ইপেপার । আজ রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪

খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার ঘটনায়

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৩:০২:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ৬১ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক, তিতুদহ: খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় ক্ষোভে ক্লাস বর্জন এবং বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে ও পরে প্রধান শিক্ষকের অফিসের সামনে তালাবদ্ধ করে প্রতিবাদ করেছে শিক্ষার্থীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয় চলছে রাজনৈতিক ও দুর্নীতির মধ্যদিয়ে। আর ইতঃপূর্বে বিদ্যালয়ে শিক্ষার হার অনেক উন্নত থাকলেও প্রধান শিক্ষক হিসেবে নাহারুল ইসলামের যোগদানের পর বিদ্যালয় যেন ঘোড়ার গাড়ির গতিতে দৌঁড়াচ্ছে। শিক্ষকরা ভয়ে কিছু না বলতে পারলেও ক্রীড়া শিক্ষক সোয়েব আক্তার ও সিনিয়র শিক্ষক শামীম হোসেনকে পূর্ব শত্রুতার জেরে সামান্য বিষয়ে অন্যায়ভাবে পিটুনি দিয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে। এ ঘটনার পর ইতঃমধ্যে বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীরা বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশসহ ক্লাস বর্জন করেছে এবং তা এখনও চলছে। বিদ্যালয়ের সাইকেল স্টান্ডের পূর্বের টাকা আত্মসাৎ, রাজনৈতিক কারণে গড়াইটুপি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান রাজুর কথা মতো বিদ্যালয় পড়ুয়া বাদে ছাত্রীকে বাইসাইকেল দেওয়াসহ নানা ধরণের দুর্নীতির বিষয় প্রকাশ পাচ্ছে বিদ্যালয়ের সভাপতিসহ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

এছাড়া প্রধান শিক্ষকের অবহেলার কারণে বিদ্যালয় পড়ুয়া বিজ্ঞান বিভাগের ক্লাসগুলো অনেক দিন আগে থেকে বন্ধ হয়ে আছে, যা শিক্ষার্থীদের জন্য মারাত্মক ক্ষতি। তবে বিদ্যালয় লাটে উঠলেও আওয়ামী লীগ দলীয় রাজনৈতিক প্রতিটি সভাতে ঠিকই তাকে পাওয়া যায়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতি, রাজনৈতিক প্রভাব যেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় জনতা আর মেনে নিতে পারছে না।

বিষয়টি নিয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার, শিক্ষক ও স্থানীয়দের মধ্যে পূর্বের মতো পাঠদান চলমান রাখার কথা হলেও শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি না পূরণ হওয়া পর্যন্ত ক্লাস করবে না বলে গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরে সবাই। তবে ক্লাসে ফেরানোর চেষ্টা করেও শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের সাথে পেরে দিচ্ছেন না অন্যান্য সিনিয়র শিক্ষকগণ, যার ফলে ক্লাসে বসছে না এমনটিই বলছিলেন তারা। গত বুধবার বিদ্যালয়ে একটি ক্লাস হলে গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নাহারুল ইসলামের উপস্থিতি দেখে রেগে ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ও প্রধান শিক্ষককে অফিস কক্ষের গেটে তালা মেরে রাখে বিষয়টি দেখে পরে অন্যান্য শিক্ষকরা নিয়ন্ত্রনে আনে।

সামান্য কিছু টাকার ভাগ না পেয়ে এমন কর্মকাণ্ডে প্রধান শিক্ষকের ওপর রাগ প্রতিটি অভিভাবকদের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে। অভিভাবকরা বলেন, বিদ্যালয়ে যদি এমন কর্মকাণ্ড ঘটে, তাহলে ছেলে-মেয়েরা এখান থেকে শিখবে কি। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শামীম হোসেন ভূঁইয়া বলেন, বিষয়টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে নিয়ে আগামী রোববার বিদ্যালয়ে বসে সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করবেন। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক নাহারুল ইসলামকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার ঘটনায়

