ইপেপার । আজ রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪

কালুপোলে সাপের ঝাঁপান খেলা অনুষ্ঠিত

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৭:৪৬:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ অগাস্ট ২০২২
  • / ২৫ বার পড়া হয়েছে

আকিমুল ইসলাম: হাঁড়ি থেকে একটি একটি করে নানা রঙের নানা সাইজের বিষাক্ত সাপ বের করা। সাপকে সবাই ভয় পায় সঠিক, তবে বিষধর গোখরা সাপের খেলা দেখতে লোকের যেন কমতি থাকে না গ্রামবাংলার এই খেলা চলাকালীন চৌকির আশেপাশে। এরমকই সাপ খেলা (ঝাঁপান) চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দর্শনা থানাধীন গড়াইটুপি ইউনিয়নের কালুপোল গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে শুরু করে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে গ্রামবাংলার এ ঐতিহ্যবাহী খেলা। ঝাঁপান খেলাকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকায় ছিল উৎসবের আমেজ, যা দেখতে ভিড় জমায় শত শত মানুষ। তবে এ বছর পুরুষের তুলনায় মহিলাদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। মহামারি করোনাভাইরাসের কারনে গত দুবছর বন্ধের পর আবার নতুন করে পূর্বের ঐতিহ্যবাহী ঝাঁপান খেলার প্রচার হলে বড় ছোটদের তুলনায় শিশু-কিশোরদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। ঢোল, হারমনিয়াম, ঝুড়িসহ নানা বাদ্যের তালে ও মন্ত্রে প্রতিযোগিতায় মধ্যদিয়ে হাঁড়ি থেকে বেরিয়ে আসে লাল, খয়েরী ও ধূসর রঙের ভয়ঙ্কর গোখরা সাপ। সুদক্ষ মন্ত্রের ফলে উপস্থিতি শত শত দর্শকের করতালি একটুও বিচলিত করতে পারে না ফণা তোলা বিষধর সাপগুলোকে। মনিবের ইশারা-ইঙ্গিত তাকে ঠিক বুঝিয়ে দিয়েছে শুধু মানুষকে আনন্দ দেয়ার খেলা নয়, বরং আজ মর্যাদার লড়াই।

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মাঝে নিজেকে সেরা প্রমাণ করতে সাপুড়ে প্রদর্শন করে আকর্ষণীয় কসরত। ঢাক আর ঢোলের বাজনার তালে তালে নেচে-গেয়ে দর্শকদের মন ভরিয়ে তোলেন। আর এ দুর্লভ দৃশ্য দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন অসংখ্য দর্শনার্থী। দিনভর প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ৬টি সাপুড়ের দল। একে একে দেখাতে তাদের বিভিন্ন কলা কৌশল। বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে নানা রকম অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করে উপস্থিত দর্শকদের মন ভরিয়ে দেন তারা। খেলার প্রধান আয়োজক কালুপোল গ্রামের ছমির উদ্দীনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আধুনকিতার ছোঁয়ায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঝাঁপান হারিয়ে যেতে বসেছে। গ্রামবাংলার ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনার জন্য এ খেলার আয়োজন করা হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

কালুপোলে সাপের ঝাঁপান খেলা অনুষ্ঠিত

আপলোড টাইম : ০৭:৪৬:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ অগাস্ট ২০২২

আকিমুল ইসলাম: হাঁড়ি থেকে একটি একটি করে নানা রঙের নানা সাইজের বিষাক্ত সাপ বের করা। সাপকে সবাই ভয় পায় সঠিক, তবে বিষধর গোখরা সাপের খেলা দেখতে লোকের যেন কমতি থাকে না গ্রামবাংলার এই খেলা চলাকালীন চৌকির আশেপাশে। এরমকই সাপ খেলা (ঝাঁপান) চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দর্শনা থানাধীন গড়াইটুপি ইউনিয়নের কালুপোল গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে শুরু করে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে গ্রামবাংলার এ ঐতিহ্যবাহী খেলা। ঝাঁপান খেলাকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকায় ছিল উৎসবের আমেজ, যা দেখতে ভিড় জমায় শত শত মানুষ। তবে এ বছর পুরুষের তুলনায় মহিলাদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। মহামারি করোনাভাইরাসের কারনে গত দুবছর বন্ধের পর আবার নতুন করে পূর্বের ঐতিহ্যবাহী ঝাঁপান খেলার প্রচার হলে বড় ছোটদের তুলনায় শিশু-কিশোরদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। ঢোল, হারমনিয়াম, ঝুড়িসহ নানা বাদ্যের তালে ও মন্ত্রে প্রতিযোগিতায় মধ্যদিয়ে হাঁড়ি থেকে বেরিয়ে আসে লাল, খয়েরী ও ধূসর রঙের ভয়ঙ্কর গোখরা সাপ। সুদক্ষ মন্ত্রের ফলে উপস্থিতি শত শত দর্শকের করতালি একটুও বিচলিত করতে পারে না ফণা তোলা বিষধর সাপগুলোকে। মনিবের ইশারা-ইঙ্গিত তাকে ঠিক বুঝিয়ে দিয়েছে শুধু মানুষকে আনন্দ দেয়ার খেলা নয়, বরং আজ মর্যাদার লড়াই।

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মাঝে নিজেকে সেরা প্রমাণ করতে সাপুড়ে প্রদর্শন করে আকর্ষণীয় কসরত। ঢাক আর ঢোলের বাজনার তালে তালে নেচে-গেয়ে দর্শকদের মন ভরিয়ে তোলেন। আর এ দুর্লভ দৃশ্য দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন অসংখ্য দর্শনার্থী। দিনভর প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ৬টি সাপুড়ের দল। একে একে দেখাতে তাদের বিভিন্ন কলা কৌশল। বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে নানা রকম অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করে উপস্থিত দর্শকদের মন ভরিয়ে দেন তারা। খেলার প্রধান আয়োজক কালুপোল গ্রামের ছমির উদ্দীনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আধুনকিতার ছোঁয়ায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঝাঁপান হারিয়ে যেতে বসেছে। গ্রামবাংলার ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনার জন্য এ খেলার আয়োজন করা হয়েছে।