ইপেপার । আজ শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলন কমিটির প্রচারণামূলক সভা অনুষ্ঠিত

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:৫৭:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জুন ২০২২
  • / ২২ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন: মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলন বেগবান করতে চুয়াডাঙ্গার শিক্ষার্থীদের সাথে মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলন কমিটির প্রচারণা ও সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার এই সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনার মধ্যে উঠে আসে নদী দূষণ রোধে শহর ও গ্রামের পানি নিষ্কাশন নালা ও বর্জ্য ফেলা বন্ধ, নদীর তীরে অবৈধ আবাদসহ নদীর বুকে কোমর কারেন্ট জাল বাধ অপসারণ করা জন্য তাগিদ দেওয়া হয় ও স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের সাথে সচেতনামূলক মতবিনিময় করার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। চুয়াডাঙ্গা পৌর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. আবু রাশেদের সভাপতিত্বে সচেতনতা ও প্রচারণামূলক আলোচনা সভায় আলোচনা করেন মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলন কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ (অব.) হামিদুল হক মুন্সী, উপদেষ্টা চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আজাদ মালিতা। সঞ্চালকের দায়িত্বে ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পৌর কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক আয়েশা আক্তার রিক্তা।

আলোচনায় বক্তারা বলেন, ‘মানুষের অসচেতনতার কারণে মরা পশুপাখি মাথাভাঙ্গা নদীতে ফেলা হচ্ছে। এতে বাড়ছে নদী দূষণ। জেলা শহরের বেশ কয়েকটা ড্রেনের মাধ্যমে নোংরা পানি নদীতে দেদারছে নামছে। এতে নদীর পানি দূর্গন্ধযুক্ত হয়ে পড়ছে। নদীর তীরে অবৈধভাবে পানবরজসহ বিভিন্ন প্রকার চাষাবাদ করা হচ্ছে। মাটি খননের কারণে তা ধুয়ে নদীতে নেমে নব্যতা নষ্ট করছে। অবাক হলেও সত্য যে, নদীর বুক থেকে বালু উত্তোলন করে উপকারের বদলে ক্ষতিই ডেকে আনা হচ্ছে। কিছু স্থানে রয়েছে কোমর। তীরে কারেন্ট জাল দিয়ে নদীর স্বাভাবিক শ্রোতের প্রতিবন্ধকতায় শুধু সৃষ্টি করা হচ্ছে না, ক্ষতিকারক ওই জালের কারণে ছোট বড় মাছের পোনা রেনুও মারা পড়ছে। এসব থেকে পরিত্রাণে প্রশাসনের যেমন আশু পদক্ষেপ নিতে হবে, তেমন সর্বস্তরের সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও রক্ষা কমিটির উদ্যোগে চুয়াডাঙ্গার প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সাথে সচেতনতামূলক প্রচার অভিযান চলবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলন কমিটির প্রচারণামূলক সভা অনুষ্ঠিত

আপলোড টাইম : ০৪:৫৭:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জুন ২০২২

সমীকরণ প্রতিবেদন: মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলন বেগবান করতে চুয়াডাঙ্গার শিক্ষার্থীদের সাথে মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলন কমিটির প্রচারণা ও সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার এই সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনার মধ্যে উঠে আসে নদী দূষণ রোধে শহর ও গ্রামের পানি নিষ্কাশন নালা ও বর্জ্য ফেলা বন্ধ, নদীর তীরে অবৈধ আবাদসহ নদীর বুকে কোমর কারেন্ট জাল বাধ অপসারণ করা জন্য তাগিদ দেওয়া হয় ও স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের সাথে সচেতনামূলক মতবিনিময় করার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। চুয়াডাঙ্গা পৌর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. আবু রাশেদের সভাপতিত্বে সচেতনতা ও প্রচারণামূলক আলোচনা সভায় আলোচনা করেন মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলন কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ (অব.) হামিদুল হক মুন্সী, উপদেষ্টা চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আজাদ মালিতা। সঞ্চালকের দায়িত্বে ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পৌর কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক আয়েশা আক্তার রিক্তা।

আলোচনায় বক্তারা বলেন, ‘মানুষের অসচেতনতার কারণে মরা পশুপাখি মাথাভাঙ্গা নদীতে ফেলা হচ্ছে। এতে বাড়ছে নদী দূষণ। জেলা শহরের বেশ কয়েকটা ড্রেনের মাধ্যমে নোংরা পানি নদীতে দেদারছে নামছে। এতে নদীর পানি দূর্গন্ধযুক্ত হয়ে পড়ছে। নদীর তীরে অবৈধভাবে পানবরজসহ বিভিন্ন প্রকার চাষাবাদ করা হচ্ছে। মাটি খননের কারণে তা ধুয়ে নদীতে নেমে নব্যতা নষ্ট করছে। অবাক হলেও সত্য যে, নদীর বুক থেকে বালু উত্তোলন করে উপকারের বদলে ক্ষতিই ডেকে আনা হচ্ছে। কিছু স্থানে রয়েছে কোমর। তীরে কারেন্ট জাল দিয়ে নদীর স্বাভাবিক শ্রোতের প্রতিবন্ধকতায় শুধু সৃষ্টি করা হচ্ছে না, ক্ষতিকারক ওই জালের কারণে ছোট বড় মাছের পোনা রেনুও মারা পড়ছে। এসব থেকে পরিত্রাণে প্রশাসনের যেমন আশু পদক্ষেপ নিতে হবে, তেমন সর্বস্তরের সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও রক্ষা কমিটির উদ্যোগে চুয়াডাঙ্গার প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সাথে সচেতনতামূলক প্রচার অভিযান চলবে।