ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় টানা ১০ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড, বাড়তে পারে আরও

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:৩৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০২৩
  • / ২৯ বার পড়া হয়েছে

ক্যাপশন: চুয়াডাঙ্গা শহরের প্রাণকেন্দ্র বড় বাজার চৌরাস্তার মোড়ে ভিড় কম। গরমে বাইরে কম বের হচ্ছে সাধারণ মানুষ।

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চুয়াডাঙ্গায় অসহনীয় ভ্যাপসা গরমে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে। টানা ১০ দিন এ জেলায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ৩টায় এ জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা সারাদেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। আবহাওয়া অফিস বলছে, কর্কটক্রান্তি রেখার খুব কাছাকাছি অবস্থান হওয়ায় চুয়াডাঙ্গায় শীতের সময় বেশি শীত, গরমের সময় গরম বেশি থাকে। অসহনীয় ভ্যাপসা গরমে জনজীবনসহ প্রাণিকূল অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। বিশেষ কাজ ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। অসহনীয় গরমে শ্রমিক ও খেটে খাওয়া মানুষের খুবই কষ্ট হচ্ছে। তীব্র গরমে এদের জীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। বাড়ছে শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া ও হৃদরোগসহ নানা ব্যাধি। বেশি অসুস্থ হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর চাপ। প্রচণ্ড ভিড় থাকায় রোগী দেখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত সাত দিনে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ১৭৩ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। শিশু ওয়ার্ডে গত সাত দিনে ভর্তি হয়েছে ২৮৪ জন।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ দিন ধরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে এ জেলায়। ২ এপ্রিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায় ৩৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ৩ এপ্রিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল চুয়াডাঙ্গায়। ৪ এপ্রিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ৫ এপ্রিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ৬ এপ্রিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায় ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ৭ এপ্রিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ৮ এপ্রিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায় ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ৯ এপ্রিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায় ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১০ এপ্রিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায় ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বশেষ গতকাল ১১ এপ্রিলও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায়।

আলমডাঙ্গা উপজেলার মুন্সিগঞ্জ গ্রামের কৃষক নবীর উদ্দীন বলেন, মাঠে ধান আছে। নিয়মিত পানি দিতে হচ্ছে। সেচ খরচ বেশি হচ্ছে। রোদে শুকিয়ে যাচ্ছে ধান খেত। জীববনগর উপজেলার বাঁকা গ্রামের ভুট্টা চাষী রফিক মন্ডল বলেন, ভুট্টা কাটার সময় হয়েছে। কিন্তু যে গরম, খেত থেকে ভুট্টা কাটতে গিয়ে স্ট্রোক করব বলে মনে হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গার বড় বাজারের ফল বিক্রেতা আলম আলী বলেন, গরমে মানুষজন কম। সারাদিন গরমে দোকান খুলে বসে থাকতে হচ্ছে। বেঁচা-বিক্রিও কম। চুয়াডাঙ্গা শহরের ঈদগাহপাড়ার সাফফাতুল ইসলাম বলেন, ‘গরমের কারণে ছাতা ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়ার উপায় নেই। গরমে ঘরেও থাকা যায় না, আবার বাইরেও প্রচণ্ড তাপ। রোজার মাসে এমন গরম আগে দেখিনি। একটু কাজ করতে গেলে মনে হয় কলিজাটা শুকিয়ে যাচ্ছে। বেশিক্ষণ কাজ করা যাচ্ছে না।’ ভ্যানচালক হযরত আলী বলেন, ‘ভাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। এমনিতে রমজান মাস। তারপর আবার গরমে রাস্তায় মানুষ কম। প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হচ্ছে না। ভাড়া পাচ্ছি না।’

