ইপেপার । আজ শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:০৬:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ মে ২০২২
  • / ২৮ বার পড়া হয়েছে

‘শব্দ দূষণ রোধে আইন প্রয়োগের মাধ্যমে যেমন আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল করাতে হবে, তেমনই বাড়াতে হবে সচেতনতা। সকলে সজাগ হলে শহরে এবং গ্রামে শব্দ দূষণ থাকবে না। শব্দ দূর্ষণ রোধে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নিতে হবে।’ চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাজিয়া আফরিন উপরোক্ত অভিমত ব্যক্ত করে বলেছেন, অকারণে অনেক চালক হাইড্রলিক হর্ণ দেওয়ায় অভ্যস্ত। অথচ এই শব্দ দূষণের শিকার হচ্ছেন তিনিও। আমরা যে যেখানে রয়েছি, সেখানে থেকে যদি দায়িত্বশীল হই, এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হই, তাহলে শব্দ দূষণ বহুলাংশে হ্রাস পাবে। বাকিটা আইন প্রয়োগের মাধ্যমে এবং সচেতনতার আলো ছড়িয়ে আমাদের পরিবেশকে শব্দ দূষণ মুক্ত করতে পারব।

গতকাল সোমবার বেলা তিনটায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের আওতায় মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সাবির্ক) সাজিয়া আফরিন আরও বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের অধীনে মাঠ পর্যায়ে আরও লোকবল নিয়োগ করা দরকার। বর্তমানে কুষ্টিয়া কার্যালয়ের কয়েকজন মাঝে মাঝে চুয়াডাঙ্গার পরিবেশ পর্যবেক্ষণে দায়িত্বপালন করেন। যা যথেষ্ট নয়।

পরিবেশ অধিদপ্তর ও ইকিউএমএস কনালটিং লিমিটেড এবং বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের কুষ্টিয়া কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আতাউর রহমান। পরিচালনাাসহ তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন আব্দুল্লাহ আল নঈম। তিনি বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের সর্বাধিক শব্দ দূষণের পর্যায়ে রয়েছে। যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। গবেষণায় দেখা গেছে, ৭০ ডেসিবলের উপরে কোনো স্থানে শব্দ দূষণে মানুষ থাকলে অল্প দিনেই তারা বধির হওয়াসহ নানা জটির রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের শহীদ হাসান চত্ত্বরে দিনের অধিকাংশ সময়েই একশ’ ডেসিবলের বেশি শব্দ দূষণ পরিলক্ষিত হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন কলকারখানাতেও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।

মতবিনিময় সভায় সহকারী তথ্য অফিসার, শিক্ষক রেজউল ইসলাম, ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর মনিরুজ্জামান মনির, আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূর হোসেন, সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি এ কে এম মঈন উদ্দিন মুক্ত, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতি সরদার আল আমিন, প্রথম আলো প্রতিনিধি শাহ আলম সনি, পরিবেশ যুব সংগঠনের রমজান আলী, শিক্ষার্থী শাহরিয়ার হোসেন, জহাহিদ হোসেন  সাইম, রিদিকা জাহান প্রমুখ বক্তব্য দেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

আপলোড টাইম : ০৮:০৬:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ মে ২০২২

‘শব্দ দূষণ রোধে আইন প্রয়োগের মাধ্যমে যেমন আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল করাতে হবে, তেমনই বাড়াতে হবে সচেতনতা। সকলে সজাগ হলে শহরে এবং গ্রামে শব্দ দূষণ থাকবে না। শব্দ দূর্ষণ রোধে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নিতে হবে।’ চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাজিয়া আফরিন উপরোক্ত অভিমত ব্যক্ত করে বলেছেন, অকারণে অনেক চালক হাইড্রলিক হর্ণ দেওয়ায় অভ্যস্ত। অথচ এই শব্দ দূষণের শিকার হচ্ছেন তিনিও। আমরা যে যেখানে রয়েছি, সেখানে থেকে যদি দায়িত্বশীল হই, এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হই, তাহলে শব্দ দূষণ বহুলাংশে হ্রাস পাবে। বাকিটা আইন প্রয়োগের মাধ্যমে এবং সচেতনতার আলো ছড়িয়ে আমাদের পরিবেশকে শব্দ দূষণ মুক্ত করতে পারব।

গতকাল সোমবার বেলা তিনটায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের আওতায় মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সাবির্ক) সাজিয়া আফরিন আরও বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের অধীনে মাঠ পর্যায়ে আরও লোকবল নিয়োগ করা দরকার। বর্তমানে কুষ্টিয়া কার্যালয়ের কয়েকজন মাঝে মাঝে চুয়াডাঙ্গার পরিবেশ পর্যবেক্ষণে দায়িত্বপালন করেন। যা যথেষ্ট নয়।

পরিবেশ অধিদপ্তর ও ইকিউএমএস কনালটিং লিমিটেড এবং বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের কুষ্টিয়া কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আতাউর রহমান। পরিচালনাাসহ তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন আব্দুল্লাহ আল নঈম। তিনি বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের সর্বাধিক শব্দ দূষণের পর্যায়ে রয়েছে। যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। গবেষণায় দেখা গেছে, ৭০ ডেসিবলের উপরে কোনো স্থানে শব্দ দূষণে মানুষ থাকলে অল্প দিনেই তারা বধির হওয়াসহ নানা জটির রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের শহীদ হাসান চত্ত্বরে দিনের অধিকাংশ সময়েই একশ’ ডেসিবলের বেশি শব্দ দূষণ পরিলক্ষিত হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন কলকারখানাতেও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।

মতবিনিময় সভায় সহকারী তথ্য অফিসার, শিক্ষক রেজউল ইসলাম, ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর মনিরুজ্জামান মনির, আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূর হোসেন, সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি এ কে এম মঈন উদ্দিন মুক্ত, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতি সরদার আল আমিন, প্রথম আলো প্রতিনিধি শাহ আলম সনি, পরিবেশ যুব সংগঠনের রমজান আলী, শিক্ষার্থী শাহরিয়ার হোসেন, জহাহিদ হোসেন  সাইম, রিদিকা জাহান প্রমুখ বক্তব্য দেন।