ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

ইয়ামিন হত্যা মামলার প্রধান আসামী গ্রেপ্তার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৬:১৮:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / ২৮ বার পড়া হয়েছে

মোজাম্মেল শিশির/এমআর মনি:

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কানাইডাঙ্গা গ্রামের ২য় শ্রেণির ছাত্র ইয়ামিন হোসেন (৮) হত্যা ঘটনার ৪০ ঘন্টা পর মামলার প্রধান আসামী জাহিদুল ওরফে জায়েদকে (১৬) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার ভোরের দিকে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ উপজেলার সীমান্তবর্তী চন্দ্রবাস গ্রামের একটি আমবাগান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। এসময় উদ্ধার করা হয়ে হত্যাকাজে ব্যবহৃত ধারালো দেশীয় অস্ত্র হাসোয়া। গতকালই তাকে চুয়াডাঙ্গা আদালতে প্রেরণ করা হয়।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শিশু ইয়ামিন হত্যা ঘটনার প্রধান আসামী জাহিদুল আগেই উপজেলার নাটুদাহ ইউনিয়নের চন্দ্রবাস নামক এলাকা দিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা ত্যাগ করে ভারতে পালানোর চেষ্টা করছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদের নেতৃত্বে মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মোল্লা সেলিম, এসআই আব্দুর রহমান, কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্পের এসআই আতিকুর রহমান জুয়েল সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গতকাল ভোরে এ অভিযান পরিচালনা করে। এসময় মামলার প্রধান আসামী কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের কানাইডাঙ্গা গ্রামের আশাদুল ইসলামের ছেলে জাহিদুল ওরফে জায়েদকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যানুযায়ী শিশু ইয়ামিন হত্যায় ব্যবহৃত হাসোয়া উদ্ধার করে পুলিশ।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্পের আইসি আতিকুর রহমান জুয়েল জানান, ‘আজ (গতকাল সোমবার) ভোররাতে উপজেলার সমীন্তবর্তী চন্দ্রবাস গ্রামের একটি আমবাগান থেকে অভিযুক্ত আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার স্বীকাররোক্তিতে দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ স্যার সকাল আটটার দিকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রটি উদ্ধারে যান। আসামী জাহিদুলের দেওয়া তথ্যমতে ঘটনাস্থলের পাশের একটি ঝোপের মধ্যে থেকে রক্তমাখা হাসোয়া উদ্ধার করা হয়।’

এবিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, ‘ভোর ৫টার দিকে অভিযান চালিয়ে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ উপজেলার সীমান্তবর্তী চন্দ্রবাস গ্রামের একটি আমবাগান থেকে হত্যাকান্ডের প্রধান আসামী ঘাতক জাহিদুলকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত জাহিদকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামীদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

উল্লেখ্য, গত শনিবার কানাইডাঙ্গা গ্রামে একটি আমবাগানে মুড়ি চানাচুর কেনার অবশিষ্ট ১০ টাকা খরচ করে ফেলে স্কুলছাত্র ইয়ামিন। টাকা ফেরৎ না পেয়ে ইয়ামিনকে গলাকেটে হত্যা করে পালিয়ে যায় কিশোর জাহিদুল। এ ঘটনায় গত রোববার নিহতের মা রিনা খাতুন বাদী হয়ে হত্যাকান্ডের প্রধান আসামী কানায়ডাঙ্গা গ্রামের আশদুল মেম্বারের ছেলে জাহিদুল, হত্যাকারী জাহিদের পিতা সাবেক ইউপি সদস্য আশাদুল হক ও জাহিদুলের চাচা তরিকুল ইসলাম, আলম বিশ্বাসের ছেলে ফারুক, আশাদুলের স্ত্রী ও জাহিদুলের ও মা সেলিনা খাতুন, শহিদুলের স্ত্রী পাখি খাতুনের নাম  উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক থাকলে পুলিশ আসামিদের আটক করার জন্য তৎপর হয়ে উঠে। অবশেষে গতকাল ভোর ৫টার দিকে চন্দ্রবাস গ্রাম থেকে জাহিদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ইয়ামিন হত্যা মামলার প্রধান আসামী গ্রেপ্তার