চিকিৎসকদের অনেকেই বলেছেন, ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে প্রয়োজনীয় লবণ পানি বেরিয়ে যাওয়ার কারণে অনেকেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ছে। কেউ কেউ হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তাছাড়া গরমের কারণে অনেকেই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। যাদের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা আছে, অতিরিক্ত গরমের কারণে তাদের তা বেড়ে অসহনীয় হয়ে উঠছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. এএসএম ফাতেহ্ আকরাম বলেন, অতিরিক্ত গরমের কারণে সব সময়ই হাসপাতালে রোগীর চাপ বৃদ্ধি পায়। তবে এখন পর্যন্ত হাসপাতালের ডায়রিয়া ও মেডিসিন দুটি বিভাগের অবস্থা স্বাভাবিক আছে। এসময় রোজাদার ও সাধারণ মানুষের জন্য পরামর্শ দিয়ে তিনি আরও বলেন, যতটা সম্ভব রোদ থেকে দূরে থাকতে হবে। রোজাদারদের ইফতারের পর থেকে সেহেরি পর্যন্ত পানি পান করতে হবে। রোজা রাখা অবস্থাতে কেউ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে তিনি রোজা ভাঙবেন এবং স্যালাইন খাবেন। তবে অতিরিক্ত পানি শূন্যতা দেখা দিলে তাকে দ্রত হাসপাতালে নিতে হবে।

এদিকে আবহাওয়া অফিস বলছে, তাপমাত্রার পারদ আরও বেশি বাড়তে পারে। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, ভৌগোলিক ও ভূতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যের কারণে চুয়াডাঙ্গায় গরম ও শীত তীব্র। কর্কটক্রান্তি রেখার খুব কাছাকাছি অবস্থানে আছে চুয়াডাঙ্গা। মূলত, ভৌগোলিক কারণেই এ জেলায় শীত মৌসুমে তীব্র শীত ও গরমকালে তীব্র গরম হয়। এই কর্মকর্তা আরও বলেন, টানা ১০ দিন ধরে এ জেলায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে। তার সাথে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে একটানা ৮ দিন ধরে। এ ধারা আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকবে।

সারাদেশের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী গতকাল মঙ্গলবার বেলা ৩টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। এসময় বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ ছিল ৯ শতাংশ। সন্ধ্যা ছয়টায় তাপমাত্রা আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এটি এ জেলার এবং দেশের এই মৌসুমেরও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। বৃষ্টিপাত না থাকার কারণে বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ কমে গেছে

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় টানা ১০ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড, বাড়তে পারে আরও

আপলোড টাইম : ০৫:৩৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চুয়াডাঙ্গায় অসহনীয় ভ্যাপসা গরমে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে। টানা ১০ দিন এ জেলায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ৩টায় এ জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা সারাদেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। আবহাওয়া অফিস বলছে, কর্কটক্রান্তি রেখার খুব কাছাকাছি অবস্থান হওয়ায় চুয়াডাঙ্গায় শীতের সময় বেশি শীত, গরমের সময় গরম বেশি থাকে। অসহনীয় ভ্যাপসা গরমে জনজীবনসহ প্রাণিকূল অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। বিশেষ কাজ ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। অসহনীয় গরমে শ্রমিক ও খেটে খাওয়া মানুষের খুবই কষ্ট হচ্ছে। তীব্র গরমে এদের জীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। বাড়ছে শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া ও হৃদরোগসহ নানা ব্যাধি। বেশি অসুস্থ হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর চাপ। প্রচণ্ড ভিড় থাকায় রোগী দেখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত সাত দিনে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ১৭৩ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। শিশু ওয়ার্ডে গত সাত দিনে ভর্তি হয়েছে ২৮৪ জন।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ দিন ধরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে এ জেলায়। ২ এপ্রিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায় ৩৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ৩ এপ্রিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল চুয়াডাঙ্গায়। ৪ এপ্রিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ৫ এপ্রিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ৬ এপ্রিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায় ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ৭ এপ্রিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ৮ এপ্রিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায় ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ৯ এপ্রিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায় ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১০ এপ্রিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায় ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বশেষ গতকাল ১১ এপ্রিলও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায়।

