ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

কেরুজ সুগার মিলে গাছ চুরির ঘটনায় দুজনের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:২২:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / ৩৫ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা কেরুজ সুগার মিলে সরকারি গাছ কেটে বিপাকে পড়েছে দেলোয়ার ও টুটুল। এ ঘটনায় দুজনের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, চিনি উৎপাদনের লক্ষে দর্শনা কেরুজ চিনিকল কর্তৃপক্ষ প্রতি মাড়াই মৌসুমে বয়লারের জ্বালানির জন্য খড়ি সংগ্রহ করতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২০-২১ মাড়াই মৌসুমে টেণ্ডারে অংশগ্রহণ করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠনের মাধ্যমে ১১শ মেট্রিকটন জ্বালানি খড়ি ক্রয় করেন। নিম্নমানের খড়ি ক্রয় করার কারণে মাড়াই কার্যক্রম শেষ হবার ১৮ দিন আগেই জ্বালানির খড়ি শেষ হয়ে যায় চিনিকল কর্তৃপক্ষের। মাড়াই কার্যক্রম ব্যবহত হবার আশঙ্কায় কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি করে প্রতিবছরের ন্যায় নিজেস্ব কৃষি খামার থেকে মরা শুকনা গাছ ও গাছের ডাল কাটার সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্ত মোতাবেক বীজ পরিদর্শন ও কৃষিতত্ব বিভাগের ব্যবস্থাপক দেলোয়ার হোসেনকে প্রধান করে ৪ সদস্যবিশিষ্ট খড়ি সংগ্রহ কমিটি গঠন করেন কর্তৃপক্ষ। সেই সাথে খামার এলাকা থেকে খড়ি সংগ্রহের জন্য চিনিকলের অর্থ বিভাগ থেকে অগ্রীম ২ লাখ টাকাও উত্তোলন করেন তারা।
অভিযোগ উঠেছে সুযোগ পেয়ে কমিটির প্রধান দেলোয়ার হোসেন ও আকন্দবাড়িয়া বীজ উৎপাদন খামার ইনচার্জ জাহিদুল ইসলাম টুটুল মরাগাছ এবং গাছের ডালকাটার অজুহাতে বনবিভাগের কোনো প্রকার অনুমতি ছাড়া প্রায় ৩ লাখ টাকার সরকারি মূল্যবান গাছ কেটে ফেলেন তারা। গুঞ্জন উঠেছে কর্তনকৃত গাছের কিছু অংশ গোপনে বিক্রি ও কিছু অংশ বয়লারের জ্বালানি হিসাবে চিনিকলে সরবরাহ করেন এবং গাছের মূল্যবান অংশ আত্মসাৎ করেছেন। প্রশ্ন উঠেছে গাছের মূল্যবান অংশ কোথায় গেলো এবং কার জন্য ? এনিয়ে হইচৈই শুরু হলে অভিযুক্ত দেলোয়ার হোসেন ও টুটুল কেটে নেয়া গাছের অবশিষ্ট অংশ মাটি দিয়ে ঢেখে প্রমান লুকানোর অপচেষ্টা চালায়। কিন্তু বিধিবাম ! বিষয়টি জানাজানি হলে চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোশারফ হোসেন সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং গাছ কাটার সত্যতা পান।
এ ঘটনায় মরা ডাল কাটার পরিবর্তে গাছ কাটার কারণ জানতে চেয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কারণ দর্শনো নোটিশ প্রদান করেছেন তিনি। সেই সাথে তিন কার্য দিবসের মধ্যে জবাবও দিতে বলা হয়েছে। এখন দেখার বিষয় প্রমাণ নষ্ট করার সুযোগ না পেয়ে তা বিদ্যমান থাকায় নোটিশের কি জবাব দেন অভিযুক্তরা। চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোশারফ হোসেন বলেন, কারণ দর্শনোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। জবাব হাতে পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

