ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় স্বাভাবিক প্রসব সেবা জোরদারকরণে কর্মশালায় যুগ্ম সচিব মো. হাবিবুল হক খান

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:৪১:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৩৯ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:

চুয়াডাঙ্গায় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ২৪/৭ (সার্বক্ষণিক) স্বাভাবিক প্রসব সেবা জোরদারকরণ বিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিভাগীয় পরিবার পরিকল্পনা পরিচালক যুগ্ম সচিব মো. হাবিবুল হক খান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বহু প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে যে বাঙালিরা বিশ্ব দরবারে বারবার মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর নজির গড়েছে, সেই জাতি শত অপ্রতুলতার মধ্যেও যে স্বাভাবিক প্রসবের হার প্রত্যাশিত পর্যায়ে নিতে পারবে, তা বিশ্বাস করা অবান্তর নয়। যুগ্ম সচিব বলেন, ‘আমরা পারি। মাতৃভাষার জন্য আমরা রক্ত দিতে পেরেছি, সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা অর্জন করেছি। নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিশ্ব দরবারে যেমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি, তেমনই বিভিন্ন সময়ে টিকাকরণেও আমরা আমাদের সক্ষমতা দেখিয়েছি। যেহেতু প্রসূতির সিজার করার কারণে বড় ধরণের স্বাস্থ্যগত হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে, সেহেতু সিজারের মাধ্যমে নবজাতক ভূমিষ্ঠকরণের হার হ্রাস করার লক্ষে আমাদের তৃণমূল পর্যায়ের সকলকে নিজ নিজ ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। নিষ্ঠার সাথে দায়িত্বপালনের মাধ্যমে আস্থা অর্জন করতে হবে। সমাজে সচেতনতার আলোও ছড়াতে হবে। কমাতে হবে প্রসূতি মা ও নবজাতকের মৃত্যুহারও। প্রসূতির কোনো প্রকারের স্বাস্থ্যগত জটিলতা তথা সমস্যা দেখা না দিলে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় প্রসূতির প্রসব নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য দায়িত্বপ্রাপ্তদের অবশ্যই ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে অবস্থান করে সপ্তাহের ৭ দিন ২৪ ঘণ্টা সেবা দেওয়ার লক্ষে সজাগ থাকতে হবে। যেসব ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে স্বাভাবিকভাবে প্রসবের হার শূন্যের কোঠায় রয়েছে, তাদেরকে কর্তব্যপরায়নতার পরিচয় দেয়া অতীব জরুরি।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে স্বাভাবিক প্রসবের হার অন্য ইউনিয়নের তুলনায় অনেক বেশি। সেহেতু বেগমপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে নিয়োজিতদের কর্তব্যপরায়নতাকে প্রশংসা করে কর্মশালার সভাপতি জেলা প্রশাসক সকলকে আন্তরিকতার সাথে দায়িত্বপালনের মাধ্যমে সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আহ্বান জানান। কর্মশালার শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াত করেন ফার্মাসিস্ট মো. শীফউদ্দিন। সাবেক সিনিয়সর কনসালটেন্ট (গাইনি) ডা. তরুণ কুমার ঘোষ প্রামাণ্য চিত্র উপস্থাপন করে সিজারের মাধ্যমে প্রসবে ক্ষতিকর দিক যেমন তুলে ধরেন, তেমনই স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় প্রসূতির প্রসবের জন্য সংশ্লিষ্টদের করণীয় সম্পর্কেও সকলকে অবহিত করেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনি) ডা. আকলিমা খাতুন তাঁর বক্তব্যে প্রসূতি ও তাদের নিকটজনদের কতটা সচেতন হওয়া দরকার, তার বিস্তারিত বিবরণ দেন। চুয়াডাঙ্গা জেলা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের কনসালটেন্ট ডা. বিল¬াল উদ্দীন উপস্থাপনার পাশাপাশি জেলায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রগুলো হালচিত্রসহ বিস্তারিত তুলে ধরেন। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডা. আউলিয়ার রহমান, জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক এবিএম শরিফুল হক, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম ম্যানেজার (মাতৃ স্বাস্থ্য) উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশাদুল হক বিশ্বাস, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম ভূঁইয়া। এছাড়াও বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা বিএমএ সভাপতি ডা. মার্টিন হীরক চৌধুরী, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সরদার আল আমিন প্রমুখ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় স্বাভাবিক প্রসব সেবা জোরদারকরণে কর্মশালায় যুগ্ম সচিব মো. হাবিবুল হক খান

