ঈদ সামনে রেখে কামারদের কর্মব্যস্ততা
- আপলোড টাইম : ০২:৫৯:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুন ২০২৪
- / ৫৯ বার পড়া হয়েছে
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামার শিল্পের কারিগররা। এই ঈদে পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম প্রস্তুত করতে স্থানীয় কামাররা দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আগুনে পুড়িয়ে লোহা গরম করে পিটিয়ে ধারালো সরঞ্জাম তৈরি করছেন তারা। লোহা গলিয়ে তা হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে দা, বটি, ছুরি তৈরি করা হচ্ছে। যদিও এ কাজে এখনো আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি, পুরোনো পদ্ধতিতেই চলছে কাজ। লাল আগুনের লোহায় কামারদের পিটাপিটিতে মুখর হয়ে উঠেছে কামার দোকানগুলো। টুং টাং শব্দ এখন তাদের জন্য এক প্রকার ছন্দ।
ঐতিহ্যবাহী কামার শিল্প চিরকালই বাপ-দাদার পেশা হিসেবে ধরে রেখেছেন অনেকে। নিমাই কামারের ছেলে নীল কমল এবং সেনেরহুদা গ্রামের মণ্টু কামার বলেন, ‘আমাদের বাপ-দাদার আমল থেকে আমরা এই কাজের সাথে জড়িত। পরিশ্রমের তুলনায় এ পেশায় আয় ও সম্মান কম হলেও ঐতিহ্য ধরে রাখতে আমরা এই কাজ করে যাচ্ছি’। তারা বলেন, ‘কোরবানির ঈদের সময় আমাদের কাজের চাহিদা বেড়ে যায়। আবার ঈদ চলে গেলে আমাদের বসে থাকতে হয়, কাজ থাকে না। এভাবেই চলছে আমাদের সংসার ও জীবন-জীবিকা।’
সরেজমিনে দেখা যায়, জীবননগর উপজেলার উথলী শিয়ালমারী পশুহাটসহ বিভিন্ন বাজারে কামার শিল্পীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। অস্থায়ী দোকান দিয়ে কারিগরদের তৈরি এসব সরঞ্জাম সাজিয়ে রেখে বিক্রিও করা হচ্ছে। কারিগর ও বিক্রেতারা জানান, পশুর চামড়া ছাড়ানোর ছুরি ১০০ থেকে ২০০ টাকা, দা ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, বটি ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, পশু জবাইয়ের ছুরি ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা এবং চাপাতি ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
উথলী ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম কামারদের তৈরি সরঞ্জামের ক্রেতা হিসেবে জানান, ‘কোররবানির ঈদের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি, তাই আগেই পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম কেনার কাজটি সেরে ফেললাম। তবে অন্য বছরের চেয়ে এবার ছুরি, চাকু, কাটারির দাম একটু বেশি।’ এদিকে, কামার শিল্পের কারিগররা অভিযোগ করেন, কয়লার দাম ও লোহার দাম বেড়ে যাওয়ায় তাদের খরচ বেড়েছে। অপরদিকে ক্রেতারা অভিযোগ করছেন, ঈদের সময় দা, চাপাতি ও ছুরির দাম বেশি নেয়া হচ্ছে। ছুরি শান দেয়ার জন্য ৩৫ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত নেয়া হচ্ছে।