ইপেপার । আজ বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় মুসল্লিদের বিভিন্ন দাবি পূরণ করলেন ডিসি আমিনুল ইসলাম

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৩:৫০:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ এপ্রিল ২০২৩
  • / ১৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চুয়াডাঙ্গা জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খানের আন্তরিকতায় মুসল্লিদের (তারাবি ও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া) দাবি দাওয়ার অধিকাংশই পূরণ হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বাদ জুম্মা চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খানের নিকট মুসল্লিরা তারাবির নামাজসহ মসজিদে যাতায়াত বিষয়ে বেশ কয়েকটি দাবি—দাওয়া তুলে ধরেন।

মুসল্লিদের দাবি ছিল— মসজিদের উত্তর প্রান্তের গেইটটি শুক্রবারসহ প্রতিদিন যোহরের আজান হওয়ার অনেকক্ষণ পরে খোলা হয়। এতে করে অনেক মুসল্লি যারা সকাল সকাল মসজিদে আসেন, তারা গেটে একাধিকবার নক করা সত্ত্বেও গেটটি খোলা হয় না। এভাবে কোনো কোনো দিন আধা ঘণ্টা থেকে পৌনে এক ঘণ্টা পর্যন্ত গেটের সামনে মুসল্লিদের দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এছাড়া তারাবির নামাজ পড়তে আসা অনেক মুসল্লি তাদের ব্যবহৃত যানবাহনগুলো ঝড়—বৃষ্টি ও চোর চক্রের হাত থেকে নিরাপদ রাখার জন্য মসজিদের নিচের পার্কিং জোন খুলে দেওয়ার দাবি জানান। এ দাবি—দাওয়া ছাড়াও মসজিদের সন্নিকটে ৩৩ হাজার হাই ভোল্টেজের যে বিদ্যুৎ লাইন আছে, সেই লাইনটি নিরাপদ রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জেলা প্রশাসকের নিকট উত্থাপন করা হয়।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান মুসল্লিদের যৌক্তিক দাবিকে সম্মান জানিয়ে মসজিদের দক্ষিণ দিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক খুব দ্রুতই পকেট গেটসহ একটি গেট তৈরি করে দিবেন বলে নিশ্চিত করেন এবং মসজিদের উত্তর দিকের প্রাচীর ও ছোট গেট গেটটি ভেঙে গণপূর্ত বিভাগের মাধ্যমে একটি গেট করে দেবেন বলে জানান।

গণপূর্ত বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ইতঃমধ্যেই গেট ও রাস্তা নির্মাণের জন্য একটি এস্টিমেট তৈরি করা হয়েছে। ফান্ড পাওয়া মাত্রই এ কাজটিও শুরু হবে। মুসল্লিদের আরও দাবি ছিল, মসজিদের উত্তর পাশের রাস্তাটি পুরাতন গ্রীন ফুড ফ্যাক্টরির পাশ হয়ে সরাসরি প্রধান সড়কে বাদুরতলায় গিয়ে মিশবে এবং পরবর্তীতে সেখানে একটি গেট বানিয়ে রাস্তার দু—পাশে লাইটিং করে বিউটিফিকেশনসহ জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পথ নির্দেশনা থাকবে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মুসল্লিদের আশ্বস্ত করে বলেন, যে কাজগুলো প্রথমত জরুরি, সেটি করার পর পরবর্তীতে এ কাজগুলো ধীরে ধীরে করা হবে।

একই সঙ্গে দূর—দূরান্ত থেকে তারাবি পড়তে আসা মুসল্লিদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, বাইসাইকেলসহ তাদের ব্যবহৃত যানগুলো নীচতলার পার্কিং জোনে নিরাপত্তার সহিত রাখার মুসল্লিগণ কর্তৃক যে দাবি উঠেছিল, তাৎক্ষণিকভাবে সেই দাবিটি বাস্তবায়নের জন্য জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান মসজিদের গার্ডকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেন এবং মুসল্লিদের গাড়ি পার্কিং জোন ব্যবহারের অনুমতি প্রদান করেন। তবে তিনি উল্লেখ করেন, তারাবি নামাজ শুরু হওয়ার আগেই মুসল্লিদের ব্যবহৃত যানবাহনগুলো পার্কিং জোনে রাখতে হবে এবং তারাবি নামাজ শেষে পার্কিং জোনের তালা খুলে দেওয়া হবে।

এদিকে, জরুরি দাবি—দাওয়াগুলো তাৎক্ষণিকভাবে পূরণ হওয়ায় ও বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা, বিউটিফিকেশনের জন্য রাস্তা এবং গেটের যে দাবিগুলো উঠেছিল, তা পূরণে আশ্বাস দেওয়ায় মসজিদের মুসল্লিগণ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খানকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, দাবিগুলো অনেকদিন আগে থেকেই মুসল্লিগণ করে আসছিলেন। গত কয়েকদিন থেকে এ দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে দাবিগুলো জোরালো করেন চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক ইসলাম রকিব ও প্রথম আলোর প্রতিনিধি সাংবাদিক শাহ আলম সনি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় মুসল্লিদের বিভিন্ন দাবি পূরণ করলেন ডিসি আমিনুল ইসলাম