আপলোড টাইম : ০৫:৪১:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদন:

চুয়াডাঙ্গায় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ২৪/৭ (সার্বক্ষণিক) স্বাভাবিক প্রসব সেবা জোরদারকরণ বিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিভাগীয় পরিবার পরিকল্পনা পরিচালক যুগ্ম সচিব মো. হাবিবুল হক খান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বহু প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে যে বাঙালিরা বিশ্ব দরবারে বারবার মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর নজির গড়েছে, সেই জাতি শত অপ্রতুলতার মধ্যেও যে স্বাভাবিক প্রসবের হার প্রত্যাশিত পর্যায়ে নিতে পারবে, তা বিশ্বাস করা অবান্তর নয়। যুগ্ম সচিব বলেন, ‘আমরা পারি। মাতৃভাষার জন্য আমরা রক্ত দিতে পেরেছি, সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা অর্জন করেছি। নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিশ্ব দরবারে যেমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি, তেমনই বিভিন্ন সময়ে টিকাকরণেও আমরা আমাদের সক্ষমতা দেখিয়েছি। যেহেতু প্রসূতির সিজার করার কারণে বড় ধরণের স্বাস্থ্যগত হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে, সেহেতু সিজারের মাধ্যমে নবজাতক ভূমিষ্ঠকরণের হার হ্রাস করার লক্ষে আমাদের তৃণমূল পর্যায়ের সকলকে নিজ নিজ ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। নিষ্ঠার সাথে দায়িত্বপালনের মাধ্যমে আস্থা অর্জন করতে হবে। সমাজে সচেতনতার আলোও ছড়াতে হবে। কমাতে হবে প্রসূতি মা ও নবজাতকের মৃত্যুহারও। প্রসূতির কোনো প্রকারের স্বাস্থ্যগত জটিলতা তথা সমস্যা দেখা না দিলে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় প্রসূতির প্রসব নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য দায়িত্বপ্রাপ্তদের অবশ্যই ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে অবস্থান করে সপ্তাহের ৭ দিন ২৪ ঘণ্টা সেবা দেওয়ার লক্ষে সজাগ থাকতে হবে। যেসব ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে স্বাভাবিকভাবে প্রসবের হার শূন্যের কোঠায় রয়েছে, তাদেরকে কর্তব্যপরায়নতার পরিচয় দেয়া অতীব জরুরি।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে স্বাভাবিক প্রসবের হার অন্য ইউনিয়নের তুলনায় অনেক বেশি। সেহেতু বেগমপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে নিয়োজিতদের কর্তব্যপরায়নতাকে প্রশংসা করে কর্মশালার সভাপতি জেলা প্রশাসক সকলকে আন্তরিকতার সাথে দায়িত্বপালনের মাধ্যমে সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আহ্বান জানান। কর্মশালার শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াত করেন ফার্মাসিস্ট মো. শীফউদ্দিন। সাবেক সিনিয়সর কনসালটেন্ট (গাইনি) ডা. তরুণ কুমার ঘোষ প্রামাণ্য চিত্র উপস্থাপন করে সিজারের মাধ্যমে প্রসবে ক্ষতিকর দিক যেমন তুলে ধরেন, তেমনই স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় প্রসূতির প্রসবের জন্য সংশ্লিষ্টদের করণীয় সম্পর্কেও সকলকে অবহিত করেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনি) ডা. আকলিমা খাতুন তাঁর বক্তব্যে প্রসূতি ও তাদের নিকটজনদের কতটা সচেতন হওয়া দরকার, তার বিস্তারিত বিবরণ দেন। চুয়াডাঙ্গা জেলা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের কনসালটেন্ট ডা. বিল¬াল উদ্দীন উপস্থাপনার পাশাপাশি জেলায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রগুলো হালচিত্রসহ বিস্তারিত তুলে ধরেন। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডা. আউলিয়ার রহমান, জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক এবিএম শরিফুল হক, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম ম্যানেজার (মাতৃ স্বাস্থ্য) উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশাদুল হক বিশ্বাস, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম ভূঁইয়া। এছাড়াও বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা বিএমএ সভাপতি ডা. মার্টিন হীরক চৌধুরী, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সরদার আল আমিন প্রমুখ।