ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গার ঠাকুরপুরে বার্ষিক ইছালে সওয়াব আজ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১৭:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / ৩৪ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:

আজ চুয়াডাঙ্গা পীরগঞ্জ ঠাকুরপুরে ইছালে ছওয়াব হালকায়ে জিকির অনুষ্ঠিত হবে। ইতঃমধ্যেই আয়োজক কমিটি সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। এলাকায় বিরাজ করছে সাজ সাজ রব, যে মসজিদ কেন্দ্র করে ইছালে ছওয়াব হালকায়ে জিকির, সেই মসজিদটি সাজানে হয়েছে লাল-নীল আলোয়। গ্রাম থেকে রাতের আলো দূর করে দিনের আলোর ন্যায় করেছে লাইটের মাধ্যমে। এলাকায় প্রতিটি মোড়ে টাঙানো হয়েছে মাইক। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইট সূত্রে জানা গেছে, জেলা শহর থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ঠাকুরপুর গ্রাম। প্রতিবছরের বাংলা মাসের ১২ ফাল্গুন বার্ষিক ইছালে ছওয়াব ও হালকায়ে জিকিরের তথা বার্ষিক ওরশ আয়োজন করে এলাকাবাসী।

খাতা-কলমে এবার ৯৭ বছর হলেও প্রবীণ ব্যক্তিরা জানান, প্রায় ৩ শ বছর ধরে হয়ে আসছে এই ওরশ। কালক্রমে অবশ্য নামও পরিবর্তনের সূত্রপাত ঘটেছে। স্থানটি কালক্রমে পীরগঞ্জ হিসেবেও পরিচিতি পেয়েছে। নাম পরিবর্তন অবশ্য স্থানীয়দের প্রচেষ্টারই ফসল। ঠাকুরপুরের নাম পীরগঞ্জ করার আড়ালে নিহিত রয়েছে ওই বিশাল আকৃতির গম্বুজ মসজিদটি। ইসলাম ধর্ম প্রচার করার জন্য যুগে যুগে এলাকায় আলো ছড়িয়েছেন যাঁরা, তাঁদেরই একজন ছিলেন আফু শাহ্। নির্দিষ্ট করে বলা না গেলেও ১৬৯৮ সালে পশ্চিমবঙ্গ থেকে মাথাভাঙ্গা, নবগঙ্গা বেয়ে তিনি যে স্থানটি পছন্দ করে নোঙর গাড়েন, মাল সামিয়ানা নামিয়ে আস্তানা গড়ে তোলেন, সেই স্থানটির নাম তখন ছিল ঠাকুরপুর, এখন পীরগঞ্জ। এখানেই রয়েছে বড় গম্বুজের মসজিদ। হযরত আফু শাহ ছিলেন সাধক পুরুষ, গুণীজন। কথিত রয়েছে তাঁরই বিশেষ গুণে মসজিদটি এক রাতেই নির্মিত হয়। এ মসজিদের মূল কাঠামো অক্ষুণ্ন রেখেই পরবর্তীতে সংস্কার করা হয়েছে। সম্প্রসারণের পাশাপাশি আধুনিকায়নেরও ছোঁয়া লেগেছে বিভিন্ন সময় দায়িত্বে থাকা কমিটির নেতৃবৃন্দের বিশেষ উদ্যোগে। প্রধান ফটকটি টাইলস দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে যেমন, তেমনই মসজিদের অভ্যন্তর অংশেও লাগানো হয়েছে টাইলস। এ মসজিদেই প্রতিবছর ইছালে ছওয়াব হালকায়ে জিকিরের আয়োজন করা হয়। এবারও ইছালে ছওয়াব হালকায়ে জিকিরের আয়োজন করা হয়েছে।

ইছালে সওয়াব হালকায়ে জিকিরের প্রধান বক্তা হিসেবে থাকছেন ঢাকা কলতা বাজার জামে মসজিদের খতিব হযরত মাওলানা জালাল উদ্দীন উসমানী,  দ্বিতীয় বক্তা হিসেবে থাকছেন চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মুফতী জুনাইদ আল-হাবিবী এবং তৃতীয় বক্তা হিসেবে থাকছেন পীরগঞ্জ ঠাকুরপুর জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মুফতী মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ। আয়োজক কমিটি সবাইকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গার ঠাকুরপুরে বার্ষিক ইছালে সওয়াব আজ

