ইপেপার । আজ বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি ও কৃষক দলের প্রতিবাদ বিবৃতি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:২৭:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩
  • / ১৪ বার পড়া হয়েছে

জেলা বিএনপির বিবৃতি:

দামুড়হুদা উপজেলা ও অন্তর্গত ইউনিয়ন বিএনপির শীর্ষ নেতা-কর্মীদের নামে অবৈধ সরকারের আজ্ঞাবহ প্রশাসনের দায়েরকৃত মিথ্যা মামলায় মহামান্য উচ্চ আদালতের জামিন নিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ আদালতের প্রতি সম্মান জানিয়ে আত্মসমর্পণ করলে জামিন বাতিল করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ অবৈধ এবং সুশাসনের পরিপন্থী। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি আদালতের এমন পক্ষপাতমূলক আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির উপ-কোষাধ্যক্ষ মাহমুদ হাসান খান বাবু ও জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. শরীফুজ্জামান শরীফ এক প্রতিবাদ বিবৃতিতে বলেন, বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে গণতান্ত্রিক আন্দোলন করে যাচ্ছে। অথচ একদিকে পুলিশ মিথ্যা গায়েবি মামলা দায়ের করছে। অন্যদিকে আদালত সুবিচার নিশ্চিত করতে পারছে না। দেশের মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে।

দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান মনির, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মোকারম হোসেন, দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মণ্টু মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাশেম, সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহিম, সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন, হাউলী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. ইউসুফ আলী, নাটুদাহ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. শামসুল হক, সাধারণ সম্পাদক মো. উসমান আলী, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ বিশ্বাস, জুড়ানপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. ইদ্রিস আলী, সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমীন, নতিপোতা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, ওয়ার্ড বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম ও সুমনের জামিন বাতিলের ঘটনা অপশাসনের নামান্তর। প্রশাসন দলীয়ভাবে ব্যবহার হয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্কিত হয়ে পড়েছে। বিচার বিভাগও সেই পথেই হাঁটছে। বিচার বিভাগের প্রতি আবেদন থাকবে, সাধারণ মানুষের যে ন্যূনতম আস্থা টিকে আছে সেটুকুও যেন বিসর্জন না দেওয়া হয়। আদালতের আজকের এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে নিশ্চয় সংশ্লিষ্ট মহল সে বিষয়ে সচেতন থাকবে।

চুয়াডাঙ্গা কৃষক দলের বিবৃতি:

চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মোকাররম হোসেনসহ বিএনপির ১৭ নেতা-কর্মীর মুক্তির দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষক দল। জেলা কৃষক দলের সদস্যসচিব তবারক হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফ হোসেন জোয়ার্দ্দার সোনা গতকাল এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ‘মহামান্য উচ্চ আদালতের জামিন নিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ আদালতের প্রতি সম্মান জানিয়ে বিএনপির ১৭ নেতা-কর্মী আত্মসমর্পণ করলে তাদের জামিন বাতিল করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং সুশাসনের পরিপন্থী। আদালতের এমন পক্ষপাতমূলক আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একইসঙ্গে অনতিবিলম্বে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া বিএনপির ১৭ নেতা-কর্মীর মুক্তির দাবি করছি।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি ও কৃষক দলের প্রতিবাদ বিবৃতি

আপলোড টাইম : ০৮:২৭:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩

জেলা বিএনপির বিবৃতি:

দামুড়হুদা উপজেলা ও অন্তর্গত ইউনিয়ন বিএনপির শীর্ষ নেতা-কর্মীদের নামে অবৈধ সরকারের আজ্ঞাবহ প্রশাসনের দায়েরকৃত মিথ্যা মামলায় মহামান্য উচ্চ আদালতের জামিন নিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ আদালতের প্রতি সম্মান জানিয়ে আত্মসমর্পণ করলে জামিন বাতিল করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ অবৈধ এবং সুশাসনের পরিপন্থী। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি আদালতের এমন পক্ষপাতমূলক আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির উপ-কোষাধ্যক্ষ মাহমুদ হাসান খান বাবু ও জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. শরীফুজ্জামান শরীফ এক প্রতিবাদ বিবৃতিতে বলেন, বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে গণতান্ত্রিক আন্দোলন করে যাচ্ছে। অথচ একদিকে পুলিশ মিথ্যা গায়েবি মামলা দায়ের করছে। অন্যদিকে আদালত সুবিচার নিশ্চিত করতে পারছে না। দেশের মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে।

দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান মনির, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মোকারম হোসেন, দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মণ্টু মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাশেম, সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহিম, সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন, হাউলী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. ইউসুফ আলী, নাটুদাহ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. শামসুল হক, সাধারণ সম্পাদক মো. উসমান আলী, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ বিশ্বাস, জুড়ানপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. ইদ্রিস আলী, সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমীন, নতিপোতা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, ওয়ার্ড বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম ও সুমনের জামিন বাতিলের ঘটনা অপশাসনের নামান্তর। প্রশাসন দলীয়ভাবে ব্যবহার হয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্কিত হয়ে পড়েছে। বিচার বিভাগও সেই পথেই হাঁটছে। বিচার বিভাগের প্রতি আবেদন থাকবে, সাধারণ মানুষের যে ন্যূনতম আস্থা টিকে আছে সেটুকুও যেন বিসর্জন না দেওয়া হয়। আদালতের আজকের এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে নিশ্চয় সংশ্লিষ্ট মহল সে বিষয়ে সচেতন থাকবে।

চুয়াডাঙ্গা কৃষক দলের বিবৃতি:

চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মোকাররম হোসেনসহ বিএনপির ১৭ নেতা-কর্মীর মুক্তির দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষক দল। জেলা কৃষক দলের সদস্যসচিব তবারক হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফ হোসেন জোয়ার্দ্দার সোনা গতকাল এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ‘মহামান্য উচ্চ আদালতের জামিন নিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ আদালতের প্রতি সম্মান জানিয়ে বিএনপির ১৭ নেতা-কর্মী আত্মসমর্পণ করলে তাদের জামিন বাতিল করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং সুশাসনের পরিপন্থী। আদালতের এমন পক্ষপাতমূলক আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একইসঙ্গে অনতিবিলম্বে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া বিএনপির ১৭ নেতা-কর্মীর মুক্তির দাবি করছি।’