আপলোড টাইম : ০৩:৫০:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চুয়াডাঙ্গা জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খানের আন্তরিকতায় মুসল্লিদের (তারাবি ও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া) দাবি দাওয়ার অধিকাংশই পূরণ হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বাদ জুম্মা চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খানের নিকট মুসল্লিরা তারাবির নামাজসহ মসজিদে যাতায়াত বিষয়ে বেশ কয়েকটি দাবি—দাওয়া তুলে ধরেন।

মুসল্লিদের দাবি ছিল— মসজিদের উত্তর প্রান্তের গেইটটি শুক্রবারসহ প্রতিদিন যোহরের আজান হওয়ার অনেকক্ষণ পরে খোলা হয়। এতে করে অনেক মুসল্লি যারা সকাল সকাল মসজিদে আসেন, তারা গেটে একাধিকবার নক করা সত্ত্বেও গেটটি খোলা হয় না। এভাবে কোনো কোনো দিন আধা ঘণ্টা থেকে পৌনে এক ঘণ্টা পর্যন্ত গেটের সামনে মুসল্লিদের দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এছাড়া তারাবির নামাজ পড়তে আসা অনেক মুসল্লি তাদের ব্যবহৃত যানবাহনগুলো ঝড়—বৃষ্টি ও চোর চক্রের হাত থেকে নিরাপদ রাখার জন্য মসজিদের নিচের পার্কিং জোন খুলে দেওয়ার দাবি জানান। এ দাবি—দাওয়া ছাড়াও মসজিদের সন্নিকটে ৩৩ হাজার হাই ভোল্টেজের যে বিদ্যুৎ লাইন আছে, সেই লাইনটি নিরাপদ রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জেলা প্রশাসকের নিকট উত্থাপন করা হয়।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান মুসল্লিদের যৌক্তিক দাবিকে সম্মান জানিয়ে মসজিদের দক্ষিণ দিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক খুব দ্রুতই পকেট গেটসহ একটি গেট তৈরি করে দিবেন বলে নিশ্চিত করেন এবং মসজিদের উত্তর দিকের প্রাচীর ও ছোট গেট গেটটি ভেঙে গণপূর্ত বিভাগের মাধ্যমে একটি গেট করে দেবেন বলে জানান।

গণপূর্ত বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ইতঃমধ্যেই গেট ও রাস্তা নির্মাণের জন্য একটি এস্টিমেট তৈরি করা হয়েছে। ফান্ড পাওয়া মাত্রই এ কাজটিও শুরু হবে। মুসল্লিদের আরও দাবি ছিল, মসজিদের উত্তর পাশের রাস্তাটি পুরাতন গ্রীন ফুড ফ্যাক্টরির পাশ হয়ে সরাসরি প্রধান সড়কে বাদুরতলায় গিয়ে মিশবে এবং পরবর্তীতে সেখানে একটি গেট বানিয়ে রাস্তার দু—পাশে লাইটিং করে বিউটিফিকেশনসহ জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পথ নির্দেশনা থাকবে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মুসল্লিদের আশ্বস্ত করে বলেন, যে কাজগুলো প্রথমত জরুরি, সেটি করার পর পরবর্তীতে এ কাজগুলো ধীরে ধীরে করা হবে।

একই সঙ্গে দূর—দূরান্ত থেকে তারাবি পড়তে আসা মুসল্লিদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, বাইসাইকেলসহ তাদের ব্যবহৃত যানগুলো নীচতলার পার্কিং জোনে নিরাপত্তার সহিত রাখার মুসল্লিগণ কর্তৃক যে দাবি উঠেছিল, তাৎক্ষণিকভাবে সেই দাবিটি বাস্তবায়নের জন্য জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান মসজিদের গার্ডকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেন এবং মুসল্লিদের গাড়ি পার্কিং জোন ব্যবহারের অনুমতি প্রদান করেন। তবে তিনি উল্লেখ করেন, তারাবি নামাজ শুরু হওয়ার আগেই মুসল্লিদের ব্যবহৃত যানবাহনগুলো পার্কিং জোনে রাখতে হবে এবং তারাবি নামাজ শেষে পার্কিং জোনের তালা খুলে দেওয়া হবে।

এদিকে, জরুরি দাবি—দাওয়াগুলো তাৎক্ষণিকভাবে পূরণ হওয়ায় ও বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা, বিউটিফিকেশনের জন্য রাস্তা এবং গেটের যে দাবিগুলো উঠেছিল, তা পূরণে আশ্বাস দেওয়ায় মসজিদের মুসল্লিগণ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খানকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, দাবিগুলো অনেকদিন আগে থেকেই মুসল্লিগণ করে আসছিলেন। গত কয়েকদিন থেকে এ দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে দাবিগুলো জোরালো করেন চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক ইসলাম রকিব ও প্রথম আলোর প্রতিনিধি সাংবাদিক শাহ আলম সনি।