ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় মাদ্রাসাছাত্রীর আত্মহত্যার প্ররোচণার মামলায় অর্ধডজন মামলার আসামি ‘দা কালাম’ গ্রেপ্তার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৫৮:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ মার্চ ২০২২
  • / ৩৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চুয়াডাঙ্গায় মাদ্রাসাছাত্রী মাসুমা খাতুন (১৮) আত্মহত্যায় প্ররোচণা মামলার আসামি আবুল কালাম ওরফে দা কালাম (২৪) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার সকালে জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার মুন্সিগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আবুল কালাম চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার আরামপাড়া গোরস্থান এলাকার মোবারক হোসেনের ছেলে।

পুলিশ জানায়, গত রোববার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হকপাড়ায় বাড়ি থেকে মাদ্রাসাছাত্রী মাসুমা খাতুনের গলায় ফাঁস দেওয়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে রেলবাজার আলিয়া মাদ্রাসার আলিম প্রথমবর্ষের ছাত্রী ছিল। এ ঘটনায় মৃত মাদ্রাসাছাত্রীর বাবা আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে ওই দিন রাতেই আবুল কালামকে আসামি করে সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এজাহারে বলা হয়েছে, বিবাহিত হয়েও কালাম বেশ কিছুদিন ধরে মাসুমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসলেও তাতে রাজি ছিল না মাসুমার পরিবার। পরে কালাম মাসুমাকে তার সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। একপর্যায়ে মাসুমাকে প্রকাশ্যে মারধর ও গালমন্দ করে কালাম। অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করে মাসুমা।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, আসামি জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তিনি আরও বলেন, অর্ধডজন মামলার আসামি বখাটে কালাম চুয়াডাঙ্গা জেলার শীর্ষ সন্ত্রাসী। তাঁর বিরুদ্ধে কথা বললে সে যখন তখন কোপাত। ২০২০ সালে ছাত্রলীগ নেতা জোবায়ের রিগান ও তার মামা কৃষক লীগ নেতা মহসীন রেজাকে কুপিয়ে জখম করে কালাম। দা নিয়ে কোপানোর জন্য তাকে এলাকায় দা কালাম নামেও ডাকা হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় মাদ্রাসাছাত্রীর আত্মহত্যার প্ররোচণার মামলায় অর্ধডজন মামলার আসামি ‘দা কালাম’ গ্রেপ্তার

আপলোড টাইম : ০৮:৫৮:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ মার্চ ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চুয়াডাঙ্গায় মাদ্রাসাছাত্রী মাসুমা খাতুন (১৮) আত্মহত্যায় প্ররোচণা মামলার আসামি আবুল কালাম ওরফে দা কালাম (২৪) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার সকালে জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার মুন্সিগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আবুল কালাম চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার আরামপাড়া গোরস্থান এলাকার মোবারক হোসেনের ছেলে।

পুলিশ জানায়, গত রোববার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হকপাড়ায় বাড়ি থেকে মাদ্রাসাছাত্রী মাসুমা খাতুনের গলায় ফাঁস দেওয়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে রেলবাজার আলিয়া মাদ্রাসার আলিম প্রথমবর্ষের ছাত্রী ছিল। এ ঘটনায় মৃত মাদ্রাসাছাত্রীর বাবা আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে ওই দিন রাতেই আবুল কালামকে আসামি করে সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এজাহারে বলা হয়েছে, বিবাহিত হয়েও কালাম বেশ কিছুদিন ধরে মাসুমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসলেও তাতে রাজি ছিল না মাসুমার পরিবার। পরে কালাম মাসুমাকে তার সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। একপর্যায়ে মাসুমাকে প্রকাশ্যে মারধর ও গালমন্দ করে কালাম। অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করে মাসুমা।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, আসামি জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তিনি আরও বলেন, অর্ধডজন মামলার আসামি বখাটে কালাম চুয়াডাঙ্গা জেলার শীর্ষ সন্ত্রাসী। তাঁর বিরুদ্ধে কথা বললে সে যখন তখন কোপাত। ২০২০ সালে ছাত্রলীগ নেতা জোবায়ের রিগান ও তার মামা কৃষক লীগ নেতা মহসীন রেজাকে কুপিয়ে জখম করে কালাম। দা নিয়ে কোপানোর জন্য তাকে এলাকায় দা কালাম নামেও ডাকা হয়।