ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

আলমডাঙ্গার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব শরীফ

হিন্দু-মুসলিম ভাই ভাই, এখানে কোনো ভেদাভেদ নাই

ভ্রাম্যমাণ প্রতিবেদক, আলমডাঙ্গা:
  • আপলোড টাইম : ০৪:৪৫:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪
  • / ২০ বার পড়া হয়েছে

আলমডাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব শরীফুজ্জামান শরীফ। গতকাল শুক্রবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে আলমডাঙ্গা পৌরসভা, কালিদাসপুর, হারদী, কুমারী গ্রামের বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরির্দশন করেন।

এসময় শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, ‘ধর্ম যার যার, দেশ সবার, সবাই আমরা মানুষ, সবাই আমরা বাংলাদেশি। হিন্দু-মুসলিম সকলেই ভাই ভাই, এখানে কোনো ভেদাভেদ নাই। যদি কোনো ব্যক্তি বা দল ভেদাভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করে, তবে তাদের চেষ্টাকে কঠোর হস্তে প্রতিহত করা হবে। ইতিপূর্বে দুর্গাপূজা যেভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে, এবারেও তার থেকে বেশি আনন্দঘন পরিবেশে স্বতঃস্ফূর্তভাবে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পূজা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এতে যদি কেউ কোনো প্রকার বাঁধার সৃষ্টি করে, তবে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই দুর্গা উৎসবে মানুষের নির্বিঘ্নে চলাচল ও নিরাপত্তা রক্ষায় ছাত্রদল-যুবদল সকলের সমন্বয়ে প্রতিটি পূজামণ্ডপে একটি করে স্বেচ্ছাসেবক কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা পূজামণ্ডপের বাইরে দাঁড়িয়ে মানুষের সেবাই কাজ করছে। এই দুর্গা উৎসবে সনাতন ধর্মীরা মন খুলে আনন্দ করছে, আমি এতেই খুশি।’ এসময় তিনি বিভিন্ন পূজামণ্ডপের নানা সমস্যার কথা শোনেন এবং সমাধানের আশ্বাস দেন।

এসময় তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের যে কোনো সমস্যায় আপনারা সরাসরি আমার সাথে যোগাযোগ করবেন। মনে রাখবেন, সবসময় আপনাদের পাশে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ছিল, আছে এবং থাকবে, সেই সাথে আমি সবসময় আপনাদের পাশে আছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের যদি কেউ সংখ্যালঘু বলে তা হলে আপনারা সাথে সাথে তার প্রতিবাদ করবেন। কারণ বাংলাদেশে সংখালঘু বলে কোনো শব্দ নেই, থাকবে না। এই দেশ সম্প্রীতির দেশ, এই দেশ আপনার আমার সবার, আমরা সবাই বাংলাদেশি।’

পূজামণ্ডপ পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত কুমার সিংহ রায়, আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি আজিজুর রহমান পিণ্টু, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান ওল্টু, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সদস্য এমদাদুল হক ডাবু, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিন্দ্রনাথ দত্ত, সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ সাধু খাঁ, জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সদস্য হিরালাল দোবে, পরিমল কুমার ঘোষ কালু, আলমডাঙ্গা রথযাত্রা কমিটির সভাপতি সুশীল কুমার ভৌতিকা, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হেমন্ত কুমার সিংহ রায়, হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের প্রতিনিধি অসীম কুমার সাহা, আলমডাঙ্গা পৌর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি লিপন কুমার বিশ্বাস, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, পৌর বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক মহাবুল হক, পৌর ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুর রশিদ মালিথা, উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মীর আসাদুজ্জামান উজ্জ্বল, সদস্যসচিব রফিকুল ইসলাম, পৌর যুবদলের সদস্যসচিব সাইফুদ্দিন কনক, যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার আব্দুল কাদের, হাফিজুর রহমান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক এমদাদ হোসেন, সদস্যসচিব রাজিব আহমেদ রাজু, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের কামরুজ্জামান হিমেল, সদস্যসচিব জাকারিয়া ইসলাম শান্ত, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাহিদ হাসান শুভ, সদস্যসচিব আল ইমরান রাসেল, পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আতিক হাসান রিংকু, সদস্যসচিব মাহমুদুল হাসান তন্ময়, যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান রাজুসহ উপজেলা, পৌর ও ওয়ার্ড বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মী এবং ৩১টি পূজা মন্দিরের সভাপতি-সম্পাদক।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

আলমডাঙ্গার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব শরীফ

হিন্দু-মুসলিম ভাই ভাই, এখানে কোনো ভেদাভেদ নাই

আপলোড টাইম : ০৪:৪৫:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪

আলমডাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব শরীফুজ্জামান শরীফ। গতকাল শুক্রবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে আলমডাঙ্গা পৌরসভা, কালিদাসপুর, হারদী, কুমারী গ্রামের বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরির্দশন করেন।

এসময় শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, ‘ধর্ম যার যার, দেশ সবার, সবাই আমরা মানুষ, সবাই আমরা বাংলাদেশি। হিন্দু-মুসলিম সকলেই ভাই ভাই, এখানে কোনো ভেদাভেদ নাই। যদি কোনো ব্যক্তি বা দল ভেদাভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করে, তবে তাদের চেষ্টাকে কঠোর হস্তে প্রতিহত করা হবে। ইতিপূর্বে দুর্গাপূজা যেভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে, এবারেও তার থেকে বেশি আনন্দঘন পরিবেশে স্বতঃস্ফূর্তভাবে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পূজা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এতে যদি কেউ কোনো প্রকার বাঁধার সৃষ্টি করে, তবে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই দুর্গা উৎসবে মানুষের নির্বিঘ্নে চলাচল ও নিরাপত্তা রক্ষায় ছাত্রদল-যুবদল সকলের সমন্বয়ে প্রতিটি পূজামণ্ডপে একটি করে স্বেচ্ছাসেবক কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা পূজামণ্ডপের বাইরে দাঁড়িয়ে মানুষের সেবাই কাজ করছে। এই দুর্গা উৎসবে সনাতন ধর্মীরা মন খুলে আনন্দ করছে, আমি এতেই খুশি।’ এসময় তিনি বিভিন্ন পূজামণ্ডপের নানা সমস্যার কথা শোনেন এবং সমাধানের আশ্বাস দেন।

এসময় তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের যে কোনো সমস্যায় আপনারা সরাসরি আমার সাথে যোগাযোগ করবেন। মনে রাখবেন, সবসময় আপনাদের পাশে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ছিল, আছে এবং থাকবে, সেই সাথে আমি সবসময় আপনাদের পাশে আছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের যদি কেউ সংখ্যালঘু বলে তা হলে আপনারা সাথে সাথে তার প্রতিবাদ করবেন। কারণ বাংলাদেশে সংখালঘু বলে কোনো শব্দ নেই, থাকবে না। এই দেশ সম্প্রীতির দেশ, এই দেশ আপনার আমার সবার, আমরা সবাই বাংলাদেশি।’

পূজামণ্ডপ পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত কুমার সিংহ রায়, আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি আজিজুর রহমান পিণ্টু, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান ওল্টু, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সদস্য এমদাদুল হক ডাবু, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিন্দ্রনাথ দত্ত, সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ সাধু খাঁ, জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সদস্য হিরালাল দোবে, পরিমল কুমার ঘোষ কালু, আলমডাঙ্গা রথযাত্রা কমিটির সভাপতি সুশীল কুমার ভৌতিকা, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হেমন্ত কুমার সিংহ রায়, হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের প্রতিনিধি অসীম কুমার সাহা, আলমডাঙ্গা পৌর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি লিপন কুমার বিশ্বাস, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, পৌর বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক মহাবুল হক, পৌর ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুর রশিদ মালিথা, উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মীর আসাদুজ্জামান উজ্জ্বল, সদস্যসচিব রফিকুল ইসলাম, পৌর যুবদলের সদস্যসচিব সাইফুদ্দিন কনক, যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার আব্দুল কাদের, হাফিজুর রহমান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক এমদাদ হোসেন, সদস্যসচিব রাজিব আহমেদ রাজু, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের কামরুজ্জামান হিমেল, সদস্যসচিব জাকারিয়া ইসলাম শান্ত, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাহিদ হাসান শুভ, সদস্যসচিব আল ইমরান রাসেল, পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আতিক হাসান রিংকু, সদস্যসচিব মাহমুদুল হাসান তন্ময়, যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান রাজুসহ উপজেলা, পৌর ও ওয়ার্ড বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মী এবং ৩১টি পূজা মন্দিরের সভাপতি-সম্পাদক।