ইপেপার । আজ রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪

এবার আলমডাঙ্গা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:০০:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ অগাস্ট ২০২২
  • / ৩৩ বার পড়া হয়েছে

ভ্রাম্যমাণ প্রতিবেদক, আলমডাঙ্গা: আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পর এবার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে। সহকারী শিক্ষকদের প্রবল চাপের মুখে গত শনিবার প্রধান শিক্ষক নগদ তিন লাখ টাকা ফেরত দিয়েছেন। এদিকে, বিভিন্নভাবে তিনি আরও ৩১ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন বলে শিক্ষকরা দাবি করেছেন।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণ ঘোষণা হওয়ার পর প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খান বিভিন্ন দপ্তরে টাকা দেওয়ার নাম করে সহকারী শিক্ষকদের কাছ থেকে ৯ লাখ টাকা তোলেন বলে শিক্ষকরা অভিযোগ করেন।  সম্প্রতি এক সচিব আলমডাঙ্গার বাড়িতে বেড়াতে এলে শিক্ষকরা তাঁর সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। এসময় ওই সচিব শিক্ষকদের জানান, স্কুল সরকারি করতে কোনো দপ্তরে টাকা দিতে হয়নি। এ খবর জানার পর বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা ৯ লাখ টাকা প্রধান শিক্ষক আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ করে ওই টাকা ফেরত চান।

গত শনিবার (৩০ জুলাই) শিক্ষকরা সম্মিলিত হয়ে টাকার জন্য প্রধান শিক্ষকের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন। জোটবদ্ধ শিক্ষকদের রোষানল থেকে বাঁচতে এক নেতার মধ্যস্থতায় প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খান নগদ তিন লাখ টাকা ফেরত দিয়ে আপাতত মুক্তি পান। তবে শিক্ষকরা বলছেন, করোনাকালীন দুই বছর স্কুল বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভর্তি ও পরীক্ষা বাবদ প্রায় ২৪ লাখ টাকা কালেকশন করেছেন প্রধান শিক্ষক। এছাড়া প্রতি মাসে স্কুলের দোকান ভাড়া ৩৭ হাজার টাকারও কোনো হদিস নেই। শিক্ষকরা এসব টাকারও হিসাব চান।

তবে প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খান তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অতিরঞ্জিত বলে দাবি করেন। তিনি বলেছেন, স্কুল সংক্রান্ত ব্যয় সব শিক্ষকরা করেন। যার আয়-ব্যয়ের হিসাবের কাগজপত্র আছে।

এদিকে, সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি জানাজানি হলে শহরজুড়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। আলমডাঙ্গার ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দুর্নীতির ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। তারা এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

এবার আলমডাঙ্গা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ

আপলোড টাইম : ১২:০০:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ অগাস্ট ২০২২

ভ্রাম্যমাণ প্রতিবেদক, আলমডাঙ্গা: আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পর এবার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে। সহকারী শিক্ষকদের প্রবল চাপের মুখে গত শনিবার প্রধান শিক্ষক নগদ তিন লাখ টাকা ফেরত দিয়েছেন। এদিকে, বিভিন্নভাবে তিনি আরও ৩১ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন বলে শিক্ষকরা দাবি করেছেন।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণ ঘোষণা হওয়ার পর প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খান বিভিন্ন দপ্তরে টাকা দেওয়ার নাম করে সহকারী শিক্ষকদের কাছ থেকে ৯ লাখ টাকা তোলেন বলে শিক্ষকরা অভিযোগ করেন।  সম্প্রতি এক সচিব আলমডাঙ্গার বাড়িতে বেড়াতে এলে শিক্ষকরা তাঁর সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। এসময় ওই সচিব শিক্ষকদের জানান, স্কুল সরকারি করতে কোনো দপ্তরে টাকা দিতে হয়নি। এ খবর জানার পর বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা ৯ লাখ টাকা প্রধান শিক্ষক আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ করে ওই টাকা ফেরত চান।

গত শনিবার (৩০ জুলাই) শিক্ষকরা সম্মিলিত হয়ে টাকার জন্য প্রধান শিক্ষকের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন। জোটবদ্ধ শিক্ষকদের রোষানল থেকে বাঁচতে এক নেতার মধ্যস্থতায় প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খান নগদ তিন লাখ টাকা ফেরত দিয়ে আপাতত মুক্তি পান। তবে শিক্ষকরা বলছেন, করোনাকালীন দুই বছর স্কুল বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভর্তি ও পরীক্ষা বাবদ প্রায় ২৪ লাখ টাকা কালেকশন করেছেন প্রধান শিক্ষক। এছাড়া প্রতি মাসে স্কুলের দোকান ভাড়া ৩৭ হাজার টাকারও কোনো হদিস নেই। শিক্ষকরা এসব টাকারও হিসাব চান।

তবে প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খান তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অতিরঞ্জিত বলে দাবি করেন। তিনি বলেছেন, স্কুল সংক্রান্ত ব্যয় সব শিক্ষকরা করেন। যার আয়-ব্যয়ের হিসাবের কাগজপত্র আছে।

এদিকে, সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি জানাজানি হলে শহরজুড়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। আলমডাঙ্গার ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দুর্নীতির ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। তারা এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।