ইপেপার । আজ সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৪৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ নভেম্বর ২০২২
  • / ২৭ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন: জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান সরকারি সেবা শতভাগ নিশ্চিত করার লক্ষে নিজ নিজ ক্ষেত্রে আন্তরিক হওয়ার পুনঃআহ্বান জানিয়ে বলেছেন, সরকারি নির্দেশনা মেনে সর্বক্ষেত্রে স্বচ্ছ্বতার সাথে সমন্বয়ের ভিত্তিতে কাজ করা আমাদের কর্তব্যেরই অংশ। এটা করতে পারলে চুয়াডাঙ্গায় উন্নয়নের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করা সম্ভব।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে গতকাল রোববার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় গতসভার কার্যবিবরণী তথা সিদ্ধান্তসমূহ উপস্থাপন করেন জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সদস্যসচিব অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাজিয়া আফরীন। উপস্থিত থেকে নিজ নিজ দপ্তরে গৃহীত কর্মসূচিসহ সুবিধা-অসুবিধা সবিস্তারে উপস্থাপন করেন জেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ, উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণসহ উপজেলা ও পৌর মেয়র বা তাঁদের প্রতিনিধিরা।

সভায় চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনের অদূরে মাছের আড়ৎ স্থানান্তরের বিষয় সড়ক ও জনপথ বিভাগের নয়, পৌরসভার ওপর বিশেষভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। বলা হয়, পৌর এলাকায় সুবিধামত স্থান নির্ধারণ করে যত দ্রুত সম্ভব মাছের আড়ৎ স্থানান্তর করতে হবে। মাছের আড়ৎ পট্টির নিকট সড়কে পানি পড়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ায় তা সংস্কারের ওপরও গুরুত্বারোপ করে সড়ক ও জনপথ বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। সভার সভাপতি আলোচনার একপর্যায়ে জেলা শহরের প্রধান সড়ক শহীদ আবুল কাশেম সড়কের রেল লেবেল ক্রসিঙে ফ্লাইওভার নির্মাণে একনেক কর্তৃক অনুমোদন হলেও তা বাস্তবায়নে বিলম্বের কারণ সম্পর্কে জানতে চান।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের চুয়াডাঙ্গা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, ইতঃমধ্যেই পিডি নিযুক্ত করা হয়েছে বলে শুনেছি। আশা করা যায়, অল্প সময়ের মধ্যেই দরপত্র আহ্বানসহ পরবর্তী কার্যক্রম শুরু হবে। চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের প্রবেশমুখগুলোতে সড়কের দুপাশে পৌর এলাকার বর্জ্য ফেলার কারণে বিকট দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে বলেও উপস্থিত এক সদস্য উপস্থাপন করেন। এ বিষয়ে পৌরসভা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, জন্মনিবন্ধনের টাকা সরকারি কোষাগারে যথাযথভাবে যাতে জমা প্রদান করা হয়, সেদিকে পৌর পরিষদকে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন রয়েছে।
জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু তারেক জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে জানিয়ে বলেন, জেলা পুলিশ সর্বস্তরের সচেতন মহলের সহযোগিতা নিয়ে সর্বদা সাজাগ রয়েছে। সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাত হোসেন কোভিড-১৯ এর টিকার অগ্রগতিসহ জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চললে এবং সরকারিভাবে স্বাস্থ্য সেবার মান বৃদ্ধিরও আন্তরিক চেষ্টা রয়েছে বলে জানান। জীবননগর পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম জীবননগরে বাস টার্মিনাল, মাছ পট্টি এবং হরিজন পল্লী স্থাপনসহ বেশকিছু উন্নয়নে প্রশাসনের সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে জনদুর্ভোগ লাঘবের তাগিদ দেন।