আলমডাঙ্গা উপজেলার মুন্সিগঞ্জ গ্রামের কৃষক নবীর উদ্দীন বলেন, মাঠে ধান আছে। নিয়মিত পানি দিতে হচ্ছে। সেচ খরচ বেশি হচ্ছে। রোদে শুকিয়ে যাচ্ছে ধান খেত। জীববনগর উপজেলার বাঁকা গ্রামের ভুট্টা চাষী রফিক মন্ডল বলেন, ভুট্টা কাটার সময় হয়েছে। কিন্তু যে গরম, খেত থেকে ভুট্টা কাটতে গিয়ে স্ট্রোক করব বলে মনে হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গার বড় বাজারের ফল বিক্রেতা আলম আলী বলেন, গরমে মানুষজন কম। সারাদিন গরমে দোকান খুলে বসে থাকতে হচ্ছে। বেঁচা-বিক্রিও কম। চুয়াডাঙ্গা শহরের ঈদগাহপাড়ার সাফফাতুল ইসলাম বলেন, ‘গরমের কারণে ছাতা ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়ার উপায় নেই। গরমে ঘরেও থাকা যায় না, আবার বাইরেও প্রচণ্ড তাপ। রোজার মাসে এমন গরম আগে দেখিনি। একটু কাজ করতে গেলে মনে হয় কলিজাটা শুকিয়ে যাচ্ছে। বেশিক্ষণ কাজ করা যাচ্ছে না।’ ভ্যানচালক হযরত আলী বলেন, ‘ভাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। এমনিতে রমজান মাস। তারপর আবার গরমে রাস্তায় মানুষ কম। প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হচ্ছে না। ভাড়া পাচ্ছি না।’

চিকিৎসকদের অনেকেই বলেছেন, ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে প্রয়োজনীয় লবণ পানি বেরিয়ে যাওয়ার কারণে অনেকেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ছে। কেউ কেউ হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তাছাড়া গরমের কারণে অনেকেই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। যাদের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা আছে, অতিরিক্ত গরমের কারণে তাদের তা বেড়ে অসহনীয় হয়ে উঠছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. এএসএম ফাতেহ্ আকরাম বলেন, অতিরিক্ত গরমের কারণে সব সময়ই হাসপাতালে রোগীর চাপ বৃদ্ধি পায়। তবে এখন পর্যন্ত হাসপাতালের ডায়রিয়া ও মেডিসিন দুটি বিভাগের অবস্থা স্বাভাবিক আছে। এসময় রোজাদার ও সাধারণ মানুষের জন্য পরামর্শ দিয়ে তিনি আরও বলেন, যতটা সম্ভব রোদ থেকে দূরে থাকতে হবে। রোজাদারদের ইফতারের পর থেকে সেহেরি পর্যন্ত পানি পান করতে হবে। রোজা রাখা অবস্থাতে কেউ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে তিনি রোজা ভাঙবেন এবং স্যালাইন খাবেন। তবে অতিরিক্ত পানি শূন্যতা দেখা দিলে তাকে দ্রত হাসপাতালে নিতে হবে।

এদিকে আবহাওয়া অফিস বলছে, তাপমাত্রার পারদ আরও বেশি বাড়তে পারে। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, ভৌগোলিক ও ভূতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যের কারণে চুয়াডাঙ্গায় গরম ও শীত তীব্র। কর্কটক্রান্তি রেখার খুব কাছাকাছি অবস্থানে আছে চুয়াডাঙ্গা। মূলত, ভৌগোলিক কারণেই এ জেলায় শীত মৌসুমে তীব্র শীত ও গরমকালে তীব্র গরম হয়। এই কর্মকর্তা আরও বলেন, টানা ১০ দিন ধরে এ জেলায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে। তার সাথে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে একটানা ৮ দিন ধরে। এ ধারা আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকবে।

সারাদেশের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী গতকাল মঙ্গলবার বেলা ৩টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। এসময় বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ ছিল ৯ শতাংশ। সন্ধ্যা ছয়টায় তাপমাত্রা আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এটি এ জেলার এবং দেশের এই মৌসুমেরও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। বৃষ্টিপাত না থাকার কারণে বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ কমে গেছে