ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

আলমডাঙ্গায় আবু মুসা সভাপতি ও ইয়াকুব আলী মাস্টারকে সম্পাদক নির্বাচিত করে কমিটি ঘোষণা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৭:৫৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ মার্চ ২০২২
  • / ৩৩ বার পড়া হয়েছে

আলমডাঙ্গা উপজেলা আ.লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতা বি এম মোজাম্মেল হক

আলমডাঙ্গা অফিস:

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজ মাঠে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। পতাকা উত্তোলন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনে সূচনা করা হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান কাদির গনুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক। এ সম্মেলনের মাধ্যমে দীর্ঘ ১৮ বছর পর নতুন কমিটি পেল আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগ। নতুন কমিটিতে আবু মুছা সভাপতি ও ইয়াকুব আলী মাস্টারকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছে।

সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বি এম মোজাম্মেল হক বলেন, বারবার ষড়যন্ত্র হয়েছে। সকল ষড়যন্ত্রের বেড়াজাল ছিন্ন করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা এ দেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছি। আজকে বঙ্গবন্ধু নেই, বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে তাঁর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তোলার স্বপ্ন আমরা বাস্তবায়ন করবই করব।

সম্মেলনের উদ্বোধক এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের কোনো কর্মী যেন দলে ঢুকতে না পারে। আপনারা প্রত্যেক ইউনিয়ন, ওয়ার্ডসহ সকল অঙ্গসংগঠন তাদেরকে চিহ্নিত করুন। মনে রাখবেন, এরা সুযোগ পেলে আবারও দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করবে। ওরা আগুন সন্ত্রাসী, ওদের সাথে স্বাধীনতা বিরোধী, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের, যোগাযোগ আছে, সুযোগ পেলে তারা আবারও যেকোনো রকমের বড় দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে। এই চক্র জননেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রায় ১৯ বার হত্যা করার চেষ্টা করে, গ্রেনেড হামলা করে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছে। নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে হত্যা করার পিছনে মীর জাফরের হাত ছিল, তেমনি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পিছনে নব্য মীর জাফর খন্দকার মোশতাকের হাত ছিল। তাই মীর জাফরদের থেকে সাবধানে থাকবেন।’

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সদস্য পারভীন জামান কল্পনা, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ, চুয়াডাঙ্গা- ২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হাজি আলী আজগর টগর ও যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল মজিদ।

এছাড়াও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খুস্তার জামিল, অ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ, প্রশান্ত অধিকারী, নজরুল ইসলাম মল্লিক, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, মাসুদুজ্জামান লিটু বিশ্বাস ও সামসুজ্জোহা।

আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টারের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট বিল্লাল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক অ্যাড. আবু তালেব, প্রচার সম্পাদক শওকত আলী, দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক কাজী শহিদুল ইসলাম, জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল, দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু, দর্শনা পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান, আলমডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান ফারুক, জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক আরেফিন আলম রঞ্জু, আব্দুল কাদের, সিরাজুল ইসলাম আসমান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী কাকলি, আফরোজা, কুমারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সাঈদ পিণ্টু, জামজামি ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, নাগদাহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হায়েত আলী, বাড়াদি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মকবুল হোসেন, আলমডাঙ্গা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. সালমুন আহম্মেদ ডন, আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আশরাফুল হক প্রমুখ।

আলোচনা সভা শেষে বিকেল পাঁচটায় সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে শুরু হয়। দ্বিতীয় অধিবেশনে সাবজেক্ট কমিটির সভা শেষে সর্বসম্মতিক্রমে আবু মুছাকে সভাপতি ও ইয়াকুব আলী মাস্টারকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে কমিটি ঘোষণা করেন প্রধান অতিথি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

আলমডাঙ্গায় আবু মুসা সভাপতি ও ইয়াকুব আলী মাস্টারকে সম্পাদক নির্বাচিত করে কমিটি ঘোষণা

আপলোড টাইম : ০৭:৫৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ মার্চ ২০২২

আলমডাঙ্গা উপজেলা আ.লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতা বি এম মোজাম্মেল হক

আলমডাঙ্গা অফিস:

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজ মাঠে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। পতাকা উত্তোলন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনে সূচনা করা হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান কাদির গনুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক। এ সম্মেলনের মাধ্যমে দীর্ঘ ১৮ বছর পর নতুন কমিটি পেল আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগ। নতুন কমিটিতে আবু মুছা সভাপতি ও ইয়াকুব আলী মাস্টারকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছে।

সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বি এম মোজাম্মেল হক বলেন, বারবার ষড়যন্ত্র হয়েছে। সকল ষড়যন্ত্রের বেড়াজাল ছিন্ন করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা এ দেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছি। আজকে বঙ্গবন্ধু নেই, বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে তাঁর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তোলার স্বপ্ন আমরা বাস্তবায়ন করবই করব।

সম্মেলনের উদ্বোধক এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের কোনো কর্মী যেন দলে ঢুকতে না পারে। আপনারা প্রত্যেক ইউনিয়ন, ওয়ার্ডসহ সকল অঙ্গসংগঠন তাদেরকে চিহ্নিত করুন। মনে রাখবেন, এরা সুযোগ পেলে আবারও দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করবে। ওরা আগুন সন্ত্রাসী, ওদের সাথে স্বাধীনতা বিরোধী, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের, যোগাযোগ আছে, সুযোগ পেলে তারা আবারও যেকোনো রকমের বড় দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে। এই চক্র জননেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রায় ১৯ বার হত্যা করার চেষ্টা করে, গ্রেনেড হামলা করে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছে। নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে হত্যা করার পিছনে মীর জাফরের হাত ছিল, তেমনি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পিছনে নব্য মীর জাফর খন্দকার মোশতাকের হাত ছিল। তাই মীর জাফরদের থেকে সাবধানে থাকবেন।’

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সদস্য পারভীন জামান কল্পনা, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ, চুয়াডাঙ্গা- ২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হাজি আলী আজগর টগর ও যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল মজিদ।

এছাড়াও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খুস্তার জামিল, অ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ, প্রশান্ত অধিকারী, নজরুল ইসলাম মল্লিক, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, মাসুদুজ্জামান লিটু বিশ্বাস ও সামসুজ্জোহা।

আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টারের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট বিল্লাল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক অ্যাড. আবু তালেব, প্রচার সম্পাদক শওকত আলী, দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক কাজী শহিদুল ইসলাম, জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল, দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু, দর্শনা পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান, আলমডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান ফারুক, জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক আরেফিন আলম রঞ্জু, আব্দুল কাদের, সিরাজুল ইসলাম আসমান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী কাকলি, আফরোজা, কুমারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সাঈদ পিণ্টু, জামজামি ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, নাগদাহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হায়েত আলী, বাড়াদি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মকবুল হোসেন, আলমডাঙ্গা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. সালমুন আহম্মেদ ডন, আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আশরাফুল হক প্রমুখ।

আলোচনা সভা শেষে বিকেল পাঁচটায় সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে শুরু হয়। দ্বিতীয় অধিবেশনে সাবজেক্ট কমিটির সভা শেষে সর্বসম্মতিক্রমে আবু মুছাকে সভাপতি ও ইয়াকুব আলী মাস্টারকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে কমিটি ঘোষণা করেন প্রধান অতিথি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক।