ইপেপার । আজ শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় ইউপি সদস্যের ছেলের বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যাক্তের অভিযোগ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:২৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জুন ২০২২
  • / ১৮ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গায় এক নারী ইউপি সদস্যের ছেলের বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যাক্তের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর মা প্রতিবাদ করলে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলায় তিনজন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় নারী ইউপি সদস্যের ছেলে রাসেল মিয়া ওই স্কুলছাত্রীর পরিবারের তিনজনের নাম উল্লেখ করে দর্শনা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বিকেল ছয়টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সড়াবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ওই স্কুলছাত্রীর মা আয়েশা খাতুন বলেন, ‘আমার মেয়ে সড়াবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। মাসখানেক ধরে সংরক্ষিত ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নারী ইউপি সদস্য তাসলিমা খাতুনের ছেলে বাবর আলী আমার মেয়েকে বিভিন্ন আজেবাজে কথাসহ প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। গতকাল আবারো উত্ত্যক্ত করে বাবর। বিকেলে পাশের স্কুলে পানি আনার সময় বিষয়টি দ্বিতীয়বার ইউপি সদস্যকে তার ছেলের ব্যাপারে জানায়। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে আমাদের মনোমালিন্য হয়। এরপরই বাবর আলীর ছোট বোনসহ তার মা ইউপি সদস্য বিভিন্নভাবে গালিগালাজ করে। পরে আমরা বাড়িতে চলে আসি। এর কিছুক্ষণ পর বাবর আলী ও তার ভাই রাসেল আমাদের বাড়িতে ঢুকে আমার মেয়েকে ও আমার গলাই দা ধরে চুল টানতে টানতে বাইরে নিয়ে যায়। পরে ইউপি সদস্যসহ তার দুই ছেলে আমাদের বেধড়ক মারধর করে।’

এদিকে, ইউপি সদস্যের ছেলে রাসেল মিয়া বলেন, ‘তাদের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিন যাবত পারিবারিকভাবে বিরোধ চলে আসছিল। আমার ভাই বাবর আলী স্কুলছাত্রীকে কখনোই উত্ত্যাক্ত করেনি। গতকাল আমার ছোট বোনকে তারা গালিগালাজ করে। এতেই আমরা প্রতিবাদ করলে আমাদের দুই ভাই ও আম্মুকে রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করে।’

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. হাসনাত পারভেজ শুভ বলেন, ইউপি সদস্যের মাথায় কয়েকটা সেলাই দেওয়া হয়েছে। স্কুলছাত্রীর শরীরের মারধরের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের ভর্তি করা হয়েছে।

দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এএইচএম লুৎফুল কবীর বলেন, ‘স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যাক্তের কোনো ঘটনা আমার জানা নেই। বাড়িতে মুরগী যাওয়াকে কেন্দ্র করে হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এক পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় ইউপি সদস্যের ছেলের বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যাক্তের অভিযোগ

আপলোড টাইম : ১০:২৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জুন ২০২২

সমীকরণ প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গায় এক নারী ইউপি সদস্যের ছেলের বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যাক্তের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর মা প্রতিবাদ করলে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলায় তিনজন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় নারী ইউপি সদস্যের ছেলে রাসেল মিয়া ওই স্কুলছাত্রীর পরিবারের তিনজনের নাম উল্লেখ করে দর্শনা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বিকেল ছয়টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সড়াবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ওই স্কুলছাত্রীর মা আয়েশা খাতুন বলেন, ‘আমার মেয়ে সড়াবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। মাসখানেক ধরে সংরক্ষিত ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নারী ইউপি সদস্য তাসলিমা খাতুনের ছেলে বাবর আলী আমার মেয়েকে বিভিন্ন আজেবাজে কথাসহ প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। গতকাল আবারো উত্ত্যক্ত করে বাবর। বিকেলে পাশের স্কুলে পানি আনার সময় বিষয়টি দ্বিতীয়বার ইউপি সদস্যকে তার ছেলের ব্যাপারে জানায়। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে আমাদের মনোমালিন্য হয়। এরপরই বাবর আলীর ছোট বোনসহ তার মা ইউপি সদস্য বিভিন্নভাবে গালিগালাজ করে। পরে আমরা বাড়িতে চলে আসি। এর কিছুক্ষণ পর বাবর আলী ও তার ভাই রাসেল আমাদের বাড়িতে ঢুকে আমার মেয়েকে ও আমার গলাই দা ধরে চুল টানতে টানতে বাইরে নিয়ে যায়। পরে ইউপি সদস্যসহ তার দুই ছেলে আমাদের বেধড়ক মারধর করে।’

এদিকে, ইউপি সদস্যের ছেলে রাসেল মিয়া বলেন, ‘তাদের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিন যাবত পারিবারিকভাবে বিরোধ চলে আসছিল। আমার ভাই বাবর আলী স্কুলছাত্রীকে কখনোই উত্ত্যাক্ত করেনি। গতকাল আমার ছোট বোনকে তারা গালিগালাজ করে। এতেই আমরা প্রতিবাদ করলে আমাদের দুই ভাই ও আম্মুকে রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করে।’

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. হাসনাত পারভেজ শুভ বলেন, ইউপি সদস্যের মাথায় কয়েকটা সেলাই দেওয়া হয়েছে। স্কুলছাত্রীর শরীরের মারধরের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের ভর্তি করা হয়েছে।

দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এএইচএম লুৎফুল কবীর বলেন, ‘স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যাক্তের কোনো ঘটনা আমার জানা নেই। বাড়িতে মুরগী যাওয়াকে কেন্দ্র করে হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এক পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’