্রথম ও পুরোনো প্রেসক্লাব, তাই আমার কাছে এই ক্লাবের গুরুত্বই সর্বদা বেশি থাকবে। আপনারা প্রেসক্লাবের উন্নয়নসহ যেকোনো প্রয়োজনে আমাকে জানাবেন, আমি আপনাদের পাশে থাকব।’

মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রাজীব হাসান কচি। এছাড়া অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি, চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের সভাপতি ও দৈনিক সময়ের সমীকরণ-এর প্রধান সম্পাদক নাজমুল হক স্বপন, চুয়াডাঙ্গার সংবাদপত্র সম্পাদনা পরিষদের আহ্বায়ক ও দৈনিক পশ্চিমাঞ্চল পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক আজাদ মালিতা ও বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি, চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফ। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি, চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের সহসভাপতি শেখ সেলিম, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফাইজার চৌধুরী, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের নির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম ও শাহ আলম সনি। এর আগে সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করেন চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সদস্য মাহফুজ খান।

চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সহসাধারণ সম্পাদক ইসলাম রাকিবের প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তব্য দেন সাংবাদিক আবুল হাশেম, আব্দুস সালাম ও হুসাইন মালিক প্রমুখ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে ডিসি মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান

আপলোড টাইম : ০৯:৫৪:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ মার্চ ২০২২

সমীকরণ প্রতিবেদক:

চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খান। গত শুক্রবার (১৮ মার্চ) চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সরদার আল আমিন।

মতবিনিময়কালে চুয়াডাঙ্গার নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘সংবাদপত্র সমাজের দর্পণ। সংবাদপত্র সমাজের অসঙ্গতি যেমনি তুলে ধরে, তেমনি দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডও তুলে ধরে। আর একাজগুলো যারা তুলে ধরেন তারাই সাংবাদিক। নির্ভীক সাংবাদিকতা সমাজ-দেশকে ও জাতিকে এগিয়ে নেয়। আর এই কঠিন দায়িত্ব পালন করে থাকেন সাংবাদিকরা। আমি চুয়াডাঙ্গায় যোগদানের পর থেকেই এখানকার পরিচ্ছন্ন সাংবাদিকতা আমার নজরে এসেছে। দক্ষতার সঙ্গে নির্ভীক সাংবাদিকরা সমাজ ও দেশকে এগিয়ে নিতে পারেন। চুয়াডাঙ্গার সাংবাদিকদের কাছে আমি পেশাদারিত্ব সর্বদায় প্রত্যাশা করব। জনগণের সুবিধা-অসুবিধা উত্তরণে সাংবাদিকেরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকেন। তাই সাংবাদিকদের সহযোগিতা আমার কাছে অগ্রগণ্য। এছাড়া মাদক, বাল্যবিয়ে ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমি ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে এগিয়ে যাব। কারণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, আমাদের উচিত তাঁর পাশে থাকা। তাহলেই খুব দ্রুত উন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তোলা সম্ভব হবে।’

চুয়াডাঙ্গা জেলার উন্নয়নসহ সামগ্রিক বিষয় নিয়ে নিজের কিছু পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে ডিসি বলেন, ‘আমাদের কিছু পরিকল্পনা রয়েছে। সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। আলমডাঙ্গা উপজেলা একটি বড় উপজেলা। এই উপজেলা ভেঙে দুটো করা সম্ভব। সেটা নিয়েও ভাবা যায়। তাছাড়া যানজট ও ভোগান্তি কমাতে রেলওয়ের উপর ওভার ব্রিজ করার পরিকল্পনা তো রয়েছেই। এছাড়া যত দ্রুত সম্ভব জেলা শিল্পকলা একাডেমির ভবন নির্মাণসহ জেলাকে বি গ্রেডে উন্নতি করার চেষ্টা করবো। এ জেলায় যোগদানের পর আমি নানা উন্নয়ন পরিকল্পনা লিপিবদ্ধ করছি। আজ আপনাদের সুন্দর সুন্দর পরামর্শগুলোও নোট করেছি। সর্বোপরি চুয়াডাঙ্গা জেলার সার্বিক উন্নয়নে আমার চেষ্টার কোনো কমতি থাকবে না।’

সবশেষে ডিসি বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব জেলার প্রথম ও পুরোনো প্রেসক্লাব, তাই আমার কাছে এই ক্লাবের গুরুত্বই সর্বদা বেশি থাকবে। আপনারা প্রেসক্লাবের উন্নয়নসহ যেকোনো প্রয়োজনে আমাকে জানাবেন, আমি আপনাদের পাশে থাকব।’

মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রাজীব হাসান কচি। এছাড়া অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি, চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের সভাপতি ও দৈনিক সময়ের সমীকরণ-এর প্রধান সম্পাদক নাজমুল হক স্বপন, চুয়াডাঙ্গার সংবাদপত্র সম্পাদনা পরিষদের আহ্বায়ক ও দৈনিক পশ্চিমাঞ্চল পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক আজাদ মালিতা ও বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি, চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফ। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি, চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের সহসভাপতি শেখ সেলিম, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফাইজার চৌধুরী, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের নির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম ও শাহ আলম সনি। এর আগে সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করেন চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সদস্য মাহফুজ খান।

চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সহসাধারণ সম্পাদক ইসলাম রাকিবের প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তব্য দেন সাংবাদিক আবুল হাশেম, আব্দুস সালাম ও হুসাইন মালিক প্রমুখ।