ইপেপার । আজ শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় নৈশপ্রহরীকে বেধে রেখে দুর্ধর্ষ চুরি!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৪০:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ জুলাই ২০২২
  • / ২৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাতের আধারে চুয়াডাঙ্গা যুবউন্নয়ন অধিদপ্তরের নৈশপ্রহরীকে বেধে রেখে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। এসময় চোরচক্র ৩৩ টি কম্পিউটারের র‌্যাম প্রসেসর সহ সিসি টিভি ক্যামেরার মেমোরি কার্ড খুলে নিয়ে গেছে চোর চক্রটি। গত বুধবার দিবাগত রাতে ওই চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় যুবউন্নয়ের কম্পিউটার প্রশিক্ষক আব্দুল আলিম বাদি হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ জুলাই বুধবার যুবউন্নয়নের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিকেল ৫টার দিকে অফিস শেষ করে চলে যান। এরপর সন্ধ্যার আগ থেকে দুইজন নৈশপ্রহরী তাদের ডিউটি শুরু করেন। পরে ওইদিনই রাত তিনটার দিকে সংঘবদ্ধ একটি চোরের দল প্রাচীর টপকে যুবউন্নয়নের ভিতরে প্রবেশ করে। এসময় নৈশপ্রহরী আবুল কালাম আজাদ তাদের দেখে ফেললে চোরেরা তার গলায় ছুরি ধরে তাকে ভয় দেখিয়ে দড়ি দিয়ে হাত-পা বেধে ফেলে। পরে মই দিয়ে দোতলাই উঠে অপর নৈশপ্রহরীকেও বেধে ফেলে। পরে চোরেরা প্রশাসনিক ভবনের মেইন গেটের চাবি, উপপরিচালকের রুমের চাবি ও ৪র্থ তলার চাবি নিয়ে নেয়। এরপর কম্পিউটার ল্যাবের তালা খুলে নির্বিঘ্নে ৩৩টি কম্পিউটারের ক্যাসিং খুলে প্রতিটা কম্পিউটার থেকে র‌্যাম ও প্রসেসর নিয়ে নেয়। এসময় চোরেরা চলে যাওয়ার সময় প্রতিষ্ঠানের সিসি টিভি ক্যামেরার মেমোরি কার্ডটিও খুলে নিয়ে যায়। চুরি হওয়া মালামালের আনুমানিক মূল্য ২ লাখ ১৭ হাজার ৫ শ টাকা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা যুবউন্নয়নের উপপরিচালক মাসুম আহমেদ বলেন, ‘আমরা দুজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির নামে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছি। তাছাড়াও বিষয়টি চুয়াডাঙ্গার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হলে ঝিনাইদহ থেকে আসা পুলিশর একটি প্রশিক্ষিত টিম ঘটনাস্থলে এসে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে। চুয়াডাঙ্গা যুবউন্নয়ন অধিদপ্তরে সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে এখন আমরা শঙ্কিত।’

এদিকে, রাতের আধারে যুবউন্নয়ন অধিদপ্তরে চুরির ঘটনায় অভিযোগ দায়েরের সত্যতা নিশ্চত করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাব্বুর রহমান কাজল বলেন, ‘অভিযোগ দায়েরের পর থেকে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে অপরাধীদের ধরতে মাঠে নেমেছে পুলিশের একাধিক টিম। খুব দ্রুতই অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

প্রসঙ্গত, গত বছরও চুয়াডাঙ্গা যুব উন্নয়নে স্থানীয় লোকজন কর্তৃক একটি চুরির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার পর সে সময় জাফপুর এলাকার কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশ। বছর ফিরতে না ফিরতে আবারও চুরি ঘটনা চুয়াডাঙ্গা যুবউন্নয়ন অধিদপ্তরে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় নৈশপ্রহরীকে বেধে রেখে দুর্ধর্ষ চুরি!

আপলোড টাইম : ০৯:৪০:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ জুলাই ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাতের আধারে চুয়াডাঙ্গা যুবউন্নয়ন অধিদপ্তরের নৈশপ্রহরীকে বেধে রেখে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। এসময় চোরচক্র ৩৩ টি কম্পিউটারের র‌্যাম প্রসেসর সহ সিসি টিভি ক্যামেরার মেমোরি কার্ড খুলে নিয়ে গেছে চোর চক্রটি। গত বুধবার দিবাগত রাতে ওই চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় যুবউন্নয়ের কম্পিউটার প্রশিক্ষক আব্দুল আলিম বাদি হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ জুলাই বুধবার যুবউন্নয়নের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিকেল ৫টার দিকে অফিস শেষ করে চলে যান। এরপর সন্ধ্যার আগ থেকে দুইজন নৈশপ্রহরী তাদের ডিউটি শুরু করেন। পরে ওইদিনই রাত তিনটার দিকে সংঘবদ্ধ একটি চোরের দল প্রাচীর টপকে যুবউন্নয়নের ভিতরে প্রবেশ করে। এসময় নৈশপ্রহরী আবুল কালাম আজাদ তাদের দেখে ফেললে চোরেরা তার গলায় ছুরি ধরে তাকে ভয় দেখিয়ে দড়ি দিয়ে হাত-পা বেধে ফেলে। পরে মই দিয়ে দোতলাই উঠে অপর নৈশপ্রহরীকেও বেধে ফেলে। পরে চোরেরা প্রশাসনিক ভবনের মেইন গেটের চাবি, উপপরিচালকের রুমের চাবি ও ৪র্থ তলার চাবি নিয়ে নেয়। এরপর কম্পিউটার ল্যাবের তালা খুলে নির্বিঘ্নে ৩৩টি কম্পিউটারের ক্যাসিং খুলে প্রতিটা কম্পিউটার থেকে র‌্যাম ও প্রসেসর নিয়ে নেয়। এসময় চোরেরা চলে যাওয়ার সময় প্রতিষ্ঠানের সিসি টিভি ক্যামেরার মেমোরি কার্ডটিও খুলে নিয়ে যায়। চুরি হওয়া মালামালের আনুমানিক মূল্য ২ লাখ ১৭ হাজার ৫ শ টাকা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা যুবউন্নয়নের উপপরিচালক মাসুম আহমেদ বলেন, ‘আমরা দুজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির নামে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছি। তাছাড়াও বিষয়টি চুয়াডাঙ্গার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হলে ঝিনাইদহ থেকে আসা পুলিশর একটি প্রশিক্ষিত টিম ঘটনাস্থলে এসে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে। চুয়াডাঙ্গা যুবউন্নয়ন অধিদপ্তরে সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে এখন আমরা শঙ্কিত।’

এদিকে, রাতের আধারে যুবউন্নয়ন অধিদপ্তরে চুরির ঘটনায় অভিযোগ দায়েরের সত্যতা নিশ্চত করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাব্বুর রহমান কাজল বলেন, ‘অভিযোগ দায়েরের পর থেকে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে অপরাধীদের ধরতে মাঠে নেমেছে পুলিশের একাধিক টিম। খুব দ্রুতই অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

প্রসঙ্গত, গত বছরও চুয়াডাঙ্গা যুব উন্নয়নে স্থানীয় লোকজন কর্তৃক একটি চুরির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার পর সে সময় জাফপুর এলাকার কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশ। বছর ফিরতে না ফিরতে আবারও চুরি ঘটনা চুয়াডাঙ্গা যুবউন্নয়ন অধিদপ্তরে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।