ইপেপার । আজ শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

কলাবাড়ী-রামনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৪১ লাখ টাকা চূক্তিতে চার প্রার্থী আগেই চূড়ান্ত!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:১৩:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ জুন ২০২২
  • / ৫৭ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর ইউনিয়নের কলাবাড়ী-রামনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অর্থের বিনিময়ে সাজানো পরীক্ষা দেখিয়ে চারটি পদে লোক নিয়োগের পায়তারা চলছে। অভিযোগ রয়েছে আগামী মঙ্গলবার নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তার আগেই অর্থের বিনিময়ে চারজন প্রার্থীকে চূড়ান্ত করা হয়েছে। এদিকে, ভুক্তভোগীরা নিয়োগ-বাণিজ্য বন্ধে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আতাউর রহমানের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

অভিযোগ উঠেছে, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বজলুর রহমান ও বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি সোহরাব হোসেন যোগসাজশ করে চারজন প্রার্থীর সঙ্গে ৪১ লাখ টাকায় সমঝোতা করেছেন। টাকা লেনদের মাধ্যমে নিয়োগ পেতে যাওয়া চারজনের নাম এলাকার সাধারণ মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীরা যোগ্যতার ভিত্তিতে কর্মচারী নিয়োগের দাবি তুলেছে। যে চারটি পদে চারজনকে নিয়োগ দেওয়ার পায়তারা চলছে, তাঁরা হলেন- ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আব্দুর রাব্বি, আয়া পদে রামনগর গ্রামের ছাগবার আলীর মেয়ে জুলেখা খাতুন, নিরাপত্তাকর্মী পদে গোপালপুর গ্রামের ফরজ আলীর ছেলে রিপন আলী ও অফিস সহায়ক পদে রামনগর গ্রামের জিয়াউর রহমানের ছেলে ইয়াছিন আলী।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক বজলুর রহমান তাঁর দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা অনুযায়ী উল্লেখিত চারটি পদে নিয়োগের জন্য প্রায় ছয় মাস আগে ছক আঁকেন। ছক অনুযায়ী পছন্দের লোকদেরকে দিয়ে অনেকটা কৌশলে সোহরাব হোসেনকে সভাপতি এবং প্রধান শিক্ষকের শ্যালক রাশেদীন আমিনকে বিদ্যুৎসাহী সদস্য করে গত পাঁচ মাস আগে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি (এসএমসি) গঠন করেন। এসএমসি গঠনের কিছুদিন পর অনেকটা তাড়াহুড়ো করে চারটি পদে নিয়োগের জন্য স্থানীয় সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর চারটি পদের বিপরীতে অন্তত ৪০টি দরখাস্ত জমা পড়ে। যার মধ্যে ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে ৯টি, আয়া পদে ১২টি, নিরাপত্তাকর্মী পদে ৬টি ও অফিস সহায়ক পদে ১৩টি দরখাস্ত জমা পড়ে।

দরখাস্ত জমা পড়ার পর প্রধান শিক্ষক বজলুর রহমান সভাপতি সোহরাব হোসেনকে সাথে নিয়ে প্রার্থীদের সঙ্গে দর কষাকষি শুরু করেন। এবং এক পর্যায়ে চারটি পদের বিপরীতের চারজন প্রার্থীকে অর্থের বিনিময়ে চূড়ান্ত করেন। এলাকায় ব্যাপক গুঞ্জন রয়েছে এসব নিয়োগের জন্য আব্দুর রাব্বির সঙ্গে ১২ লাখ, জুলেখা খাতুনের সঙ্গে ৮ লাখ, রিপন আলীর সঙ্গে ৯ লাখ ও ইয়াছিন আলীর সঙ্গে ১২ লাখ টাকায় সমঝোতা হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার নিয়োগ পরীক্ষার সাজানো নাটক করে এই চারজনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। এদিকে নিয়োগের বিষয়ে জানতে প্রধান শিক্ষকের কাছে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

কলাবাড়ী-রামনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৪১ লাখ টাকা চূক্তিতে চার প্রার্থী আগেই চূড়ান্ত!