জেলা শিক্ষা অফিসার আতিয়ার রহমান ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান জেলার শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে চলমান কর্মসূচি বাস্তবায়নের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন। তথ্য অফিসারও সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক প্রয়োজনীয় কর্মসূচি যথাযথভাবে প্রতিপালন করার কথা উল্লেখ করেন। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক বিভাষ চন্দ্র জেলার কৃষি উৎপাদনের সংক্ষিপ্ত চিত্র তুলে ধরেন। চুয়াডাঙ্গায় পাসপোর্ট অফিসে নবনিযুক্ত কর্মকর্তাকে স্বাগত জানিয়ে জেলা প্রশাসক স্বচ্ছ্বতার সাথে দায়িত্বপালনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, পাসপোর্ট পাওয়া দেশের সকল নাগরিকেরই অধিকার রয়েছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দ্রুত যাচাই-বাছাই করে স্বল্প সময়ে যাতে পাসপোর্ট পায়, তা নিশ্চিত করতে পারলে হয়রানির অভিযোগ উত্থাপন হবে না।

জেলা প্রশাসক আয়কর বিভাগের চলমান কর্মকাণ্ডে প্রচার-প্রচারণায় ঘাটতি রয়েছে কি না তা খোঁজ নিয়ে বলেন, সরকার নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণে পর্যাপ্ত প্রচার-প্রচারণার প্রয়োজন রয়েছে। এ বিষয়ে কর বিভাগের চুয়াডাঙ্গা কর্মকর্তা বলেন, আয়কর তথ্য ও সেবা মাস চলছে। খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা জেলায় ধান ও চাল সংগ্রহের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার কিছুটা বর্ণনা দেন। জেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা উপস্থিত সকলের সহযোগিতা কামনা করে বলেন, জেলায় এবার মোট ৬ হাজার ৬২৪ জন নারীকে ভাতা দেয়ার জন্য কার্ড দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। এ জন্য আবেদন সংগ্রহের কাজ চলছে। কার্ডধারীরা প্রতিমাসে ৩০ কেজি করে চালসহ বিভিন্ন সুবিধা পাবেন। ফরম পূরণের জন্য জেলা ও উপজেলা তথ্য আপা, ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য সেবা কেন্দ্রে সহজেই ফরম পুরণ করতে পারবেন। জেলা অফিসে সরাসরি যোগাযোগ করলেও ফরম পূরণ করে নেওয়া হবে। তবে যেসকল নারীরা বিভিন্ন ভাতা বা সুবিধা পাচ্ছেন, তাদের এই কার্ডের আওতায় নেওয়া হবে না।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক উপস্থিত সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, প্রান্তিক জনগণের মাঝে এ তথ্য প্রচার করতে হবে। যাতে ভাতা পাওয়ার উপযোগী নারীরা আবেদন করে সরকারি সুবিধা নিতে পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। জেলা প্রশাসক তাঁর বক্তব্যে বিশ^কাপ ফুটবল খেলা চলাকালে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান। একই সাথে খেলার উন্মাদনায় মেতে অপ্রীতিকর ঘটনায় যাতে কেউ জড়িয়ে না পড়ে, সেদিকেও সকলকে বিশেষ দৃষ্টি রাখার কথা মনে করিয়ে দেন। এছাড়াও বৈদ্যুতিক ট্রান্সমিটার চুরি, টেলিফোনের তার চুরি রোধে সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী তথা সুবিধাভোগীদের বিশেষভাবে সজাগ করার পাশাপাশি পুলিশি নজরদারি বৃদ্ধিরও তাগিদ দেন। জীবননগর উপজেলার হাসাদাহ ইউনিয়ন পরিষদ ভবন জরাজীর্ণ। জরাজীর্ণ ভবনে চলছে পরিষদের কার্যক্রম। এ ইউনিয়ন পরিষদের এক প্রান্তে পরিষদেরই একটি স্থাপনায় রয়েছে পুলিশ ফাঁড়ি। পুলিশ ফাঁড়ি হিসেবে ব্যবহৃত ভবনটিও ঝুঁিকপূর্ণ। দ্রুত নির্মাণের লক্ষে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।

উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভা শেষে জেলা প্রশাসক সকলকে সমন্বয়ের ভিত্তিতে কাজ করার কথা মনে করিয়ে দিয়ে উন্নয়ন তরান্বিত করার পুনঃআহ্বান জানিয়ে সভায় উপস্থিত থেকে গুরুত্বপূর্ণ মতামত প্রদানে সকলের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গা জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান

