ইপেপার । আজ শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় স্বামী-স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ, ব্যাংকার ও তাঁর ছেলে আটক

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩৪:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন ২০২২
  • / ২০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গায় সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার ও এক নারীর দীর্ঘদিনের পরকীয়া প্রেমের ঘটনায় ওই নারীসহ তাঁর স্বামীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যাংকার আব্দুর রাজ্জাক ও তাঁর ছেলে লিখনকে আটক করেছে পুলিশ। পরে আহত ওই নারীর স্বামী মুদি ব্যবসায়ী স্বপন সাতজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। গতকাল বুধবার রাত ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বাগানপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। আটককৃত সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার বাগানপাড়ার মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (৫৫) ও তাঁর ছেলে লিখন (২২)।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার আব্দুর রাজ্জাকের গ্রামের বাড়ি আলমডাঙ্গা উপজেলার কয়রাডাঙ্গা গ্রামে। সোনালী ব্যাংকে চাকরির সুবাদে বাগানপাড়ায় বাড়ি নির্মাণ করে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন তিনি। এর মাঝে একই এলাকার মুদি দোকানি স্বপনের স্ত্রী ইতি খাতুনের সাথে তাঁর পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাঁদের ওই পরকীয়ার ঘটনায় দুই পরিবারের মাঝে প্রায়ই ঝগড়াঝাটি গেগেই থাকে। স্থানীয়রা এর আগেও কয়েকবার এ ঘটনাটি পারিবারিকভাবে মীমাংসা করে দিলেও পরে আবার স্থানীয় লোকজনকে এড়িয়ে বিভিন্নভাবে তাঁরা মেলামেশা করেন।

স্থানীয়রা আরও অভিযোগ করেন, এ ঘটনায় দেড় বছর পূর্বে উভয়ের সংসার ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়। সে সময়ও স্থানীয়রা মীমাংসা করে দেয়। কিছুদিন পর থেকে আবারও তারা যোগাযোগ শুরু করে। গতকাল সন্ধ্যার পর আলী নূর স্কুলের সামনে স্বপনের স্ত্রী ও ব্যাংকার আব্দুর রাজ্জাককে একসাথে দেখে ফেলে স্থানীয়রা। ওই ঘটনার প্রতিবাদ করলে স্থানীয়দের সাথে তাদের বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। রাতে আবার ঝগড়া বাধলে ব্যাংকার ও তাঁর ছেলে, দোকানী স্বপন ও তাঁর স্ত্রী ইতিসহ স্থানীয় কয়েকজন যুবক এবং এলাকার মহিলাদের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ বেধে যায়। খবর পেয়ে সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ব্যাংকার ও তাঁর ছেলেকে আটক করে থানা হেফাজতে নেয়। একই সাথে আহত ইতি খাতুন ও তাঁর স্বামী স্বপনকে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। এ ঘটনায় ইতি খাতুনের স্বামী স্বপন বাদী হয়ে ৭-৮ জনের নাম উল্লেখসহ কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।

এ ঘটনায় ব্যাংকার ও তাঁর ছেলে লিখনকে আটকের সত্যতা নিশ্চত করে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাব্বুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দু’জনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় আহত ইতি খাতুনের স্বামী স্বপন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের আটক করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। একই সাথে আটক দু’জনকে সংশ্লিষ্ট মামলায় আটক দেখিয়ে আগামীকাল (আজ) আদালতে সোপর্দ করা হতে পারে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় স্বামী-স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ, ব্যাংকার ও তাঁর ছেলে আটক

আপলোড টাইম : ০৯:৩৪:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গায় সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার ও এক নারীর দীর্ঘদিনের পরকীয়া প্রেমের ঘটনায় ওই নারীসহ তাঁর স্বামীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যাংকার আব্দুর রাজ্জাক ও তাঁর ছেলে লিখনকে আটক করেছে পুলিশ। পরে আহত ওই নারীর স্বামী মুদি ব্যবসায়ী স্বপন সাতজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। গতকাল বুধবার রাত ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বাগানপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। আটককৃত সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার বাগানপাড়ার মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (৫৫) ও তাঁর ছেলে লিখন (২২)।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার আব্দুর রাজ্জাকের গ্রামের বাড়ি আলমডাঙ্গা উপজেলার কয়রাডাঙ্গা গ্রামে। সোনালী ব্যাংকে চাকরির সুবাদে বাগানপাড়ায় বাড়ি নির্মাণ করে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন তিনি। এর মাঝে একই এলাকার মুদি দোকানি স্বপনের স্ত্রী ইতি খাতুনের সাথে তাঁর পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাঁদের ওই পরকীয়ার ঘটনায় দুই পরিবারের মাঝে প্রায়ই ঝগড়াঝাটি গেগেই থাকে। স্থানীয়রা এর আগেও কয়েকবার এ ঘটনাটি পারিবারিকভাবে মীমাংসা করে দিলেও পরে আবার স্থানীয় লোকজনকে এড়িয়ে বিভিন্নভাবে তাঁরা মেলামেশা করেন।

স্থানীয়রা আরও অভিযোগ করেন, এ ঘটনায় দেড় বছর পূর্বে উভয়ের সংসার ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়। সে সময়ও স্থানীয়রা মীমাংসা করে দেয়। কিছুদিন পর থেকে আবারও তারা যোগাযোগ শুরু করে। গতকাল সন্ধ্যার পর আলী নূর স্কুলের সামনে স্বপনের স্ত্রী ও ব্যাংকার আব্দুর রাজ্জাককে একসাথে দেখে ফেলে স্থানীয়রা। ওই ঘটনার প্রতিবাদ করলে স্থানীয়দের সাথে তাদের বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। রাতে আবার ঝগড়া বাধলে ব্যাংকার ও তাঁর ছেলে, দোকানী স্বপন ও তাঁর স্ত্রী ইতিসহ স্থানীয় কয়েকজন যুবক এবং এলাকার মহিলাদের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ বেধে যায়। খবর পেয়ে সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ব্যাংকার ও তাঁর ছেলেকে আটক করে থানা হেফাজতে নেয়। একই সাথে আহত ইতি খাতুন ও তাঁর স্বামী স্বপনকে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। এ ঘটনায় ইতি খাতুনের স্বামী স্বপন বাদী হয়ে ৭-৮ জনের নাম উল্লেখসহ কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।

এ ঘটনায় ব্যাংকার ও তাঁর ছেলে লিখনকে আটকের সত্যতা নিশ্চত করে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাব্বুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দু’জনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় আহত ইতি খাতুনের স্বামী স্বপন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের আটক করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। একই সাথে আটক দু’জনকে সংশ্লিষ্ট মামলায় আটক দেখিয়ে আগামীকাল (আজ) আদালতে সোপর্দ করা হতে পারে।