আপলোড টাইম : ০৮:১৩:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ জুন ২০২২

সমীকরণ প্রতিবেদন: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর ইউনিয়নের কলাবাড়ী-রামনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অর্থের বিনিময়ে সাজানো পরীক্ষা দেখিয়ে চারটি পদে লোক নিয়োগের পায়তারা চলছে। অভিযোগ রয়েছে আগামী মঙ্গলবার নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তার আগেই অর্থের বিনিময়ে চারজন প্রার্থীকে চূড়ান্ত করা হয়েছে। এদিকে, ভুক্তভোগীরা নিয়োগ-বাণিজ্য বন্ধে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আতাউর রহমানের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

অভিযোগ উঠেছে, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বজলুর রহমান ও বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি সোহরাব হোসেন যোগসাজশ করে চারজন প্রার্থীর সঙ্গে ৪১ লাখ টাকায় সমঝোতা করেছেন। টাকা লেনদের মাধ্যমে নিয়োগ পেতে যাওয়া চারজনের নাম এলাকার সাধারণ মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীরা যোগ্যতার ভিত্তিতে কর্মচারী নিয়োগের দাবি তুলেছে। যে চারটি পদে চারজনকে নিয়োগ দেওয়ার পায়তারা চলছে, তাঁরা হলেন- ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আব্দুর রাব্বি, আয়া পদে রামনগর গ্রামের ছাগবার আলীর মেয়ে জুলেখা খাতুন, নিরাপত্তাকর্মী পদে গোপালপুর গ্রামের ফরজ আলীর ছেলে রিপন আলী ও অফিস সহায়ক পদে রামনগর গ্রামের জিয়াউর রহমানের ছেলে ইয়াছিন আলী।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক বজলুর রহমান তাঁর দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা অনুযায়ী উল্লেখিত চারটি পদে নিয়োগের জন্য প্রায় ছয় মাস আগে ছক আঁকেন। ছক অনুযায়ী পছন্দের লোকদেরকে দিয়ে অনেকটা কৌশলে সোহরাব হোসেনকে সভাপতি এবং প্রধান শিক্ষকের শ্যালক রাশেদীন আমিনকে বিদ্যুৎসাহী সদস্য করে গত পাঁচ মাস আগে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি (এসএমসি) গঠন করেন। এসএমসি গঠনের কিছুদিন পর অনেকটা তাড়াহুড়ো করে চারটি পদে নিয়োগের জন্য স্থানীয় সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর চারটি পদের বিপরীতে অন্তত ৪০টি দরখাস্ত জমা পড়ে। যার মধ্যে ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে ৯টি, আয়া পদে ১২টি, নিরাপত্তাকর্মী পদে ৬টি ও অফিস সহায়ক পদে ১৩টি দরখাস্ত জমা পড়ে।

দরখাস্ত জমা পড়ার পর প্রধান শিক্ষক বজলুর রহমান সভাপতি সোহরাব হোসেনকে সাথে নিয়ে প্রার্থীদের সঙ্গে দর কষাকষি শুরু করেন। এবং এক পর্যায়ে চারটি পদের বিপরীতের চারজন প্রার্থীকে অর্থের বিনিময়ে চূড়ান্ত করেন। এলাকায় ব্যাপক গুঞ্জন রয়েছে এসব নিয়োগের জন্য আব্দুর রাব্বির সঙ্গে ১২ লাখ, জুলেখা খাতুনের সঙ্গে ৮ লাখ, রিপন আলীর সঙ্গে ৯ লাখ ও ইয়াছিন আলীর সঙ্গে ১২ লাখ টাকায় সমঝোতা হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার নিয়োগ পরীক্ষার সাজানো নাটক করে এই চারজনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। এদিকে নিয়োগের বিষয়ে জানতে প্রধান শিক্ষকের কাছে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।