ইপেপার । আজ শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

কার্পাসডাঙ্গায় রাতারাতি মুরগীর মাংসে ৭০ টাকা বেশি!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৩:০২:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জুন ২০২২
  • / ১৯ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক, কার্পাসডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা বাজারে একদিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি বয়লার মুরগীর মাংসের দাম বেড়েছে ৭০টাকা। গতকাল পর্যন্ত যে মুরগীর মাংসের কেজি ছিলো ১৮০ টাকা, রাতারাতি তা বেড়ে হয়েছে ২৫০ টাকা। এতে সাধারণ ক্রেতাদের দীর্ঘশ্বাস ফেলতে দেখা যায়।

কানাইডাঙ্গা গ্রামের আব্দুস শুকুর নামে এক ব্যক্তি সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ১ কেজি মাংস নিয়ে ১৮০ টাকা দাম দিলে, মাংস বিক্রেতা আরও ৭০ টাকা দাবি করে বসে। এতে দুজনের তর্ক শুরু হয়। এসময় পথচারীরা বাকবিতন্ডার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গতকাল বয়লার মুরগীর মাংস কিনেছি প্রতি কেজি ১৮০ টাকায়। আজ নিতে গেলে বলছে ২৫০ টাকা বলছে। কিভাবে রাতারাতি ৭০ টাকা বেড়ে গেলে?’

এসময় পথচারীদের মধ্যে কয়েকজন বলেন রাতারাতি ৫-১০টাকা বাড়তে পারে। তাই বলে ৭০ টাকা বাড়তে পারে না। এটা ব্যবসায়ীদের কারসাজি। তাছাড়া এদের নেই কোনো মূল্য তালিকাও। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা হলে এসব ব্যবসায়ীদের তড়িঘড়ি করে প্রতিকেজি ১৮০ টাকার মূল্য তালিকা টাঙাতে দেখা যায়।

মুরগী ব্যবসায়ীদের সাথে কথা হলে তারা জানান, ‘ফার্মে মুরগী নেই। কিছু মুরগী পাওয়া গেলেও দাম অনেক বেশী। তাই প্রতিকেজি ২৫০টাকা বিক্রি করতে না পারলে আমাদের লোকসানে পড়তে হবে।’

এবিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) সুদীপ্ত কুমার সিংহ বলেন, ‘রাতারাতি বয়লার মুরগীর মাংসের দাম বাড়ার কারণ কি? মূল্য তালিকা না টাঙিয়ে কোনো মালামাল বিক্রি করার নিয়ম নেই। বয়লার মুরগীর মাংস প্রতিকেজি ১৮০ টাকার বেশী ক্রেতাদের কাছ থেকে নিতে পারবে না। আমাদের ইউএনও স্যার মাংস বাজারে গত সপ্তাহে অভিযান চালিয়েছিল প্রয়োজনে আবারো অভিযান পরিচালনা করা হবে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

কার্পাসডাঙ্গায় রাতারাতি মুরগীর মাংসে ৭০ টাকা বেশি!

আপলোড টাইম : ০৩:০২:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জুন ২০২২

প্রতিবেদক, কার্পাসডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা বাজারে একদিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি বয়লার মুরগীর মাংসের দাম বেড়েছে ৭০টাকা। গতকাল পর্যন্ত যে মুরগীর মাংসের কেজি ছিলো ১৮০ টাকা, রাতারাতি তা বেড়ে হয়েছে ২৫০ টাকা। এতে সাধারণ ক্রেতাদের দীর্ঘশ্বাস ফেলতে দেখা যায়।

কানাইডাঙ্গা গ্রামের আব্দুস শুকুর নামে এক ব্যক্তি সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ১ কেজি মাংস নিয়ে ১৮০ টাকা দাম দিলে, মাংস বিক্রেতা আরও ৭০ টাকা দাবি করে বসে। এতে দুজনের তর্ক শুরু হয়। এসময় পথচারীরা বাকবিতন্ডার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গতকাল বয়লার মুরগীর মাংস কিনেছি প্রতি কেজি ১৮০ টাকায়। আজ নিতে গেলে বলছে ২৫০ টাকা বলছে। কিভাবে রাতারাতি ৭০ টাকা বেড়ে গেলে?’

এসময় পথচারীদের মধ্যে কয়েকজন বলেন রাতারাতি ৫-১০টাকা বাড়তে পারে। তাই বলে ৭০ টাকা বাড়তে পারে না। এটা ব্যবসায়ীদের কারসাজি। তাছাড়া এদের নেই কোনো মূল্য তালিকাও। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা হলে এসব ব্যবসায়ীদের তড়িঘড়ি করে প্রতিকেজি ১৮০ টাকার মূল্য তালিকা টাঙাতে দেখা যায়।

মুরগী ব্যবসায়ীদের সাথে কথা হলে তারা জানান, ‘ফার্মে মুরগী নেই। কিছু মুরগী পাওয়া গেলেও দাম অনেক বেশী। তাই প্রতিকেজি ২৫০টাকা বিক্রি করতে না পারলে আমাদের লোকসানে পড়তে হবে।’

এবিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) সুদীপ্ত কুমার সিংহ বলেন, ‘রাতারাতি বয়লার মুরগীর মাংসের দাম বাড়ার কারণ কি? মূল্য তালিকা না টাঙিয়ে কোনো মালামাল বিক্রি করার নিয়ম নেই। বয়লার মুরগীর মাংস প্রতিকেজি ১৮০ টাকার বেশী ক্রেতাদের কাছ থেকে নিতে পারবে না। আমাদের ইউএনও স্যার মাংস বাজারে গত সপ্তাহে অভিযান চালিয়েছিল প্রয়োজনে আবারো অভিযান পরিচালনা করা হবে।’