ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা জেলা আ.লীগের বর্ধিত সভা আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ০৯:০২:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ নভেম্বর ২০২১
  • / ৪৮ বার পড়া হয়েছে

দীর্ঘ ৬ বছর পর আজ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা। সম্পন্ন হয়েছে সকল প্রকার প্রস্তুতি। সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গনে এ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হবে। বর্ধিত সভাকে ঘিরে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে চুয়াডাঙ্গা আওয়ামী রাজনৈতিক অঙ্গনে। ব্যানার, ফেস্টুন আর রাস্তায় বড় বড় তোরণে সাজানো হয়েছে জেলাকে। কেন্দ্রীয় আ.লীগের ৬ জন নেতা এ সভায় থাকছেন। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী বর্ধিত সভায় থাকতে পারবেন এমন নেতাদের দাওয়াত পত্রও পৌছে দেওয়া হয়েছে। এবারের বর্ধিত সভায় সিদ্ধান্ত হবে জেলা ও উপজেলা আ.লীগের সম্মেলন কবে হবে। এছাড়াও, সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে এ সভায়।

বর্ধিত সভা উপলক্ষে গত চারদিনে জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন ১শ জন করে ৪শ জন শ্রমিক কাজ করেছেন। বর্ধিত সভার স্থল চুয়াডাঙ্গা কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গনে তৈরি করা হয়েছে ২০ ফিট/৩০ফিটের বিশাল মঞ্চ। পুরো কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ চত্বর জুড়ে টাঙানো হয়েছে বড় বড় সামিয়ানা। ৬শ চেয়ার দেওয়া হয়েছে সভাস্থলে। গত চারদিন ধরে এ সভাস্থলে প্রতিদিন ১৫জন করে ৬০ জন শ্রমিক কাজ করেছেন।
এদিকে, সন্ধ্যায় বর্ধিত সভাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি, চুয়াডাঙ্গা জেলা আ.লীগের সহসভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগর টগর, জেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটনসহ জেলা আ.লীগের ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। পুরো এ আয়োজনে সরাসরি নিজে নির্দেশনা দিচ্ছেন জেলা আ.লীগের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি। সার্বিক তত্বাবধান করছেন জেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন। বর্ধিত সভা উপলক্ষে মঞ্চ, প্যান্ডেল ও গেট বিষয়ক উপ-কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন জেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান।

২০১৫ সালে সর্বশেষ বর্ধিত সভা হয় চুয়াডাঙ্গাতে। এরপর এই দীর্ঘ সময়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা আ.লীগের আর কোনো বর্ধিত সভা হয়নি। সেজন্য দীর্ঘদিন পর হওয়া এই বর্ধিত সভাকে ঘিরে জেলা আ.লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে উৎসবের আমেজ। চুয়াডাঙ্গার প্রবেশমুখ বদরগঞ্জ বাজার ও জীবননগরের হাসাদহ থেকে চুয়াডাঙ্গা সার্কিট হাউজ পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে আ.লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা দৃষ্টিনন্দন তোরণ তৈরি করছেন। শহরের রাস্তাগুলোতে দেওয়া হচ্ছে ব্যানার ফেস্টুন।

জেলা আ.লীগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জেলা কমিটির সকল সদস্য-৭৪জন, ৪টি উপজেলা আ.লীগের কমিটির সকল সদস্য-২৯৬জন, সদর পৌর আ.লীগের কমিটির সকল সদস্য-৭৪জন, জেলার সকল ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি/সম্পাদক-৮২জন, আলমডাঙ্গা, জীবননগর ও দর্শনা পৌর আ.লীগের সভাপতি/সম্পাদক-৬জন, ৪টি পৌরসভার দলীয় ৪জন মেয়র, ৪টি উপজেলার ৪জন দলীয় চেয়ারম্যান, ৪টি উপজেলার ৮জন দলীয় পুরুষ/মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একজন এ বর্ধিত সভায় থাকবেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় আ.লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকছেন কেন্দ্রীয় আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দীন নাসিম। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল। চুয়াডাঙ্গা জেলা আ.লীগের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপির সভাপতিত্বে ও জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদের পরিচালনায় এ বর্ধিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ আ.লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাড. মো. আমিরুল আলম মিলন এমপি, পারভীন জামান কল্পনা ও অ্যাড. গ্লোরিয়া সরকার র্ঝণা এমপি।

