ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

কেরুজ চিনিকলে আখ মাড়াইয়ের উদ্বোধনকালে চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান

চিনিশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে আখ চাষের কোনো বিকল্প নেই

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০১:৪৪:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৪৭ বার পড়া হয়েছে

দর্শনা অফিস:
কেইন ক্যারিয়ারে (ডোঙ্গায়) আখ নিক্ষেপের মাধ্যমে দেশের ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান দর্শনার কেরু অ্যান্ড কোম্পানি চিনিকলের ২০২৩-২৪ মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে উদ্বোধন উপলক্ষে কেরু চিনিকলের কেইন ক্যারিয়ার প্রাঙ্গণে দোয়া ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা বিএসএফআইসি সদর দপ্তরের সচিব চৌধুরী রুহুল আমিন কায়সারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনা করেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান (এনডিসি) (গ্রেড-১) শেখ মো. শোয়েবুল আলম।

এসময় তিনি বলেন, চিনিশিল্পের প্রধান কাঁচামাল আখ। চিনিশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে আখ চাষের কোনো বিকল্প নেই। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা থাকলে চিনিশিল্প আবারও সমৃদ্ধ হবে। এ চিনিশিল্প টিকিয়ে রাখতে এলাকার চাষিদের রয়েছে অবদান। ইতিমধ্যে আখ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে চিনিশিল্প করপোরেশন নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বিশেষ করে চিনিকল এলাকায় চাষিরা যেন অন্যান্য ফসলের সাথে বেশি বেশি আখ চাষ করেন ,সে জন্য বিভিন্ন সহযোগিতাসহ আখের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। চিনিশিল্পের সাথে যারাই জড়িত আছেন, সকলের সাথে আলোচনা করে চিনিশিল্পের জন্য পজিটিভ কিছু করা হবে। এর জন্য সততা ও নিষ্ঠার সাথে সকলকে কাজ করতে হবে। পরিশ্রম করলে সফলতা একদিন আসবেই।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আলোচনা করেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের পরিচালক (উৎপাদন ও প্রকৌশল) (গ্রেড-২) আতাউর রহমান খান, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান, চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা, চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান, কেরুজ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা ও দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাস।

কেরুজ মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) আশরাফুল আলম ভূইয়ার উপস্থাপনায় আরও উপস্থিত ছিলেন কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ফিরোজ আহমমেদ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান, আখচাষী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আব্দুল হান্নান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী বিশ্বাস, কেরুজ চিনিকলের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) ইউসুফ আলী, কেরুজ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ডিজিএস (সিপিও) মাহবুবুর রহমান, সাবেক সভাপতি তৈয়ব আলী, সহসভাপতি মফিজুল ইসলাম, সহ-সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, পরিবহন শাখার মেম্বার শরিফুল ইসলাম, সাবেক সহ-সম্পাদক খবির উদ্দিন বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসেন প্রমুখ।

উল্লেখ্য, চলতি মাড়াই মৌসুমে ৫৪ কার্যদিবসে ৬৫ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে আনুমানিক ৪ হাজার মেট্রিক টন। এ মাড়াই মৌসুমে ৩ হাজার ৮০২ একর জমিতে ২২ হাজার মেট্রিকটন আখ উৎপাদন করা হয়েছে। কেরুজ ৯টি নিজস্ব বাণিজ্যিক ও একটি পরীক্ষামূলক খামারের জমিতে মোট আখ রয়েছে ১ হাজার ১৫৩ একর। এরমধ্যে আখ দণ্ডায়মান রয়েছে কেরুজ বাণিজ্যিক খামারগুলোতে ১ হাজার ৪৪ একর ও একমাত্র পরীক্ষামূলক আকন্দবাড়িয়া খামারে ১০৯ একর এবং কৃষকের ২ হাজার ৬৪৯ একর জমির ৪৩ হাজার মেট্রিকটন। কেরুজ কর্তৃপক্ষ ২০২৩-২৪ মাড়াই মৌসুমে ৫৪ কার্যদিবসে ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ চিনি আহরণের গড় হার ধরে ৬৫ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে আনুমানিক ৪ হাজার মেট্রিকটন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করেছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

