আলমডাঙ্গা অফিস:

আলমডাঙ্গায় সঙ্ঘবদ্ধ ডাকাতদের হামলায় দুই পুলিশ সদস্য রক্তাক্ত জখম হয়েছেন। গত মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে আলমডাঙ্গা রেল স্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় চাপাতিসহ আটক করা হয়েছে সুমন (৪৫) নামের এক ডাকাতকে।

জানা যায়, মঙ্গলবার দিবাতগ রাত আড়াইটার দিকে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ জানতে পারে রেলস্টেশন কলোনীর নির্মাণাধীন এক ভবনে ডাকাতির উদ্দেশ্যে কয়েকজন ব্যক্তি একত্রিত হয়ে পরিকল্পনা করছে। খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা থানার এসআই শরিয়তুল্লাহ ও এসআই সুমন্ত ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় ডাকাত দলেল অন্য সদস্যরা পালিয়ে গেলেও আলমডাঙ্গা শহরের সোনাপট্টির সুমন নামে এক ডাকাত সদস্য দুই পুলিশের ওপর হামলা করেন। সুমন আধলা ইট দিয়ে দুই পুলিশ অফিসারের ওপর উপর্যূপুরি হামলা করে দুজনকেই মারাত্মক জখম ও ধরাশায়ী করেন। তাঁরা যখন মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তখন ত্রাতা হয়ে উপস্থিত হন কনস্টেবল ওবাইদুর রহমান। তাঁর হাতে থাকা রড দিয়ে তিনি বেপরোয়া ডাকাত সুমনের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। উপর্যুপুরি পিটুনি খেয়ে সুমন মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাঁকে আটক করা হয়। সে সময় তাঁর ব্যাগ থেকে ২টি চাপাতি, একটা সেলাই র‌্যান্স ও ১টি কার্টার প্লাস উদ্ধার করা হয়। আহত দুই এসআইকে উদ্ধার করে হারদী স্বাস্থ কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অভিযান চালিয়ে সুমন নামের এক ডাকাতকে আটক করা হয়ে। এসময় তাদের হামলায় দুই এসআই মারাত্মক জখম হয়েছেন। পালিয়ে যাওয়া ডাকাতদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

উল্লেখ্য, গত ৩ এপ্রিল রাতে আলমডাঙ্গার গোবিন্দপুর এলাকায় এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে তার ইজিবাইক ছিনতাই করে নিয়ে যায় সঙ্ঘবদ্ধ ডাকাতেরা। এ ঘটনায় থানা পুলিশ জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে মরিয়া হয়ে মাঠে নেমেছে। বিভিন্ন এলাকায় পুলিশি অভিযান অব্যাহত রেখেছে। গত ৭ এপ্রিল পুলিশ পাবনা থেকে আলমডাঙ্গার দোয়ারপাড়ার আশরাফুল ইসলামকে আটক করে। পরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ ছিনতাই ও ডাকাতি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারে। তারই ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।