অনুষ্ঠিতব্য এই বর্ধিত সভা নিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা আ.লীগের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি বলেন, কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী বর্ধিত সভায় থাকতে পারবেন এমন নেতাকর্মীদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। বর্ধিত সভা হলে কর্মীরা উজ্জীবিত হয়। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আসবেন। আমাদের নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া মেসেজ কেন্দ্রীয় নেতারা আমাদের তৃণমূল পর্যায়ে পৌছে দিবেন। এই বর্ধিত সভার মূল থিম হলো তৃণমূলকে সুসংগঠিত করা। চুয়াডাঙ্গার উপজেলা ও পৌর কমিটিগুলোর মধ্যে যেগুলোর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে এবং সম্মেলন হয়নি, তাঁদের সম্মেলন করার একটি মেসেজ অবশ্যই থাকবে। তারপর কেন্দ্র, জেলা কমিটির সম্মেলনের একটি তারিখ নির্ধারণ করবে। যেহেতু জেলা কমিটির সময় উত্তীর্ণ হয়েছে, সেজন্য জেলা সম্মেলনের বিষয়েও এ বর্ধিত সভায় আলোচনা হবে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ বলেন, তৃণমূলকে সুসংগঠিত করার জন্য বর্ধিত সভা। কেন্দ্রীয় নেতারা কেন্দ্রের মেসেজ তৃণমূলে জানাবেন। আমাদের কথাও শুনবেন। আমাদের কথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ কেন্দ্রে পৌছে দিবেন তাঁরা।

চুয়াডাঙ্গা জেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন বলেন, জেলা আ.লীগের বর্ধিত সভাকে ঘিরে সারা জেলায় একটি বিশেষ আগ্রহের জন্ম হয়েছে। জেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বলতে পারি, বর্ধিত সভার সকল আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা আসবেন, তারা সার্কিট হাউজে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে জেলা আ.লীগের কার্যালয় পরিদর্শনে আসবেন। এ সময় জেলা আ.লীগের কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন কেন্দ্রীয় নেতারা। এরপর বর্ধিত সভায় উপস্থিত হবেন কেন্দ্রীয় নেতৃবন্দ। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী বর্ধিত সভার জন্য চিঠিপত্র বিতরণ করা হচ্ছে। জেলা আ.লীগ প্রস্তুত। বর্ধিত সভা নিয়ে কেন্দ্রের দেওয়া সকল নির্দেশনা শতভাগ বাস্তবায়ন করা হবে। জেলার চারটি উপজেলার সম্মেলন করা হয়নি প্রায় ১৭ বছর। সেই চারটি উপজেলা, সদর পৌর আ.লীগ ও জেলা আ.লীগের সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ হবে। ইতোমধ্যে আমরা জেলার প্রায় সকল ইউনিয়ন ও তিনটি পৌর আওয়ামীলীগের সম্মেলন করেছি। আমরা আশাবাদী, সফলভাবে এ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ৬ বছর পর চুয়াডাঙ্গা জেলা আ.লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর আগে সম্ভবত ২০১৫ সালের অক্টোবরে চুয়াডাঙ্গা শ্রীমন্ত টাউন হলে জেলা আ.লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গা জেলা আ.লীগের বর্ধিত সভা আজ

আপলোড টাইম : ০৯:০২:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ নভেম্বর ২০২১

দীর্ঘ ৬ বছর পর আজ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা। সম্পন্ন হয়েছে সকল প্রকার প্রস্তুতি। সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গনে এ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হবে। বর্ধিত সভাকে ঘিরে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে চুয়াডাঙ্গা আওয়ামী রাজনৈতিক অঙ্গনে। ব্যানার, ফেস্টুন আর রাস্তায় বড় বড় তোরণে সাজানো হয়েছে জেলাকে। কেন্দ্রীয় আ.লীগের ৬ জন নেতা এ সভায় থাকছেন। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী বর্ধিত সভায় থাকতে পারবেন এমন নেতাদের দাওয়াত পত্রও পৌছে দেওয়া হয়েছে। এবারের বর্ধিত সভায় সিদ্ধান্ত হবে জেলা ও উপজেলা আ.লীগের সম্মেলন কবে হবে। এছাড়াও, সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে এ সভায়।

বর্ধিত সভা উপলক্ষে গত চারদিনে জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন ১শ জন করে ৪শ জন শ্রমিক কাজ করেছেন। বর্ধিত সভার স্থল চুয়াডাঙ্গা কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গনে তৈরি করা হয়েছে ২০ ফিট/৩০ফিটের বিশাল মঞ্চ। পুরো কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ চত্বর জুড়ে টাঙানো হয়েছে বড় বড় সামিয়ানা। ৬শ চেয়ার দেওয়া হয়েছে সভাস্থলে। গত চারদিন ধরে এ সভাস্থলে প্রতিদিন ১৫জন করে ৬০ জন শ্রমিক কাজ করেছেন।
এদিকে, সন্ধ্যায় বর্ধিত সভাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি, চুয়াডাঙ্গা জেলা আ.লীগের সহসভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগর টগর, জেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটনসহ জেলা আ.লীগের ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। পুরো এ আয়োজনে সরাসরি নিজে নির্দেশনা দিচ্ছেন জেলা আ.লীগের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি। সার্বিক তত্বাবধান করছেন জেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন। বর্ধিত সভা উপলক্ষে মঞ্চ, প্যান্ডেল ও গেট বিষয়ক উপ-কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন জেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান।

