ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী প্রচারণায় আচরণবিধি ভঙ্গ

একাধিক প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থককে জরিমানা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৩:২৪:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ২৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী প্রচারণায় আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে একাধিক প্রার্থী ও কর্মীকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল সোমবার দিনভর চালানো এ অভিযানে ৬০ হাজার টাকা জরিমানার অর্থ আদায় করা হয়। চুয়াডাঙ্গা-১ ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে পৃথকভাবে এ অভিযান চালানো হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সদর উপজেলার পদ্মবিলা ইউনিয়নে প্রচুর পরিমাণে দেয়ালে লাগানো পোস্টার পরিলক্ষিত হওয়ায় ঈগল প্রতীকের নির্বাচনী ক্যাম্পের একজন কর্মীকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই অপরাধে নৌকা প্রতীকের আরও একজনকে ১ হাজার টাকা অর্থদণ্ডাদেশ দেয়া হয়। এ অভিযানটি পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের এনডিসি সাইফুল ইসলাম সাইফ।
এদিকে, সদরের খেজুরা গ্রামে একটি গীর্জায় ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলাকালে নির্বাচনী গণসংযোগ চালানোর দায়ে ঈগল প্রতীকের এক সমর্থককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। অভিযান পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাজ্জাদ হোসেন। এছাড়া আলমডাঙ্গার খাসকররা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নৌকা ও স্বতন্ত্র ফ্রিজ প্রতীকের সমর্থকেরা একই ইউনিয়নে একাধিক নির্বাচনীয় ক্যাম্প তৈরি করায় দুই প্রার্থীর সমর্থককে জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলের দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা দাস ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দুই সমর্থককে ২ হাজার করে জরিমানা করেন।

অপর দিকে, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের জীবননগরের উথলী ইউনিয়নে ঢেঁকি মার্কার ক্যাম্পে দেয়ালে পোস্টার সাঁটানো অবস্থায় পাওয়া যায়। এ জন্য একজনকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং সাঁটানো পোস্টার অপসারণ করা হয়। এ অভিযান চালান জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুর রহমান। এছাড়া জুড়ানপুর ইউনিয়নে একাধিক নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন করায় ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ঢেঁকি প্রতীকের নির্বাচনী ক্যাম্পের একজন কর্মীকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ অভিযানটি পরিচালনা করেন দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাস। এছাড়া রাত ৮টার পর মাইকিং বন্ধ ও অতিরিক্ত নির্বাচনী কার্যালয় অপসারণ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারকরা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী প্রচারণায় আচরণবিধি ভঙ্গ

একাধিক প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থককে জরিমানা

আপলোড টাইম : ০৩:২৪:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী প্রচারণায় আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে একাধিক প্রার্থী ও কর্মীকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল সোমবার দিনভর চালানো এ অভিযানে ৬০ হাজার টাকা জরিমানার অর্থ আদায় করা হয়। চুয়াডাঙ্গা-১ ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে পৃথকভাবে এ অভিযান চালানো হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সদর উপজেলার পদ্মবিলা ইউনিয়নে প্রচুর পরিমাণে দেয়ালে লাগানো পোস্টার পরিলক্ষিত হওয়ায় ঈগল প্রতীকের নির্বাচনী ক্যাম্পের একজন কর্মীকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই অপরাধে নৌকা প্রতীকের আরও একজনকে ১ হাজার টাকা অর্থদণ্ডাদেশ দেয়া হয়। এ অভিযানটি পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের এনডিসি সাইফুল ইসলাম সাইফ।
এদিকে, সদরের খেজুরা গ্রামে একটি গীর্জায় ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলাকালে নির্বাচনী গণসংযোগ চালানোর দায়ে ঈগল প্রতীকের এক সমর্থককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। অভিযান পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাজ্জাদ হোসেন। এছাড়া আলমডাঙ্গার খাসকররা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নৌকা ও স্বতন্ত্র ফ্রিজ প্রতীকের সমর্থকেরা একই ইউনিয়নে একাধিক নির্বাচনীয় ক্যাম্প তৈরি করায় দুই প্রার্থীর সমর্থককে জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলের দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা দাস ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দুই সমর্থককে ২ হাজার করে জরিমানা করেন।

অপর দিকে, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের জীবননগরের উথলী ইউনিয়নে ঢেঁকি মার্কার ক্যাম্পে দেয়ালে পোস্টার সাঁটানো অবস্থায় পাওয়া যায়। এ জন্য একজনকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং সাঁটানো পোস্টার অপসারণ করা হয়। এ অভিযান চালান জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুর রহমান। এছাড়া জুড়ানপুর ইউনিয়নে একাধিক নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন করায় ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ঢেঁকি প্রতীকের নির্বাচনী ক্যাম্পের একজন কর্মীকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ অভিযানটি পরিচালনা করেন দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাস। এছাড়া রাত ৮টার পর মাইকিং বন্ধ ও অতিরিক্ত নির্বাচনী কার্যালয় অপসারণ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারকরা।