ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় টানা তিন দিন তীব্র দাবদাহ অব্যাহত, অতিষ্ঠ জনজীবন

হাসপাতালে বাড়ছে রোগী, শয্যা সংকট

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপলোড টাইম : ০৫:০৪:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
  • / ১০৬ বার পড়া হয়েছে

?????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????

চুয়াডাঙ্গায় তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জেলার সাধারণ মানুষ। টানা কয়েকদিন তীব্র দাবদাহে জেলা সদর হাসপাতালে বেড়েই চলেছে জ্বর, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। শয্যা সংকুলান না হওয়ায় রোগীরা হাসপাতালের বারান্দা ও করিডরে বিছানা পেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা তিনটায় চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এসময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ১৫ শতাংশ। এর আগে গত বুধবার সন্ধ্যা ছয়টায় এ জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি এই মৌসুমে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এবং দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। আবহাওয়া অফিস বলছে, এখনই তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা নেই। এটি আরও বাড়তে পারে। এদিকে হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতালে প্রচণ্ড ভিড় থাকায় রোগী দেখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গতকাল চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রচণ্ড দাবদাহের কারণে বিভিন্ন অসুস্থতা নিয়ে প্রাপ্তবয়স্ক ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক মিলিয়ে মোট ২০৫ জন চিকিৎসাধীন আছেন। এ দিন হাসপাতালের পুরুষ ও মহিলা মেডিসিন বিভাগে ভর্তি হয়েছেন ১২৭ জন। এ মধ্যে পুরুষ ওয়ার্ডে ৫৩ জন ও মহিলা ওয়ার্ডে ৭৪ জন। শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে ৪৬ জন ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে ৩২ জন নারী, পুরুষ ও শিশু। এর আগে বুধবার হাসপাতালের পুরুষ ও মহিলা মেডিসিন বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন ৮১ জন। এ মধ্যে পুরুষ ওয়ার্ডে ৩৫ জন ও মহিলা ওয়ার্ডে ৪৬ জন। শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে ৩১ জন ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে ৩২ জন নারী-পুরুষ ও শিশু।

গত বুধবার ও গতকাল বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখা গেছে, শয্যা সংখ্যার কয়েক গুন বেশি রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ওয়ার্ডে স্থান সংকুলান না হওয়ায় রোগীরা মেঝে ও বারান্দায় বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন এক শিশুর বাবা আরজ আলী বলেন, ‘তীব্র গরমে বড়রাই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। সারা রাত মেয়ে ছটফট করেছে। সকালে সে অসুস্থ হয়ে পড়ায় হাসপাতালে ভর্তি করেছি। ওয়ার্ডে এসে দেখি এখানে রোগীর অনেক চাপ। উপায় না পেয়ে মেঝেতেই আছি।’

হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র স্টাফ নার্স সাকিলা খাতুন বলেন, ‘অসহ্য গরমে ডিউটি করায় মুশকিল হয়ে পড়ছে। তার ওপরে বাড়তি রোগীর চাপ। শয্যা সংখ্যার থেকে অনেক বেশি রোগী চিকিৎসাধীন থাকছেন। এত রোগীকে চিকিৎসা দিতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।’

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. উম্মে ফারহানা বলেন, ‘গরম বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে জ্বর, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীর চাপ বাড়ছে। ঈদেও পর থেকে এখন পর্যন্ত শয্যা সংখ্যার বেশি রোগী বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন থাকছেন। শয্যা সংকুলান না হওয়ার রোগীদের যেমন বারান্দা ও করিডরে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে, একই সঙ্গে অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামাল দিয়ে চিকিৎসক ও নার্সদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।’

এ সময়ে পরামর্শ হিসেবে এই চিকিৎসক বলেন, ‘তীব্র গরমে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি রোগাক্রান্ত হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বেশি করে পানি পান করতে হবে। ঠান্ডাজাতীয় পানীয় বিশেষ করে-লেবুর শরবত, ডাবের পানি বেশি করে পান করতে হবে। এ সময় তাপ এড়িয়ে ঠান্ডা স্থানে থাকতে হবে।’

অন্যদিকে অসহনীয় ভ্যাপসা গরমে পরিবর্তন এসেছে এ জেলার মানুষের জীবনযাত্রায়। জরুরি কাজ ছাড়া স্বাভাবিক সময়ের মতো ঘর থেকে বের হচ্ছে কেউ। প্রকৃতিতেও নেমে এসেছে স্থবিরতা। স্বাভাবিক দিনের তুলনায় শহরে যানবাহন ও মানুষের সংখ্যাও কম। বিশেষ করে চরম বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। কাজের তাগিদে বাইরে বেরিয়ে তীব্র গরমে অসহ্য কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে তাঁদের।

      জেলার দামুড়হুদা উপজেলা শহরের চা-দোকানি তপু কুমার বলেন, ‘গরমে চায়ের বিক্রি নেই। খুব বাজে অবস্থা। দিন হাজিরা হচ্ছে না।’ তবে জীবননগর উপজেলার উথলী বাজারের শরবত বিক্রেতা মণ্টু মিয়া বলেন, ‘গরমে শরবত বেচা-বিক্রি ভালো। অন্য সময়ের তুলনায় লেবুর শরবতের চাহিদা বেশি। সন্ধ্যার পরও ভিড় হচ্ছে।’

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, ঈদের পরদিন থেকেই চুয়াডাঙ্গা জেলায় তাপপ্রবাহ শুরু হয়। ১২ এপ্রিল শুক্রবার জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর থেকে ক্রমেই ওপরে উঠতে থাকে তাপমাত্রার পারদ। শনিবার (১৩ এপ্রিল) ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রোববার (১৪ এপ্রিল) ৩৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি ও সোমবার (১৫ এপ্রিল) এ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বেলা তিনটায় জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর ১২টায় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। এটি দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এটি দেশেরও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান বলেন, ’ আগামী কয়েক দিন আবহাওয়া পরিস্থিতি একই রকম থাকবে। এসময় তাপমাত্রা আরও বাড়বে। আপাতত স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে কালবৈশাখী ঝড় হলে তার সঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে। এটা আগে থেকে বলা সম্ভব নয়।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় টানা তিন দিন তীব্র দাবদাহ অব্যাহত, অতিষ্ঠ জনজীবন

হাসপাতালে বাড়ছে রোগী, শয্যা সংকট

আপলোড টাইম : ০৫:০৪:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জেলার সাধারণ মানুষ। টানা কয়েকদিন তীব্র দাবদাহে জেলা সদর হাসপাতালে বেড়েই চলেছে জ্বর, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। শয্যা সংকুলান না হওয়ায় রোগীরা হাসপাতালের বারান্দা ও করিডরে বিছানা পেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা তিনটায় চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এসময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ১৫ শতাংশ। এর আগে গত বুধবার সন্ধ্যা ছয়টায় এ জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি এই মৌসুমে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এবং দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। আবহাওয়া অফিস বলছে, এখনই তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা নেই। এটি আরও বাড়তে পারে। এদিকে হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতালে প্রচণ্ড ভিড় থাকায় রোগী দেখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গতকাল চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রচণ্ড দাবদাহের কারণে বিভিন্ন অসুস্থতা নিয়ে প্রাপ্তবয়স্ক ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক মিলিয়ে মোট ২০৫ জন চিকিৎসাধীন আছেন। এ দিন হাসপাতালের পুরুষ ও মহিলা মেডিসিন বিভাগে ভর্তি হয়েছেন ১২৭ জন। এ মধ্যে পুরুষ ওয়ার্ডে ৫৩ জন ও মহিলা ওয়ার্ডে ৭৪ জন। শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে ৪৬ জন ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে ৩২ জন নারী, পুরুষ ও শিশু। এর আগে বুধবার হাসপাতালের পুরুষ ও মহিলা মেডিসিন বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন ৮১ জন। এ মধ্যে পুরুষ ওয়ার্ডে ৩৫ জন ও মহিলা ওয়ার্ডে ৪৬ জন। শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে ৩১ জন ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে ৩২ জন নারী-পুরুষ ও শিশু।

গত বুধবার ও গতকাল বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখা গেছে, শয্যা সংখ্যার কয়েক গুন বেশি রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ওয়ার্ডে স্থান সংকুলান না হওয়ায় রোগীরা মেঝে ও বারান্দায় বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন এক শিশুর বাবা আরজ আলী বলেন, ‘তীব্র গরমে বড়রাই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। সারা রাত মেয়ে ছটফট করেছে। সকালে সে অসুস্থ হয়ে পড়ায় হাসপাতালে ভর্তি করেছি। ওয়ার্ডে এসে দেখি এখানে রোগীর অনেক চাপ। উপায় না পেয়ে মেঝেতেই আছি।’

হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র স্টাফ নার্স সাকিলা খাতুন বলেন, ‘অসহ্য গরমে ডিউটি করায় মুশকিল হয়ে পড়ছে। তার ওপরে বাড়তি রোগীর চাপ। শয্যা সংখ্যার থেকে অনেক বেশি রোগী চিকিৎসাধীন থাকছেন। এত রোগীকে চিকিৎসা দিতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।’

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. উম্মে ফারহানা বলেন, ‘গরম বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে জ্বর, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীর চাপ বাড়ছে। ঈদেও পর থেকে এখন পর্যন্ত শয্যা সংখ্যার বেশি রোগী বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন থাকছেন। শয্যা সংকুলান না হওয়ার রোগীদের যেমন বারান্দা ও করিডরে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে, একই সঙ্গে অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামাল দিয়ে চিকিৎসক ও নার্সদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।’

এ সময়ে পরামর্শ হিসেবে এই চিকিৎসক বলেন, ‘তীব্র গরমে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি রোগাক্রান্ত হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বেশি করে পানি পান করতে হবে। ঠান্ডাজাতীয় পানীয় বিশেষ করে-লেবুর শরবত, ডাবের পানি বেশি করে পান করতে হবে। এ সময় তাপ এড়িয়ে ঠান্ডা স্থানে থাকতে হবে।’

অন্যদিকে অসহনীয় ভ্যাপসা গরমে পরিবর্তন এসেছে এ জেলার মানুষের জীবনযাত্রায়। জরুরি কাজ ছাড়া স্বাভাবিক সময়ের মতো ঘর থেকে বের হচ্ছে কেউ। প্রকৃতিতেও নেমে এসেছে স্থবিরতা। স্বাভাবিক দিনের তুলনায় শহরে যানবাহন ও মানুষের সংখ্যাও কম। বিশেষ করে চরম বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। কাজের তাগিদে বাইরে বেরিয়ে তীব্র গরমে অসহ্য কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে তাঁদের।

      জেলার দামুড়হুদা উপজেলা শহরের চা-দোকানি তপু কুমার বলেন, ‘গরমে চায়ের বিক্রি নেই। খুব বাজে অবস্থা। দিন হাজিরা হচ্ছে না।’ তবে জীবননগর উপজেলার উথলী বাজারের শরবত বিক্রেতা মণ্টু মিয়া বলেন, ‘গরমে শরবত বেচা-বিক্রি ভালো। অন্য সময়ের তুলনায় লেবুর শরবতের চাহিদা বেশি। সন্ধ্যার পরও ভিড় হচ্ছে।’

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, ঈদের পরদিন থেকেই চুয়াডাঙ্গা জেলায় তাপপ্রবাহ শুরু হয়। ১২ এপ্রিল শুক্রবার জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর থেকে ক্রমেই ওপরে উঠতে থাকে তাপমাত্রার পারদ। শনিবার (১৩ এপ্রিল) ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রোববার (১৪ এপ্রিল) ৩৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি ও সোমবার (১৫ এপ্রিল) এ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বেলা তিনটায় জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর ১২টায় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। এটি দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এটি দেশেরও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান বলেন, ’ আগামী কয়েক দিন আবহাওয়া পরিস্থিতি একই রকম থাকবে। এসময় তাপমাত্রা আরও বাড়বে। আপাতত স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে কালবৈশাখী ঝড় হলে তার সঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে। এটা আগে থেকে বলা সম্ভব নয়।’