কেরুজ চিনিকলে আখ মাড়াইয়ের উদ্বোধনকালে চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান

চিনিশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে আখ চাষের কোনো বিকল্প নেই

আপলোড টাইম : ০১:৪৪:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩

দর্শনা অফিস:
কেইন ক্যারিয়ারে (ডোঙ্গায়) আখ নিক্ষেপের মাধ্যমে দেশের ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান দর্শনার কেরু অ্যান্ড কোম্পানি চিনিকলের ২০২৩-২৪ মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে উদ্বোধন উপলক্ষে কেরু চিনিকলের কেইন ক্যারিয়ার প্রাঙ্গণে দোয়া ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা বিএসএফআইসি সদর দপ্তরের সচিব চৌধুরী রুহুল আমিন কায়সারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনা করেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান (এনডিসি) (গ্রেড-১) শেখ মো. শোয়েবুল আলম।

এসময় তিনি বলেন, চিনিশিল্পের প্রধান কাঁচামাল আখ। চিনিশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে আখ চাষের কোনো বিকল্প নেই। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা থাকলে চিনিশিল্প আবারও সমৃদ্ধ হবে। এ চিনিশিল্প টিকিয়ে রাখতে এলাকার চাষিদের রয়েছে অবদান। ইতিমধ্যে আখ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে চিনিশিল্প করপোরেশন নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বিশেষ করে চিনিকল এলাকায় চাষিরা যেন অন্যান্য ফসলের সাথে বেশি বেশি আখ চাষ করেন ,সে জন্য বিভিন্ন সহযোগিতাসহ আখের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। চিনিশিল্পের সাথে যারাই জড়িত আছেন, সকলের সাথে আলোচনা করে চিনিশিল্পের জন্য পজিটিভ কিছু করা হবে। এর জন্য সততা ও নিষ্ঠার সাথে সকলকে কাজ করতে হবে। পরিশ্রম করলে সফলতা একদিন আসবেই।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আলোচনা করেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের পরিচালক (উৎপাদন ও প্রকৌশল) (গ্রেড-২) আতাউর রহমান খান, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান, চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা, চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান, কেরুজ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা ও দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাস।

কেরুজ মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) আশরাফুল আলম ভূইয়ার উপস্থাপনায় আরও উপস্থিত ছিলেন কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ফিরোজ আহমমেদ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান, আখচাষী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আব্দুল হান্নান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী বিশ্বাস, কেরুজ চিনিকলের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) ইউসুফ আলী, কেরুজ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ডিজিএস (সিপিও) মাহবুবুর রহমান, সাবেক সভাপতি তৈয়ব আলী, সহসভাপতি মফিজুল ইসলাম, সহ-সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, পরিবহন শাখার মেম্বার শরিফুল ইসলাম, সাবেক সহ-সম্পাদক খবির উদ্দিন বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসেন প্রমুখ।

উল্লেখ্য, চলতি মাড়াই মৌসুমে ৫৪ কার্যদিবসে ৬৫ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে আনুমানিক ৪ হাজার মেট্রিক টন। এ মাড়াই মৌসুমে ৩ হাজার ৮০২ একর জমিতে ২২ হাজার মেট্রিকটন আখ উৎপাদন করা হয়েছে। কেরুজ ৯টি নিজস্ব বাণিজ্যিক ও একটি পরীক্ষামূলক খামারের জমিতে মোট আখ রয়েছে ১ হাজার ১৫৩ একর। এরমধ্যে আখ দণ্ডায়মান রয়েছে কেরুজ বাণিজ্যিক খামারগুলোতে ১ হাজার ৪৪ একর ও একমাত্র পরীক্ষামূলক আকন্দবাড়িয়া খামারে ১০৯ একর এবং কৃষকের ২ হাজার ৬৪৯ একর জমির ৪৩ হাজার মেট্রিকটন। কেরুজ কর্তৃপক্ষ ২০২৩-২৪ মাড়াই মৌসুমে ৫৪ কার্যদিবসে ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ চিনি আহরণের গড় হার ধরে ৬৫ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে আনুমানিক ৪ হাজার মেট্রিকটন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করেছে।