ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের উদ্যোগে শেখ মনির জন্মদিনে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত

শ্রদ্ধার সঙ্গে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানকে স্মরণ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০১:২৭:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৩০ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদক:
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ শেখ ফজলুল হক মনির ৮৫তম জন্মদিন উদ্যাপন করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী যুবলীগ। গতকাল সোমবার সকাল ৭টায় যুবলীগের কার্যালয়ের সামনে শেখ ফজলুল হক মনির প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্র্পণ করা হয়। পরে বিকেল চারটায় আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শহীদ শেখ মনিসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের সকল শহীদের রুহের মাগফিরাত কামনা করা হয়।
এর আগে জেলা যুবলীগ নেতা শেখ শাহীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি থেকে বক্তব্য দেন জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘শেখ ফজলুল হক মনি ঢাকা নবকুমার ইনস্টিটিউট থেকে মাধ্যমিক ও জগন্নাথ কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করার পর ১৯৬০ সালে বরিশাল বিএম কলেজ থেকে বিএ ডিগ্রি লাভ করেন। ষাটের দশকে সামরিক শাসনবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তিনি সাহসী নেতৃত্ব দেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি মুজিব বাহিনীর অধিনায়ক ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ১৯৭২ সালে যুবলীগ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এ দেশে যুব রাজনীতির সূচনা করেন তিনি। ১৯৬২-৬৩ সালের মেয়াদে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সঙ্গে শেখ ফজলুল হক মনি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বেগম সামছুন্নেছা আরা আরজু মনিকেও নৃশংসভাবে হত্যা করে ঘাতকরা। শেখ মনির জন্মদিনে আমরা তাঁকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এক সময় বাংলাদেশকে উপহাস করে বলা হতো তলাবিহীন ঝুড়ি। যারা সে সময় তলাবিহীন ঝুড়ি বলতো, আজ তারাই দেশের উন্নয়ন নিয়ে প্রশংসা করেন। এটাই বঙ্গবন্ধু কন্যার বড় অর্জন, বড় সফলতা। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তার যোগ্য নেতৃত্বে পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা দৃশ্যমান করেছেন। তার প্রতি কৃতজ্ঞতা।’
আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জুবায়ের আহমেদ সাব্বির। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাফিজুর রহমান হাপু ও আবু বক্কর সিদ্দিক আরিফ।
জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আজাদ আলীর সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ নেতা বিপুল জোয়ার্দ্দার, টিটু, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রামীম হোসেন সৈকত, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ছানিউল শেখ সুইট, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য খালিদ মন্ডল, দিপু বিশ্বাস, তানভীর রেজা টুটুল, চুয়াডাঙ্গা পৌর ৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আলিম, সাধারণ সম্পাদক মিঠুন, সহসভাপতি জুয়েল, ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহসভাপতি লাল্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইবরাহীম, কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মাছুম ও পদ্মবিল্লা ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি বিপ্লব হোসেন।
এছাড়াও সুমন, নোমান, তারিক, টিপু, ঝন্টু, রিংকু, বাচ্চু, আহসান হাবীব জনি, সাব্বির, জুয়েল, জীম, রমজান, সবুজ, আরাফাত, মকলেছ, রতন, ওয়ালিদ, সান, আলী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক গ্রন্থনা ও প্রকাশনা উপ-সম্পাদক শেখ আনোয়ার, তানজিল, ছাত্রলীগ নেতা ইমাদ ওয়াসিম, শাকিল, মিশাসহ যুবলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা নতুন স্টেডিয়াম জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ওমর ফারুক।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের উদ্যোগে শেখ মনির জন্মদিনে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত

শ্রদ্ধার সঙ্গে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানকে স্মরণ

আপলোড টাইম : ০১:২৭:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদক:
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ শেখ ফজলুল হক মনির ৮৫তম জন্মদিন উদ্যাপন করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী যুবলীগ। গতকাল সোমবার সকাল ৭টায় যুবলীগের কার্যালয়ের সামনে শেখ ফজলুল হক মনির প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্র্পণ করা হয়। পরে বিকেল চারটায় আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শহীদ শেখ মনিসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের সকল শহীদের রুহের মাগফিরাত কামনা করা হয়।
এর আগে জেলা যুবলীগ নেতা শেখ শাহীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি থেকে বক্তব্য দেন জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘শেখ ফজলুল হক মনি ঢাকা নবকুমার ইনস্টিটিউট থেকে মাধ্যমিক ও জগন্নাথ কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করার পর ১৯৬০ সালে বরিশাল বিএম কলেজ থেকে বিএ ডিগ্রি লাভ করেন। ষাটের দশকে সামরিক শাসনবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তিনি সাহসী নেতৃত্ব দেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি মুজিব বাহিনীর অধিনায়ক ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ১৯৭২ সালে যুবলীগ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এ দেশে যুব রাজনীতির সূচনা করেন তিনি। ১৯৬২-৬৩ সালের মেয়াদে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সঙ্গে শেখ ফজলুল হক মনি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বেগম সামছুন্নেছা আরা আরজু মনিকেও নৃশংসভাবে হত্যা করে ঘাতকরা। শেখ মনির জন্মদিনে আমরা তাঁকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এক সময় বাংলাদেশকে উপহাস করে বলা হতো তলাবিহীন ঝুড়ি। যারা সে সময় তলাবিহীন ঝুড়ি বলতো, আজ তারাই দেশের উন্নয়ন নিয়ে প্রশংসা করেন। এটাই বঙ্গবন্ধু কন্যার বড় অর্জন, বড় সফলতা। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তার যোগ্য নেতৃত্বে পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা দৃশ্যমান করেছেন। তার প্রতি কৃতজ্ঞতা।’
আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জুবায়ের আহমেদ সাব্বির। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাফিজুর রহমান হাপু ও আবু বক্কর সিদ্দিক আরিফ।
জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আজাদ আলীর সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ নেতা বিপুল জোয়ার্দ্দার, টিটু, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রামীম হোসেন সৈকত, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ছানিউল শেখ সুইট, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য খালিদ মন্ডল, দিপু বিশ্বাস, তানভীর রেজা টুটুল, চুয়াডাঙ্গা পৌর ৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আলিম, সাধারণ সম্পাদক মিঠুন, সহসভাপতি জুয়েল, ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহসভাপতি লাল্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইবরাহীম, কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মাছুম ও পদ্মবিল্লা ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি বিপ্লব হোসেন।
এছাড়াও সুমন, নোমান, তারিক, টিপু, ঝন্টু, রিংকু, বাচ্চু, আহসান হাবীব জনি, সাব্বির, জুয়েল, জীম, রমজান, সবুজ, আরাফাত, মকলেছ, রতন, ওয়ালিদ, সান, আলী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক গ্রন্থনা ও প্রকাশনা উপ-সম্পাদক শেখ আনোয়ার, তানজিল, ছাত্রলীগ নেতা ইমাদ ওয়াসিম, শাকিল, মিশাসহ যুবলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা নতুন স্টেডিয়াম জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ওমর ফারুক।