ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:৪৬:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ১৫ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদক:
আগামী ২৪, ২৫ ও ২৬ জানুয়ারি জেলা প্রশাসক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এ সম্মেলনে উত্থাপনযোগ্য চুয়াডাঙ্গার সমস্যা, উন্নয়ন প্রকল্প, চলমান ও সম্প্রতি সম্পন্ন প্রকল্পসমূহসহ সম্ভাবনা প্রস্তাবসমূহ জেলা প্রশাসকের সংস্থাপন শাখার ই-মেইলে ১৭ জানুয়ারির মধ্যে প্রেরণের আহ্বান জানানো হয়েছে। গতকাল রোববার জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান এ আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, চুয়াডাঙ্গার সার্বিক উন্নয়নে জেলায় কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কর্তব্যপরায়ণ হওয়া প্রয়োজন।

গতকাল রোববার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান সভাটির সভাপতিত্ব করেন। সভায় তিনি জেলার সকল সরকারি দপ্তরের চলমান এবং পরবর্তী করণীয় বিষয়সমূহ সম্পর্কে অবগত হন। এসময় গত সভার কার্যবিবরণী উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাজমুল হামিদ রেজা।

সভায় চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাৎ হাসান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু তারেক, সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. এএসএম ফাতেহ আকরাম, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার প্যানেল মেয়র রত্না, জেলার ৪টি উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণসহ জীবননগর উপজেলা চেয়ারম্যান, গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রেেকৗশলী, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীল প্রতিনিধি সহকারী প্রকৌশলী, স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের চুয়াডাঙ্গা উপ-পরিচালক, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার প্রতিনিধি উপজেলা কর্মকর্তা, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা, জেলা শিক্ষা অফিসার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলীর প্রতিনিধি সহকারী প্রকৌশলী, মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতির চুয়াডাঙ্গা কর্মকর্তার প্রতিনিধি, শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের প্রতিনিধি, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মকর্তা, জেলা শিশুবিষয়ক কর্মকর্তা, জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক প্রমুখ আলোচনা করেন। সভায় জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই’র চুয়াডাঙ্গার নবাগত উপ-পরিচালক মো. ইয়াছিনকে সভয় নতুন হিসেবে স্বাগত জানানো হয়। এছাড়াও জেলার সরকারি প্রায় সকল দপ্তরের কর্মকর্তা অথবা তাদের প্রতিনিধি সভায় উপস্থিত থেকে দপ্তরের চলমান কার্যক্রমসহ পরবর্তীতে করণীয় সম্পর্কে তথ্য উপস্থাপন করেন।

সভায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়। বলা হয়, সদর হাসপাতালটি অবকাঠামোগতভাবে আড়াইশ শয্যার হলেও লোকবল রয়েছে ৫১ শয্যা হাসপাতালের। খাবারসহ প্রয়োজনীয় পথ্যসামগ্রী পাওয়া যায় ১ শ শয্যার। তবে সরকারিভাবে পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহ থাকায় তা নিয়ে তেমন সমস্যা নেই। তবে কলেরা স্যালাইন বরাদ্দ কম রয়েছে। সিভিল সার্জন তাঁর বক্তব্যে তীব্র শীতে চুয়াডাঙ্গাবাসীকে শীতজনিত অসুস্থতা থেকে রেহায় পেতে সকলকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘শিশু ও বয়স্কদের দিকে পরিবারের সদস্যদের বাড়তি নজর দেয়া প্রয়োজন রয়েছে। ঠান্ডাপানি এড়িয়ে হাল্কা উষ্ণপানি পান করাসহ সকল কাজে ব্যবহার করতে পারলে শীতের মধ্যে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।’

কৃষি সম্প্রসারণের তরফে বলা হয়, জেলার আবাদযোগ্য জমির প্রায় সবই আবাদের আওতায় নেয়া হয়েছে। বাড়ির আশেপাশের জমিতেও শাক-সবজির আবাদ করার জন্য উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। প্রাণিসম্পদক বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলা হয়, চুয়াডাঙ্গার ব্র্যান্ড হলো ব্লাকবেঙ্গল গোট। কালো ছাগলের এ প্রজাতি টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। মাংস প্রক্রিয়াজাত করণের মাধ্যমে রপ্তানির দ্বার খুলতে হবে। জেলায় উৎপাদিত কৃষিপণ্যের মধ্যে বাঁধাকপি বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। বেশি বেশি করে রপ্তানির ব্যবস্থা করতে মাত্রারিক্ত কীটনাশক প্রয়োগে কৃষককূলকে অবশ্যই সচেতন করা প্রয়োজন।

সভার সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান উপরোক্ত বিষয়সমূহ বাস্তবায়নে পুনঃপুনঃ তাগিদ দিয়ে বলেন, ‘আমরা যে যেখানে কর্মরত রয়েছি সে সেখানে থেকে নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব যথযথভাবে পালন করলে চুয়াডাঙ্গার উন্নয়নে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করা সম্ভব হবে। আমরা সে লক্ষে সকলে সমন্বয়ের ভিত্তিতে কাজ করে যাচ্ছি। বাস্তবভিত্তিক কাজের গতি আমাদের আরও বেগবান করতে হবে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গা জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান

আপলোড টাইম : ১১:৪৬:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদক:
আগামী ২৪, ২৫ ও ২৬ জানুয়ারি জেলা প্রশাসক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এ সম্মেলনে উত্থাপনযোগ্য চুয়াডাঙ্গার সমস্যা, উন্নয়ন প্রকল্প, চলমান ও সম্প্রতি সম্পন্ন প্রকল্পসমূহসহ সম্ভাবনা প্রস্তাবসমূহ জেলা প্রশাসকের সংস্থাপন শাখার ই-মেইলে ১৭ জানুয়ারির মধ্যে প্রেরণের আহ্বান জানানো হয়েছে। গতকাল রোববার জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান এ আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, চুয়াডাঙ্গার সার্বিক উন্নয়নে জেলায় কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কর্তব্যপরায়ণ হওয়া প্রয়োজন।

গতকাল রোববার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান সভাটির সভাপতিত্ব করেন। সভায় তিনি জেলার সকল সরকারি দপ্তরের চলমান এবং পরবর্তী করণীয় বিষয়সমূহ সম্পর্কে অবগত হন। এসময় গত সভার কার্যবিবরণী উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাজমুল হামিদ রেজা।

সভায় চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাৎ হাসান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু তারেক, সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. এএসএম ফাতেহ আকরাম, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার প্যানেল মেয়র রত্না, জেলার ৪টি উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণসহ জীবননগর উপজেলা চেয়ারম্যান, গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রেেকৗশলী, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীল প্রতিনিধি সহকারী প্রকৌশলী, স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের চুয়াডাঙ্গা উপ-পরিচালক, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার প্রতিনিধি উপজেলা কর্মকর্তা, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা, জেলা শিক্ষা অফিসার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলীর প্রতিনিধি সহকারী প্রকৌশলী, মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতির চুয়াডাঙ্গা কর্মকর্তার প্রতিনিধি, শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের প্রতিনিধি, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মকর্তা, জেলা শিশুবিষয়ক কর্মকর্তা, জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক প্রমুখ আলোচনা করেন। সভায় জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই’র চুয়াডাঙ্গার নবাগত উপ-পরিচালক মো. ইয়াছিনকে সভয় নতুন হিসেবে স্বাগত জানানো হয়। এছাড়াও জেলার সরকারি প্রায় সকল দপ্তরের কর্মকর্তা অথবা তাদের প্রতিনিধি সভায় উপস্থিত থেকে দপ্তরের চলমান কার্যক্রমসহ পরবর্তীতে করণীয় সম্পর্কে তথ্য উপস্থাপন করেন।

সভায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়। বলা হয়, সদর হাসপাতালটি অবকাঠামোগতভাবে আড়াইশ শয্যার হলেও লোকবল রয়েছে ৫১ শয্যা হাসপাতালের। খাবারসহ প্রয়োজনীয় পথ্যসামগ্রী পাওয়া যায় ১ শ শয্যার। তবে সরকারিভাবে পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহ থাকায় তা নিয়ে তেমন সমস্যা নেই। তবে কলেরা স্যালাইন বরাদ্দ কম রয়েছে। সিভিল সার্জন তাঁর বক্তব্যে তীব্র শীতে চুয়াডাঙ্গাবাসীকে শীতজনিত অসুস্থতা থেকে রেহায় পেতে সকলকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘শিশু ও বয়স্কদের দিকে পরিবারের সদস্যদের বাড়তি নজর দেয়া প্রয়োজন রয়েছে। ঠান্ডাপানি এড়িয়ে হাল্কা উষ্ণপানি পান করাসহ সকল কাজে ব্যবহার করতে পারলে শীতের মধ্যে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।’

কৃষি সম্প্রসারণের তরফে বলা হয়, জেলার আবাদযোগ্য জমির প্রায় সবই আবাদের আওতায় নেয়া হয়েছে। বাড়ির আশেপাশের জমিতেও শাক-সবজির আবাদ করার জন্য উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। প্রাণিসম্পদক বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলা হয়, চুয়াডাঙ্গার ব্র্যান্ড হলো ব্লাকবেঙ্গল গোট। কালো ছাগলের এ প্রজাতি টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। মাংস প্রক্রিয়াজাত করণের মাধ্যমে রপ্তানির দ্বার খুলতে হবে। জেলায় উৎপাদিত কৃষিপণ্যের মধ্যে বাঁধাকপি বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। বেশি বেশি করে রপ্তানির ব্যবস্থা করতে মাত্রারিক্ত কীটনাশক প্রয়োগে কৃষককূলকে অবশ্যই সচেতন করা প্রয়োজন।

সভার সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান উপরোক্ত বিষয়সমূহ বাস্তবায়নে পুনঃপুনঃ তাগিদ দিয়ে বলেন, ‘আমরা যে যেখানে কর্মরত রয়েছি সে সেখানে থেকে নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব যথযথভাবে পালন করলে চুয়াডাঙ্গার উন্নয়নে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করা সম্ভব হবে। আমরা সে লক্ষে সকলে সমন্বয়ের ভিত্তিতে কাজ করে যাচ্ছি। বাস্তবভিত্তিক কাজের গতি আমাদের আরও বেগবান করতে হবে।’