আপলোড টাইম : ০৯:১৭:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২

সমীকরণ প্রতিবেদন:

আজ চুয়াডাঙ্গা পীরগঞ্জ ঠাকুরপুরে ইছালে ছওয়াব হালকায়ে জিকির অনুষ্ঠিত হবে। ইতঃমধ্যেই আয়োজক কমিটি সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। এলাকায় বিরাজ করছে সাজ সাজ রব, যে মসজিদ কেন্দ্র করে ইছালে ছওয়াব হালকায়ে জিকির, সেই মসজিদটি সাজানে হয়েছে লাল-নীল আলোয়। গ্রাম থেকে রাতের আলো দূর করে দিনের আলোর ন্যায় করেছে লাইটের মাধ্যমে। এলাকায় প্রতিটি মোড়ে টাঙানো হয়েছে মাইক। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইট সূত্রে জানা গেছে, জেলা শহর থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ঠাকুরপুর গ্রাম। প্রতিবছরের বাংলা মাসের ১২ ফাল্গুন বার্ষিক ইছালে ছওয়াব ও হালকায়ে জিকিরের তথা বার্ষিক ওরশ আয়োজন করে এলাকাবাসী।

খাতা-কলমে এবার ৯৭ বছর হলেও প্রবীণ ব্যক্তিরা জানান, প্রায় ৩ শ বছর ধরে হয়ে আসছে এই ওরশ। কালক্রমে অবশ্য নামও পরিবর্তনের সূত্রপাত ঘটেছে। স্থানটি কালক্রমে পীরগঞ্জ হিসেবেও পরিচিতি পেয়েছে। নাম পরিবর্তন অবশ্য স্থানীয়দের প্রচেষ্টারই ফসল। ঠাকুরপুরের নাম পীরগঞ্জ করার আড়ালে নিহিত রয়েছে ওই বিশাল আকৃতির গম্বুজ মসজিদটি। ইসলাম ধর্ম প্রচার করার জন্য যুগে যুগে এলাকায় আলো ছড়িয়েছেন যাঁরা, তাঁদেরই একজন ছিলেন আফু শাহ্। নির্দিষ্ট করে বলা না গেলেও ১৬৯৮ সালে পশ্চিমবঙ্গ থেকে মাথাভাঙ্গা, নবগঙ্গা বেয়ে তিনি যে স্থানটি পছন্দ করে নোঙর গাড়েন, মাল সামিয়ানা নামিয়ে আস্তানা গড়ে তোলেন, সেই স্থানটির নাম তখন ছিল ঠাকুরপুর, এখন পীরগঞ্জ। এখানেই রয়েছে বড় গম্বুজের মসজিদ। হযরত আফু শাহ ছিলেন সাধক পুরুষ, গুণীজন। কথিত রয়েছে তাঁরই বিশেষ গুণে মসজিদটি এক রাতেই নির্মিত হয়। এ মসজিদের মূল কাঠামো অক্ষুণ্ন রেখেই পরবর্তীতে সংস্কার করা হয়েছে। সম্প্রসারণের পাশাপাশি আধুনিকায়নেরও ছোঁয়া লেগেছে বিভিন্ন সময় দায়িত্বে থাকা কমিটির নেতৃবৃন্দের বিশেষ উদ্যোগে। প্রধান ফটকটি টাইলস দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে যেমন, তেমনই মসজিদের অভ্যন্তর অংশেও লাগানো হয়েছে টাইলস। এ মসজিদেই প্রতিবছর ইছালে ছওয়াব হালকায়ে জিকিরের আয়োজন করা হয়। এবারও ইছালে ছওয়াব হালকায়ে জিকিরের আয়োজন করা হয়েছে।

ইছালে সওয়াব হালকায়ে জিকিরের প্রধান বক্তা হিসেবে থাকছেন ঢাকা কলতা বাজার জামে মসজিদের খতিব হযরত মাওলানা জালাল উদ্দীন উসমানী,  দ্বিতীয় বক্তা হিসেবে থাকছেন চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মুফতী জুনাইদ আল-হাবিবী এবং তৃতীয় বক্তা হিসেবে থাকছেন পীরগঞ্জ ঠাকুরপুর জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মুফতী মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ। আয়োজক কমিটি সবাইকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।