কেরুজ সুগার মিলে গাছ চুরির ঘটনায় দুজনের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ

আপলোড টাইম : ০৪:২২:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২২

সমীকরণ প্রতিবেদন:
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা কেরুজ সুগার মিলে সরকারি গাছ কেটে বিপাকে পড়েছে দেলোয়ার ও টুটুল। এ ঘটনায় দুজনের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, চিনি উৎপাদনের লক্ষে দর্শনা কেরুজ চিনিকল কর্তৃপক্ষ প্রতি মাড়াই মৌসুমে বয়লারের জ্বালানির জন্য খড়ি সংগ্রহ করতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২০-২১ মাড়াই মৌসুমে টেণ্ডারে অংশগ্রহণ করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠনের মাধ্যমে ১১শ মেট্রিকটন জ্বালানি খড়ি ক্রয় করেন। নিম্নমানের খড়ি ক্রয় করার কারণে মাড়াই কার্যক্রম শেষ হবার ১৮ দিন আগেই জ্বালানির খড়ি শেষ হয়ে যায় চিনিকল কর্তৃপক্ষের। মাড়াই কার্যক্রম ব্যবহত হবার আশঙ্কায় কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি করে প্রতিবছরের ন্যায় নিজেস্ব কৃষি খামার থেকে মরা শুকনা গাছ ও গাছের ডাল কাটার সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্ত মোতাবেক বীজ পরিদর্শন ও কৃষিতত্ব বিভাগের ব্যবস্থাপক দেলোয়ার হোসেনকে প্রধান করে ৪ সদস্যবিশিষ্ট খড়ি সংগ্রহ কমিটি গঠন করেন কর্তৃপক্ষ। সেই সাথে খামার এলাকা থেকে খড়ি সংগ্রহের জন্য চিনিকলের অর্থ বিভাগ থেকে অগ্রীম ২ লাখ টাকাও উত্তোলন করেন তারা।
অভিযোগ উঠেছে সুযোগ পেয়ে কমিটির প্রধান দেলোয়ার হোসেন ও আকন্দবাড়িয়া বীজ উৎপাদন খামার ইনচার্জ জাহিদুল ইসলাম টুটুল মরাগাছ এবং গাছের ডালকাটার অজুহাতে বনবিভাগের কোনো প্রকার অনুমতি ছাড়া প্রায় ৩ লাখ টাকার সরকারি মূল্যবান গাছ কেটে ফেলেন তারা। গুঞ্জন উঠেছে কর্তনকৃত গাছের কিছু অংশ গোপনে বিক্রি ও কিছু অংশ বয়লারের জ্বালানি হিসাবে চিনিকলে সরবরাহ করেন এবং গাছের মূল্যবান অংশ আত্মসাৎ করেছেন। প্রশ্ন উঠেছে গাছের মূল্যবান অংশ কোথায় গেলো এবং কার জন্য ? এনিয়ে হইচৈই শুরু হলে অভিযুক্ত দেলোয়ার হোসেন ও টুটুল কেটে নেয়া গাছের অবশিষ্ট অংশ মাটি দিয়ে ঢেখে প্রমান লুকানোর অপচেষ্টা চালায়। কিন্তু বিধিবাম ! বিষয়টি জানাজানি হলে চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোশারফ হোসেন সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং গাছ কাটার সত্যতা পান।
এ ঘটনায় মরা ডাল কাটার পরিবর্তে গাছ কাটার কারণ জানতে চেয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কারণ দর্শনো নোটিশ প্রদান করেছেন তিনি। সেই সাথে তিন কার্য দিবসের মধ্যে জবাবও দিতে বলা হয়েছে। এখন দেখার বিষয় প্রমাণ নষ্ট করার সুযোগ না পেয়ে তা বিদ্যমান থাকায় নোটিশের কি জবাব দেন অভিযুক্তরা। চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোশারফ হোসেন বলেন, কারণ দর্শনোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। জবাব হাতে পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।