ইপেপার । আজ শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় শিলাবৃষ্টিতে মুকুলের ক্ষতির পর বৈশাখের রৌদ্র-তাপে ঝরছে আমের গুটি

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ১০:০৩:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ এপ্রিল ২০২২
  • / ২৫ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গার আম বাগানের মালিকদের কপালে পড়ছে চিন্তার ভাজ। চলতি মৌসুমের প্রথম দিকেই শিলাবৃষ্টিতে মুকুলের ক্ষতি আর বৈশাখের রৌদ্র-তাপে ঝরে যাচ্ছে আমের গুটি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, এই সময় বৈশাখে বৃষ্টি কম হওয়ায় মুকুল ঝরে যেতে পারে। নিয়মিত বাগানে সেচ দেওয়া অব্যহত রাখতে হবে।

জানা গেছে, এ বছর চুয়াডাঙ্গাতে ১৪২৯ হেক্টর জমিতে আমের বাগান বা আম চাষ হচ্ছে। এ মৌসুমে আমের মুকুল আসার প্রথম দিকেই চুয়াডাঙ্গাতে শিলাবৃষ্টি হওয়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয় আমের মুকুলের। একইসাথে ওই শিলাবৃষ্টি হওয়ার পর দীর্ঘদিন ভারি বৃষ্টিপাত না হওয়ায় বৈশাখের রৌদ্র-তাপেও ঝরছে আমের মুকুল তথা গুটি। তীব্র খরায় সেচ দিয়েও খুব একটা ফল পাচ্ছেন না বলে বলছেন বাগান মালিকেরা। তাঁদের মতে, উৎপাদন খরচ বাড়লেও ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। চরম উৎকণ্ঠায় ভুগছেন তাঁরা।

আলমডাঙ্গা উপজেলার আমচাষি সোহেল তাজ বলেন, ‘আমার বিঘা তিনেক জমিতে আমের বাগান আছে। হিমসাগর, ল্যাংড়া, বোম্বাই ও ফজলিসহ বিভিন্ন জাতের আমগাছ আছে। চলতি মৌসুমের শুরুতে প্রতিটি আমগাছে ব্যাপকহারে আমের মুকুল আসে, গুটিও ধরে। তবে, প্রথমে শিলাবৃষ্টি পরে বৈশাখের তাপে গুটি ঝরে যাচ্ছে।’ আম বাগানের মালিকেরা বলছেন, সকল গাছে মুকুল না আসলেও কিছু আম গাছে আশানুরূপ মুকুল এসেছে এবং গুটিতে পরিণত হয়েছে। তবে বৃষ্টি না থাকার কারণে গুটি এবং মুকুলও ঝরে পড়ছে। কেউ কেউ সেচ দিয়ে ঝরে যাওয়া রোধ করার চেষ্টা করছেন। তবে গুটি ঝরা অব্যাহত রয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, মূলত কয়েকটি কারণে আমের গুটি ঝরে। এর মধ্যে গাছের পুষ্টির অভাব, পোকার আক্রমণ, রোগের আক্রমণ ও ধারণ ক্ষমতার বেশি আমের গুটি আসা। তবে এসময় তীব্র গরম ও খরার কারণে গুটি ঝরা অস্বাভাবিক কিছু নয়। নিয়মিত আম বাগানে সেচ দেওয়া অব্যহত রাখতে হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় শিলাবৃষ্টিতে মুকুলের ক্ষতির পর বৈশাখের রৌদ্র-তাপে ঝরছে আমের গুটি

আপলোড টাইম : ১০:০৩:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ এপ্রিল ২০২২

চুয়াডাঙ্গার আম বাগানের মালিকদের কপালে পড়ছে চিন্তার ভাজ। চলতি মৌসুমের প্রথম দিকেই শিলাবৃষ্টিতে মুকুলের ক্ষতি আর বৈশাখের রৌদ্র-তাপে ঝরে যাচ্ছে আমের গুটি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, এই সময় বৈশাখে বৃষ্টি কম হওয়ায় মুকুল ঝরে যেতে পারে। নিয়মিত বাগানে সেচ দেওয়া অব্যহত রাখতে হবে।

জানা গেছে, এ বছর চুয়াডাঙ্গাতে ১৪২৯ হেক্টর জমিতে আমের বাগান বা আম চাষ হচ্ছে। এ মৌসুমে আমের মুকুল আসার প্রথম দিকেই চুয়াডাঙ্গাতে শিলাবৃষ্টি হওয়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয় আমের মুকুলের। একইসাথে ওই শিলাবৃষ্টি হওয়ার পর দীর্ঘদিন ভারি বৃষ্টিপাত না হওয়ায় বৈশাখের রৌদ্র-তাপেও ঝরছে আমের মুকুল তথা গুটি। তীব্র খরায় সেচ দিয়েও খুব একটা ফল পাচ্ছেন না বলে বলছেন বাগান মালিকেরা। তাঁদের মতে, উৎপাদন খরচ বাড়লেও ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। চরম উৎকণ্ঠায় ভুগছেন তাঁরা।

আলমডাঙ্গা উপজেলার আমচাষি সোহেল তাজ বলেন, ‘আমার বিঘা তিনেক জমিতে আমের বাগান আছে। হিমসাগর, ল্যাংড়া, বোম্বাই ও ফজলিসহ বিভিন্ন জাতের আমগাছ আছে। চলতি মৌসুমের শুরুতে প্রতিটি আমগাছে ব্যাপকহারে আমের মুকুল আসে, গুটিও ধরে। তবে, প্রথমে শিলাবৃষ্টি পরে বৈশাখের তাপে গুটি ঝরে যাচ্ছে।’ আম বাগানের মালিকেরা বলছেন, সকল গাছে মুকুল না আসলেও কিছু আম গাছে আশানুরূপ মুকুল এসেছে এবং গুটিতে পরিণত হয়েছে। তবে বৃষ্টি না থাকার কারণে গুটি এবং মুকুলও ঝরে পড়ছে। কেউ কেউ সেচ দিয়ে ঝরে যাওয়া রোধ করার চেষ্টা করছেন। তবে গুটি ঝরা অব্যাহত রয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, মূলত কয়েকটি কারণে আমের গুটি ঝরে। এর মধ্যে গাছের পুষ্টির অভাব, পোকার আক্রমণ, রোগের আক্রমণ ও ধারণ ক্ষমতার বেশি আমের গুটি আসা। তবে এসময় তীব্র গরম ও খরার কারণে গুটি ঝরা অস্বাভাবিক কিছু নয়। নিয়মিত আম বাগানে সেচ দেওয়া অব্যহত রাখতে হবে।