নিজস্ব প্রতিবেদক: মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ভারতীয় বুপ্রেনরফাইন ইনজেকশন ও ২ কেজি গাঁজাসহ দুজনকে আটক করেছে। গতকাল মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গা ও দামুড়হুদায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। এসময় চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার জিনতলা মল্লিকপাড়ার মৃত আস্কর আলীর ছেলে আসলাম আলী পালিয়ে যায়। আটককৃতরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা শহরের সিঅ্যান্ডবি পাড়ার মৃত মোলেমান সরকারের ছেলে আমজাদ হোসেন (৪৫) ও দামুড়হুদা উপজেলার মজলিশপুর মল্লিক পাড়ার মৃত মহাব্বত মল্লিকের ছেলে মতিয়ার মল্লিক (৬৪)। আটককৃতদের মধ্যে মতিয়ার মল্লিককে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা প্রদানসহ জরিমানা করা হয় এবং আমজাদ হোসেন ও আসলাম আলীর বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. শরিয়তউল্লাহর নেতৃত্বে পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপ-পরিদর্শক আকবর হোসেন ও সাহারা ইয়াসমিন ফোর্স নিয়ে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হাটকালুগঞ্জ বটতলায় অভিযান চালিয়ে ৩৫ অ্যাম্পুল ভারতীয় বুপ্রেনরফাইন ইনজেকশনসহ আমজাদ হোসেনকে আটক করলেও আরেক মাদক ব্যবসায়ী আসলাম আলী পালিয়ে যায়। আমজাদ হোসেন ও আসলাম আলীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এদিকে, গতকাল বিকেল ৪টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাদাত হোসেনের নেতৃত্বে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. শরিয়তউল্লাহ, পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপ-পরিদর্শক আকবর হোসেন ও সাহারা ইয়াসমিন ফোর্স নিয়ে দামুড়হুদার মজলিশপুর গ্রামের মতিয়ার মল্লিকের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ২ কেজি গাঁজাসহ তাকে আটক করেন। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাদাত হোসেন ভ্রাম্যমাণ আদালতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মতিয়ার মল্লিককে ৮ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৮ শ টাকা জরিমানা করেন। সাজাপ্রাপ্ত মতিয়ার মল্লিককে গতকালই জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।