ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গার হাতিকাটায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৯ জন আহত

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ০৯:২৮:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৭ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৯ জন আহত হয়েছে। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে সদর উপজেলার আলুকদিয়ার ইউনিয়নের হাতিকাটায় এ ঘটনা ঘটে। পরে পরিবারের সদস্যরা আহতদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়। আহতরা হলেন- হাতিকাটা গ্রামের মৃত ওমর আলীর ছেলে মিনহাজ উদ্দীন (৭০), তার স্ত্রী শাহিদা বেগম (৬৫), মিনহাজ উদ্দীনের চাচাতো ভাই নজরুল ইসলাম (৪৮), বোন ওমিতন বিবি (৫৫) ও তার স্বামী একই এলাকার মৃত রবজেলের ছেলে রমজান আলী। অপর পক্ষের আহতরা হলেন- আলমডাঙ্গার ভাংবাড়ীয়া ইউনিয়নের ভোগাইল বগাদী গ্রামের আকবার আলী মাস্টারের ছেলে ইমাজ উদ্দীন খোকন (৫০), হাতিকাটা গ্রামের মৃত লিয়াকতের ছেলে রুমন জোয়ার্র্দ্দার (৩৫), একই এলাকার লিপন জোয়ার্দ্দারের ছেলে অনিক জোয়ার্দ্দার, মো. সজলসহ উভয় পক্ষোর মোট নয়জন আহত হয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাতিকাটা গ্রামে জ্যোতি বি¯ু‹ট ফ্যাক্টরি সংলগ্ন ২৯ শতক জমি নিয়ে মিনহাজ উদ্দীন ও ইমাজ উদ্দীন খোকন দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে চুয়াডাঙ্গা সহকারী জেলা জজ আদলতে একটি মামলা চলমান রয়েছে। গতকাল রাতে এই বিরোধের জেরে দুপক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষ লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হলে উভয়পক্ষের ৯ জন আহত হন। পরে পরিবারের সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। এদিকে, খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গ সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
আহতদের বিষয়ে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নাজমুস সাকিব বলেন, ‘দুই পক্ষের ৯ জন আহত অবস্থায় জরুরি বিভাগে আসেন। প্রত্যেকের শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাঠি বা কাঠ জাতীয় বস্তুর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। জরুরি বিভাগ থেকে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।’
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী বলেন, হাতিকাটায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দু পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা সম্পর্কে জেনেছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের টিম পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এতে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। তবে কোনো অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গার হাতিকাটায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৯ জন আহত

আপলোড টাইম : ০৯:২৮:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৯ জন আহত হয়েছে। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে সদর উপজেলার আলুকদিয়ার ইউনিয়নের হাতিকাটায় এ ঘটনা ঘটে। পরে পরিবারের সদস্যরা আহতদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়। আহতরা হলেন- হাতিকাটা গ্রামের মৃত ওমর আলীর ছেলে মিনহাজ উদ্দীন (৭০), তার স্ত্রী শাহিদা বেগম (৬৫), মিনহাজ উদ্দীনের চাচাতো ভাই নজরুল ইসলাম (৪৮), বোন ওমিতন বিবি (৫৫) ও তার স্বামী একই এলাকার মৃত রবজেলের ছেলে রমজান আলী। অপর পক্ষের আহতরা হলেন- আলমডাঙ্গার ভাংবাড়ীয়া ইউনিয়নের ভোগাইল বগাদী গ্রামের আকবার আলী মাস্টারের ছেলে ইমাজ উদ্দীন খোকন (৫০), হাতিকাটা গ্রামের মৃত লিয়াকতের ছেলে রুমন জোয়ার্র্দ্দার (৩৫), একই এলাকার লিপন জোয়ার্দ্দারের ছেলে অনিক জোয়ার্দ্দার, মো. সজলসহ উভয় পক্ষোর মোট নয়জন আহত হয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাতিকাটা গ্রামে জ্যোতি বি¯ু‹ট ফ্যাক্টরি সংলগ্ন ২৯ শতক জমি নিয়ে মিনহাজ উদ্দীন ও ইমাজ উদ্দীন খোকন দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে চুয়াডাঙ্গা সহকারী জেলা জজ আদলতে একটি মামলা চলমান রয়েছে। গতকাল রাতে এই বিরোধের জেরে দুপক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষ লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হলে উভয়পক্ষের ৯ জন আহত হন। পরে পরিবারের সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। এদিকে, খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গ সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
আহতদের বিষয়ে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নাজমুস সাকিব বলেন, ‘দুই পক্ষের ৯ জন আহত অবস্থায় জরুরি বিভাগে আসেন। প্রত্যেকের শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাঠি বা কাঠ জাতীয় বস্তুর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। জরুরি বিভাগ থেকে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।’
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী বলেন, হাতিকাটায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দু পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা সম্পর্কে জেনেছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের টিম পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এতে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। তবে কোনো অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।