আপলোড টাইম : ১০:৪৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ নভেম্বর ২০২২

সমীকরণ প্রতিবেদন: জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান সরকারি সেবা শতভাগ নিশ্চিত করার লক্ষে নিজ নিজ ক্ষেত্রে আন্তরিক হওয়ার পুনঃআহ্বান জানিয়ে বলেছেন, সরকারি নির্দেশনা মেনে সর্বক্ষেত্রে স্বচ্ছ্বতার সাথে সমন্বয়ের ভিত্তিতে কাজ করা আমাদের কর্তব্যেরই অংশ। এটা করতে পারলে চুয়াডাঙ্গায় উন্নয়নের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করা সম্ভব।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে গতকাল রোববার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় গতসভার কার্যবিবরণী তথা সিদ্ধান্তসমূহ উপস্থাপন করেন জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সদস্যসচিব অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাজিয়া আফরীন। উপস্থিত থেকে নিজ নিজ দপ্তরে গৃহীত কর্মসূচিসহ সুবিধা-অসুবিধা সবিস্তারে উপস্থাপন করেন জেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ, উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণসহ উপজেলা ও পৌর মেয়র বা তাঁদের প্রতিনিধিরা।

সভায় চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনের অদূরে মাছের আড়ৎ স্থানান্তরের বিষয় সড়ক ও জনপথ বিভাগের নয়, পৌরসভার ওপর বিশেষভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। বলা হয়, পৌর এলাকায় সুবিধামত স্থান নির্ধারণ করে যত দ্রুত সম্ভব মাছের আড়ৎ স্থানান্তর করতে হবে। মাছের আড়ৎ পট্টির নিকট সড়কে পানি পড়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ায় তা সংস্কারের ওপরও গুরুত্বারোপ করে সড়ক ও জনপথ বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। সভার সভাপতি আলোচনার একপর্যায়ে জেলা শহরের প্রধান সড়ক শহীদ আবুল কাশেম সড়কের রেল লেবেল ক্রসিঙে ফ্লাইওভার নির্মাণে একনেক কর্তৃক অনুমোদন হলেও তা বাস্তবায়নে বিলম্বের কারণ সম্পর্কে জানতে চান।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের চুয়াডাঙ্গা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, ইতঃমধ্যেই পিডি নিযুক্ত করা হয়েছে বলে শুনেছি। আশা করা যায়, অল্প সময়ের মধ্যেই দরপত্র আহ্বানসহ পরবর্তী কার্যক্রম শুরু হবে। চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের প্রবেশমুখগুলোতে সড়কের দুপাশে পৌর এলাকার বর্জ্য ফেলার কারণে বিকট দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে বলেও উপস্থিত এক সদস্য উপস্থাপন করেন। এ বিষয়ে পৌরসভা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, জন্মনিবন্ধনের টাকা সরকারি কোষাগারে যথাযথভাবে যাতে জমা প্রদান করা হয়, সেদিকে পৌর পরিষদকে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন রয়েছে।
জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু তারেক জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে জানিয়ে বলেন, জেলা পুলিশ সর্বস্তরের সচেতন মহলের সহযোগিতা নিয়ে সর্বদা সাজাগ রয়েছে। সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাত হোসেন কোভিড-১৯ এর টিকার অগ্রগতিসহ জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চললে এবং সরকারিভাবে স্বাস্থ্য সেবার মান বৃদ্ধিরও আন্তরিক চেষ্টা রয়েছে বলে জানান। জীবননগর পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম জীবননগরে বাস টার্মিনাল, মাছ পট্টি এবং হরিজন পল্লী স্থাপনসহ বেশকিছু উন্নয়নে প্রশাসনের সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে জনদুর্ভোগ লাঘবের তাগিদ দেন।

