ইপেপার । আজ রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে যুবক জখম

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:০২:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ১৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গায় চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে শেখ ফরিদ (৩০) নামের এক যুবক গুরুতর জখম হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা রেল বাজার রেল গেটের অদূরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর জখম অবস্থায় শেখ ফরিদ রেললাইনের ধার থেকে নিজেই রেলপাড়া মসজিদের সামনে যেয়ে পড়ে যায়। এসময় স্থানীয় ব্যক্তিরা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে দ্রুত উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। জখম শেখ ফরিদ চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নতুন ভাণ্ডারদহ গ্রামের মুসলিমপাড়ার আলী হোসেনের ছেলে। এদিকে, শেখ ফরিদের অবস্থার অবনতি হওয়ায় গতকালই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল দুপুর পৌনে একটার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার রেলপাড়া জান্নাতুল বাকী জামে মসজিদের নিকট জখম অবস্থায় পড়ে ছিল শেখ ফরিদ। এসময় সে ট্রেন থেকে পড়ে যাওয়ার বিষয়ে জানায়। পরে স্থানীয় ব্যক্তিরা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। পরে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালের পুরুষ সার্জারি বিভাগে ভর্তি রাখেন। পরবর্তীতে তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। বেলা তিনটার দিকে পরিবারের সদস্যরা উন্নত চিকিৎসার জন্য শেখ ফরিদকে নিয়ে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে সদর হাসপাতাল ত্যাগ করে।

নাজমুল হোসেন নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমি মসজিদের নিকট কাজ করছিলাম। এসময় হঠাৎ করেই রক্তাক্ত জখম অবস্থায় ওই যুবককে আমার চোখে পড়ে। এসময় আমি সহকর্মীদের সাহায্যে দ্রুত তাকে হাসপাতালে ভর্তি করি। সে ট্রেন থেকে পড়ে যেয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছিল বলে আমাদেরকে জানায়।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জুবাইদা জামাল জয়া বলেন, দুপুরে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় শেখ ফরিদ নামের এক ব্যক্তিকে জরুরি বিভাগের নেওয়া হয়। সে ট্রেন থেকে পড়ে আহত হয়েছে বলে জানতে পারি। তার কাধে ও গলায় গুরুতর জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসা শেষে তাকে ভর্তি রাখা হয়। পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে যুবক জখম

আপলোড টাইম : ০৮:০২:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গায় চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে শেখ ফরিদ (৩০) নামের এক যুবক গুরুতর জখম হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা রেল বাজার রেল গেটের অদূরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর জখম অবস্থায় শেখ ফরিদ রেললাইনের ধার থেকে নিজেই রেলপাড়া মসজিদের সামনে যেয়ে পড়ে যায়। এসময় স্থানীয় ব্যক্তিরা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে দ্রুত উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। জখম শেখ ফরিদ চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নতুন ভাণ্ডারদহ গ্রামের মুসলিমপাড়ার আলী হোসেনের ছেলে। এদিকে, শেখ ফরিদের অবস্থার অবনতি হওয়ায় গতকালই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল দুপুর পৌনে একটার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার রেলপাড়া জান্নাতুল বাকী জামে মসজিদের নিকট জখম অবস্থায় পড়ে ছিল শেখ ফরিদ। এসময় সে ট্রেন থেকে পড়ে যাওয়ার বিষয়ে জানায়। পরে স্থানীয় ব্যক্তিরা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। পরে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালের পুরুষ সার্জারি বিভাগে ভর্তি রাখেন। পরবর্তীতে তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। বেলা তিনটার দিকে পরিবারের সদস্যরা উন্নত চিকিৎসার জন্য শেখ ফরিদকে নিয়ে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে সদর হাসপাতাল ত্যাগ করে।

নাজমুল হোসেন নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমি মসজিদের নিকট কাজ করছিলাম। এসময় হঠাৎ করেই রক্তাক্ত জখম অবস্থায় ওই যুবককে আমার চোখে পড়ে। এসময় আমি সহকর্মীদের সাহায্যে দ্রুত তাকে হাসপাতালে ভর্তি করি। সে ট্রেন থেকে পড়ে যেয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছিল বলে আমাদেরকে জানায়।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জুবাইদা জামাল জয়া বলেন, দুপুরে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় শেখ ফরিদ নামের এক ব্যক্তিকে জরুরি বিভাগের নেওয়া হয়। সে ট্রেন থেকে পড়ে আহত হয়েছে বলে জানতে পারি। তার কাধে ও গলায় গুরুতর জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসা শেষে তাকে ভর্তি রাখা হয়। পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।