ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:৩৩:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ মার্চ ২০২২
  • / ২২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরে সজল হোসেন (২২) নামের এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেল পাঁচটার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। অতিরিক্ত মাদক সেবনের ফলে তাঁর মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন। নিহত সজল হোসেন চুয়াডাঙ্গা কোর্টপাড়ার নাসির উদ্দীনের ছেলে।

জানা যায়, কয়েক মাস পূর্ব থেকে সজল হোসেন তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের সদর হাসপাতাল সড়ক সংলগ্ন শ্বশুড় বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন। এক সপ্তাহ পূর্বে সজলের স্ত্রী রাগ করে বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন। এরপর থেকে শ্বশুড় বাড়িতে একাই থাকছিলেন সজল। এরই মধ্যে গতকাল বিকেল সাড়ে চারটার দিকে সজলের পিতা ছেলের খোঁজ নিতে শ্বশুড়বাড়িতে এলে সজলকে ঘরের মধ্যে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। এসময় তিনি সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের খবর দিলে কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক ঘর থেকে সজলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়। পরে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক সজলকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। এর কিছুক্ষণ পরেই সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সজলের মৃত্যু হয়।

জরুরি বিভাগের স্বেচ্ছাসেবকেরা জানান, বিকেলে সজলের পিতা জরুরি বিভাগে আসলে তারা সজলের শ্বশুড়বাড়িতে যায়। সেখান থেকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। এসময় ডাক্তার সজলকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি রাখেন।

জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নূর জাহান বলেন, বিকেলে পাঁচটার দিকে সজল নামের এক যুবককে অচেতন অবস্থায় জরুরি বিভাগে নেয়। যুবকটির নিঃশ্বাস চলছিল। এসময় দ্রুত তাকে চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালের পুরুষ মেডিসিন বিভাগে ভর্তি রাখা হয়। এর কিছুক্ষণ পড়েই সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর বিষয়ে জানতে পেরেছি। প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে অতিরিক্ত মাদক সেবনের ফলে তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হবে। আগামীকাল (আজ) সদর হাসপাতাল মর্গে নিহতের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হবে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু

আপলোড টাইম : ১২:৩৩:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ মার্চ ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরে সজল হোসেন (২২) নামের এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেল পাঁচটার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। অতিরিক্ত মাদক সেবনের ফলে তাঁর মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন। নিহত সজল হোসেন চুয়াডাঙ্গা কোর্টপাড়ার নাসির উদ্দীনের ছেলে।

জানা যায়, কয়েক মাস পূর্ব থেকে সজল হোসেন তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের সদর হাসপাতাল সড়ক সংলগ্ন শ্বশুড় বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন। এক সপ্তাহ পূর্বে সজলের স্ত্রী রাগ করে বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন। এরপর থেকে শ্বশুড় বাড়িতে একাই থাকছিলেন সজল। এরই মধ্যে গতকাল বিকেল সাড়ে চারটার দিকে সজলের পিতা ছেলের খোঁজ নিতে শ্বশুড়বাড়িতে এলে সজলকে ঘরের মধ্যে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। এসময় তিনি সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের খবর দিলে কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক ঘর থেকে সজলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়। পরে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক সজলকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। এর কিছুক্ষণ পরেই সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সজলের মৃত্যু হয়।

জরুরি বিভাগের স্বেচ্ছাসেবকেরা জানান, বিকেলে সজলের পিতা জরুরি বিভাগে আসলে তারা সজলের শ্বশুড়বাড়িতে যায়। সেখান থেকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। এসময় ডাক্তার সজলকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি রাখেন।

জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নূর জাহান বলেন, বিকেলে পাঁচটার দিকে সজল নামের এক যুবককে অচেতন অবস্থায় জরুরি বিভাগে নেয়। যুবকটির নিঃশ্বাস চলছিল। এসময় দ্রুত তাকে চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালের পুরুষ মেডিসিন বিভাগে ভর্তি রাখা হয়। এর কিছুক্ষণ পড়েই সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর বিষয়ে জানতে পেরেছি। প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে অতিরিক্ত মাদক সেবনের ফলে তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হবে। আগামীকাল (আজ) সদর হাসপাতাল মর্গে নিহতের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হবে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।