২০১৫ সালে সর্বশেষ বর্ধিত সভা হয় চুয়াডাঙ্গাতে। এরপর এই দীর্ঘ সময়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা আ.লীগের আর কোনো বর্ধিত সভা হয়নি। সেজন্য দীর্ঘদিন পর হওয়া এই বর্ধিত সভাকে ঘিরে জেলা আ.লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে উৎসবের আমেজ। চুয়াডাঙ্গার প্রবেশমুখ বদরগঞ্জ বাজার ও জীবননগরের হাসাদহ থেকে চুয়াডাঙ্গা সার্কিট হাউজ পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে আ.লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা দৃষ্টিনন্দন তোরণ তৈরি করছেন। শহরের রাস্তাগুলোতে দেওয়া হচ্ছে ব্যানার ফেস্টুন।

জেলা আ.লীগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জেলা কমিটির সকল সদস্য-৭৪জন, ৪টি উপজেলা আ.লীগের কমিটির সকল সদস্য-২৯৬জন, সদর পৌর আ.লীগের কমিটির সকল সদস্য-৭৪জন, জেলার সকল ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি/সম্পাদক-৮২জন, আলমডাঙ্গা, জীবননগর ও দর্শনা পৌর আ.লীগের সভাপতি/সম্পাদক-৬জন, ৪টি পৌরসভার দলীয় ৪জন মেয়র, ৪টি উপজেলার ৪জন দলীয় চেয়ারম্যান, ৪টি উপজেলার ৮জন দলীয় পুরুষ/মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একজন এ বর্ধিত সভায় থাকবেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় আ.লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকছেন কেন্দ্রীয় আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দীন নাসিম। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল। চুয়াডাঙ্গা জেলা আ.লীগের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপির সভাপতিত্বে ও জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদের পরিচালনায় এ বর্ধিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ আ.লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাড. মো. আমিরুল আলম মিলন এমপি, পারভীন জামান কল্পনা ও অ্যাড. গ্লোরিয়া সরকার র্ঝণা এমপি।

অনুষ্ঠিতব্য এই বর্ধিত সভা নিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা আ.লীগের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি বলেন, কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী বর্ধিত সভায় থাকতে পারবেন এমন নেতাকর্মীদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। বর্ধিত সভা হলে কর্মীরা উজ্জীবিত হয়। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আসবেন। আমাদের নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া মেসেজ কেন্দ্রীয় নেতারা আমাদের তৃণমূল পর্যায়ে পৌছে দিবেন। এই বর্ধিত সভার মূল থিম হলো তৃণমূলকে সুসংগঠিত করা। চুয়াডাঙ্গার উপজেলা ও পৌর কমিটিগুলোর মধ্যে যেগুলোর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে এবং সম্মেলন হয়নি, তাঁদের সম্মেলন করার একটি মেসেজ অবশ্যই থাকবে। তারপর কেন্দ্র, জেলা কমিটির সম্মেলনের একটি তারিখ নির্ধারণ করবে। যেহেতু জেলা কমিটির সময় উত্তীর্ণ হয়েছে, সেজন্য জেলা সম্মেলনের বিষয়েও এ বর্ধিত সভায় আলোচনা হবে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ বলেন, তৃণমূলকে সুসংগঠিত করার জন্য বর্ধিত সভা। কেন্দ্রীয় নেতারা কেন্দ্রের মেসেজ তৃণমূলে জানাবেন। আমাদের কথাও শুনবেন। আমাদের কথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ কেন্দ্রে পৌছে দিবেন তাঁরা।

চুয়াডাঙ্গা জেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন বলেন, জেলা আ.লীগের বর্ধিত সভাকে ঘিরে সারা জেলায় একটি বিশেষ আগ্রহের জন্ম হয়েছে। জেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বলতে পারি, বর্ধিত সভার সকল আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা আসবেন, তারা সার্কিট হাউজে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে জেলা আ.লীগের কার্যালয় পরিদর্শনে আসবেন। এ সময় জেলা আ.লীগের কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন কেন্দ্রীয় নেতারা। এরপর বর্ধিত সভায় উপস্থিত হবেন কেন্দ্রীয় নেতৃবন্দ। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী বর্ধিত সভার জন্য চিঠিপত্র বিতরণ করা হচ্ছে। জেলা আ.লীগ প্রস্তুত। বর্ধিত সভা নিয়ে কেন্দ্রের দেওয়া সকল নির্দেশনা শতভাগ বাস্তবায়ন করা হবে। জেলার চারটি উপজেলার সম্মেলন করা হয়নি প্রায় ১৭ বছর। সেই চারটি উপজেলা, সদর পৌর আ.লীগ ও জেলা আ.লীগের সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ হবে। ইতোমধ্যে আমরা জেলার প্রায় সকল ইউনিয়ন ও তিনটি পৌর আওয়ামীলীগের সম্মেলন করেছি। আমরা আশাবাদী, সফলভাবে এ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ৬ বছর পর চুয়াডাঙ্গা জেলা আ.লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর আগে সম্ভবত ২০১৫ সালের অক্টোবরে চুয়াডাঙ্গা শ্রীমন্ত টাউন হলে জেলা আ.লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।