জেলা শিক্ষা অফিসার আতিয়ার রহমান ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান জেলার শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে চলমান কর্মসূচি বাস্তবায়নের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন। তথ্য অফিসারও সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক প্রয়োজনীয় কর্মসূচি যথাযথভাবে প্রতিপালন করার কথা উল্লেখ করেন। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক বিভাষ চন্দ্র জেলার কৃষি উৎপাদনের সংক্ষিপ্ত চিত্র তুলে ধরেন। চুয়াডাঙ্গায় পাসপোর্ট অফিসে নবনিযুক্ত কর্মকর্তাকে স্বাগত জানিয়ে জেলা প্রশাসক স্বচ্ছ্বতার সাথে দায়িত্বপালনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, পাসপোর্ট পাওয়া দেশের সকল নাগরিকেরই অধিকার রয়েছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দ্রুত যাচাই-বাছাই করে স্বল্প সময়ে যাতে পাসপোর্ট পায়, তা নিশ্চিত করতে পারলে হয়রানির অভিযোগ উত্থাপন হবে না।

জেলা প্রশাসক আয়কর বিভাগের চলমান কর্মকাণ্ডে প্রচার-প্রচারণায় ঘাটতি রয়েছে কি না তা খোঁজ নিয়ে বলেন, সরকার নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণে পর্যাপ্ত প্রচার-প্রচারণার প্রয়োজন রয়েছে। এ বিষয়ে কর বিভাগের চুয়াডাঙ্গা কর্মকর্তা বলেন, আয়কর তথ্য ও সেবা মাস চলছে। খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা জেলায় ধান ও চাল সংগ্রহের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার কিছুটা বর্ণনা দেন। জেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা উপস্থিত সকলের সহযোগিতা কামনা করে বলেন, জেলায় এবার মোট ৬ হাজার ৬২৪ জন নারীকে ভাতা দেয়ার জন্য কার্ড দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। এ জন্য আবেদন সংগ্রহের কাজ চলছে। কার্ডধারীরা প্রতিমাসে ৩০ কেজি করে চালসহ বিভিন্ন সুবিধা পাবেন। ফরম পূরণের জন্য জেলা ও উপজেলা তথ্য আপা, ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য সেবা কেন্দ্রে সহজেই ফরম পুরণ করতে পারবেন। জেলা অফিসে সরাসরি যোগাযোগ করলেও ফরম পূরণ করে নেওয়া হবে। তবে যেসকল নারীরা বিভিন্ন ভাতা বা সুবিধা পাচ্ছেন, তাদের এই কার্ডের আওতায় নেওয়া হবে না।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক উপস্থিত সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, প্রান্তিক জনগণের মাঝে এ তথ্য প্রচার করতে হবে। যাতে ভাতা পাওয়ার উপযোগী নারীরা আবেদন করে সরকারি সুবিধা নিতে পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। জেলা প্রশাসক তাঁর বক্তব্যে বিশ^কাপ ফুটবল খেলা চলাকালে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান। একই সাথে খেলার উন্মাদনায় মেতে অপ্রীতিকর ঘটনায় যাতে কেউ জড়িয়ে না পড়ে, সেদিকেও সকলকে বিশেষ দৃষ্টি রাখার কথা মনে করিয়ে দেন। এছাড়াও বৈদ্যুতিক ট্রান্সমিটার চুরি, টেলিফোনের তার চুরি রোধে সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী তথা সুবিধাভোগীদের বিশেষভাবে সজাগ করার পাশাপাশি পুলিশি নজরদারি বৃদ্ধিরও তাগিদ দেন। জীবননগর উপজেলার হাসাদাহ ইউনিয়ন পরিষদ ভবন জরাজীর্ণ। জরাজীর্ণ ভবনে চলছে পরিষদের কার্যক্রম। এ ইউনিয়ন পরিষদের এক প্রান্তে পরিষদেরই একটি স্থাপনায় রয়েছে পুলিশ ফাঁড়ি। পুলিশ ফাঁড়ি হিসেবে ব্যবহৃত ভবনটিও ঝুঁিকপূর্ণ। দ্রুত নির্মাণের লক্ষে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।

উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভা শেষে জেলা প্রশাসক সকলকে সমন্বয়ের ভিত্তিতে কাজ করার কথা মনে করিয়ে দিয়ে উন্নয়ন তরান্বিত করার পুনঃআহ্বান জানিয়ে সভায় উপস্থিত থেকে গুরুত্বপূর্ণ মতামত প্রদানে সকলের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।