আপলোড টাইম : ০৩:০২:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

প্রতিবেদক, তিতুদহ: খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় ক্ষোভে ক্লাস বর্জন এবং বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে ও পরে প্রধান শিক্ষকের অফিসের সামনে তালাবদ্ধ করে প্রতিবাদ করেছে শিক্ষার্থীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয় চলছে রাজনৈতিক ও দুর্নীতির মধ্যদিয়ে। আর ইতঃপূর্বে বিদ্যালয়ে শিক্ষার হার অনেক উন্নত থাকলেও প্রধান শিক্ষক হিসেবে নাহারুল ইসলামের যোগদানের পর বিদ্যালয় যেন ঘোড়ার গাড়ির গতিতে দৌঁড়াচ্ছে। শিক্ষকরা ভয়ে কিছু না বলতে পারলেও ক্রীড়া শিক্ষক সোয়েব আক্তার ও সিনিয়র শিক্ষক শামীম হোসেনকে পূর্ব শত্রুতার জেরে সামান্য বিষয়ে অন্যায়ভাবে পিটুনি দিয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে। এ ঘটনার পর ইতঃমধ্যে বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীরা বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশসহ ক্লাস বর্জন করেছে এবং তা এখনও চলছে। বিদ্যালয়ের সাইকেল স্টান্ডের পূর্বের টাকা আত্মসাৎ, রাজনৈতিক কারণে গড়াইটুপি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান রাজুর কথা মতো বিদ্যালয় পড়ুয়া বাদে ছাত্রীকে বাইসাইকেল দেওয়াসহ নানা ধরণের দুর্নীতির বিষয় প্রকাশ পাচ্ছে বিদ্যালয়ের সভাপতিসহ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

এছাড়া প্রধান শিক্ষকের অবহেলার কারণে বিদ্যালয় পড়ুয়া বিজ্ঞান বিভাগের ক্লাসগুলো অনেক দিন আগে থেকে বন্ধ হয়ে আছে, যা শিক্ষার্থীদের জন্য মারাত্মক ক্ষতি। তবে বিদ্যালয় লাটে উঠলেও আওয়ামী লীগ দলীয় রাজনৈতিক প্রতিটি সভাতে ঠিকই তাকে পাওয়া যায়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতি, রাজনৈতিক প্রভাব যেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় জনতা আর মেনে নিতে পারছে না।

বিষয়টি নিয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার, শিক্ষক ও স্থানীয়দের মধ্যে পূর্বের মতো পাঠদান চলমান রাখার কথা হলেও শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি না পূরণ হওয়া পর্যন্ত ক্লাস করবে না বলে গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরে সবাই। তবে ক্লাসে ফেরানোর চেষ্টা করেও শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের সাথে পেরে দিচ্ছেন না অন্যান্য সিনিয়র শিক্ষকগণ, যার ফলে ক্লাসে বসছে না এমনটিই বলছিলেন তারা। গত বুধবার বিদ্যালয়ে একটি ক্লাস হলে গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নাহারুল ইসলামের উপস্থিতি দেখে রেগে ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ও প্রধান শিক্ষককে অফিস কক্ষের গেটে তালা মেরে রাখে বিষয়টি দেখে পরে অন্যান্য শিক্ষকরা নিয়ন্ত্রনে আনে।

সামান্য কিছু টাকার ভাগ না পেয়ে এমন কর্মকাণ্ডে প্রধান শিক্ষকের ওপর রাগ প্রতিটি অভিভাবকদের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে। অভিভাবকরা বলেন, বিদ্যালয়ে যদি এমন কর্মকাণ্ড ঘটে, তাহলে ছেলে-মেয়েরা এখান থেকে শিখবে কি। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শামীম হোসেন ভূঁইয়া বলেন, বিষয়টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে নিয়ে আগামী রোববার বিদ্যালয়ে বসে সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করবেন। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক নাহারুল ইসলামকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।