গতকাল ৮ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের গুরুত্ব শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে আলমডাঙ্গা উপজেলা, পৌর ও কলেজ ছাত্রদল। আলমডাঙ্গা চাতাল মোড়স্থ বাগানে দুপুর ২টায় আলোচনা সভা শুরুর প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়। আলোচনা সভায় বিএনপি ও ছাত্রদলের জেলা, উপজেলার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু সভা শুরুর পূর্বেই আলমডাঙ্গা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যন সালমুন আহমেদ ডনের নেতৃত্বে ৩০ থেকে ৪০ জন ছাত্রলীগের ক্যাডার বাহিনী সভাস্থলে ঢুকে চেয়ার, টেবিল ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ করেছে ছাত্রদল। গতকাল মঙ্গলবার রাতে চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক জুয়েল মাহমুদ স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদ বিবৃতিতে এসব জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের গুরুত্ব শীর্ষক আলোচনা সভায় আলমডাঙ্গা পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান রাজুকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং নেতাদেরকে অশ্লীল ভাষায় গালি দেয়। ছাত্রলীগের এই জঘন্য হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল চুয়াডাঙ্গা জেলা, উপজেলা, পৌর ও কলেজ ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ।

জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোমিন মালিতা, আলমডাঙ্গা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাহিদ হাসান শুভ, সদস্যসচিব আল ইমরান রাসেল, পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আতিক হাসনাত রিংকু ও কলেজ ছাত্রদলের সদস্যসচিব জাহাঙ্গীর আলম লিমন এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছেন, গোটা দেশের পরিবেশ বিনষ্ট করার ক্ষেত্রে ছাত্রলীগ তাদের অতীতের রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে। শিক্ষাঙ্গনসহ ছাত্রসমাজের কাছে আজ এক আতঙ্কের নাম ছাত্রলীগ। এমন কোনো অপকর্ম নেই যা ছাত্রলীগ করেনি। আলমডাঙ্গায় ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণভাবে ঘরোয়া পরিবেশে কর্মসূচি ছিল, সেখানেও ছাত্রলীগ হামলা করেছে। এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই, দোষীদের শাস্তির দাবি করছি। আলমডাঙ্গার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ যারা নষ্ট করতে চাইছে, তাদের বিষয়ে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। নিশ্চয় বারবার ছাত্রদল এই ধরনের ঘটনা কোনোভাবেই সহ্য করবে না। (বিবৃতি)