আপলোড টাইম : ০৬:১৮:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২

মোজাম্মেল শিশির/এমআর মনি:

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কানাইডাঙ্গা গ্রামের ২য় শ্রেণির ছাত্র ইয়ামিন হোসেন (৮) হত্যা ঘটনার ৪০ ঘন্টা পর মামলার প্রধান আসামী জাহিদুল ওরফে জায়েদকে (১৬) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার ভোরের দিকে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ উপজেলার সীমান্তবর্তী চন্দ্রবাস গ্রামের একটি আমবাগান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। এসময় উদ্ধার করা হয়ে হত্যাকাজে ব্যবহৃত ধারালো দেশীয় অস্ত্র হাসোয়া। গতকালই তাকে চুয়াডাঙ্গা আদালতে প্রেরণ করা হয়।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শিশু ইয়ামিন হত্যা ঘটনার প্রধান আসামী জাহিদুল আগেই উপজেলার নাটুদাহ ইউনিয়নের চন্দ্রবাস নামক এলাকা দিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা ত্যাগ করে ভারতে পালানোর চেষ্টা করছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদের নেতৃত্বে মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মোল্লা সেলিম, এসআই আব্দুর রহমান, কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্পের এসআই আতিকুর রহমান জুয়েল সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গতকাল ভোরে এ অভিযান পরিচালনা করে। এসময় মামলার প্রধান আসামী কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের কানাইডাঙ্গা গ্রামের আশাদুল ইসলামের ছেলে জাহিদুল ওরফে জায়েদকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যানুযায়ী শিশু ইয়ামিন হত্যায় ব্যবহৃত হাসোয়া উদ্ধার করে পুলিশ।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্পের আইসি আতিকুর রহমান জুয়েল জানান, ‘আজ (গতকাল সোমবার) ভোররাতে উপজেলার সমীন্তবর্তী চন্দ্রবাস গ্রামের একটি আমবাগান থেকে অভিযুক্ত আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার স্বীকাররোক্তিতে দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ স্যার সকাল আটটার দিকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রটি উদ্ধারে যান। আসামী জাহিদুলের দেওয়া তথ্যমতে ঘটনাস্থলের পাশের একটি ঝোপের মধ্যে থেকে রক্তমাখা হাসোয়া উদ্ধার করা হয়।’

এবিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, ‘ভোর ৫টার দিকে অভিযান চালিয়ে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ উপজেলার সীমান্তবর্তী চন্দ্রবাস গ্রামের একটি আমবাগান থেকে হত্যাকান্ডের প্রধান আসামী ঘাতক জাহিদুলকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত জাহিদকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামীদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

উল্লেখ্য, গত শনিবার কানাইডাঙ্গা গ্রামে একটি আমবাগানে মুড়ি চানাচুর কেনার অবশিষ্ট ১০ টাকা খরচ করে ফেলে স্কুলছাত্র ইয়ামিন। টাকা ফেরৎ না পেয়ে ইয়ামিনকে গলাকেটে হত্যা করে পালিয়ে যায় কিশোর জাহিদুল। এ ঘটনায় গত রোববার নিহতের মা রিনা খাতুন বাদী হয়ে হত্যাকান্ডের প্রধান আসামী কানায়ডাঙ্গা গ্রামের আশদুল মেম্বারের ছেলে জাহিদুল, হত্যাকারী জাহিদের পিতা সাবেক ইউপি সদস্য আশাদুল হক ও জাহিদুলের চাচা তরিকুল ইসলাম, আলম বিশ্বাসের ছেলে ফারুক, আশাদুলের স্ত্রী ও জাহিদুলের ও মা সেলিনা খাতুন, শহিদুলের স্ত্রী পাখি খাতুনের নাম  উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক থাকলে পুলিশ আসামিদের আটক করার জন্য তৎপর হয়ে উঠে। অবশেষে গতকাল ভোর ৫টার দিকে চন্দ্রবাস গ্রাম থেকে জাহিদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।