ইপেপার । আজ সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

আলমডাঙ্গার পাইকপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির সংবাদ সম্মেলন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:০৮:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর ২০২২
  • / ২৫ বার পড়া হয়েছে

ভ্রাম্যমাণ প্রতিবেদক, আলমডাঙ্গা: আলমডাঙ্গার পাইকপাড়া জনকল্যাণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পূর্বের অনিয়ম ধামাচাপা দিতে বিগত নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি ষড়যন্ত্র করছে এমন অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান জমির। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মিজানুর রহমান জমির।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আলমডাঙ্গার পাইকপাড়া জনকল্যাণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বর্তমান ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচন নিয়ে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা সঠিক নয়। বিধি মোতাবেক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভাপতি নির্বাচনে প্রধান শিক্ষকের ভোট আবশ্যক না হওয়ায় রেজ্যুলেশনে তাঁর স্বাক্ষর নেই। তবে অন্যান্য সকল কাগজে তাঁর স্বাক্ষর রয়েছে। প্রধান শিক্ষকের আবেদনের প্রেক্ষিতে যশোর শিক্ষাবোর্ড বর্তমান কমিটি অনুমোদন দিয়েছে।

বর্তমান কমিটি বিদ্যালয়ের কল্যাণ ও উন্নতির জন্য যা করণীয় বিধি মোতাবেক সেই কর্মকাণ্ড পরিচালিত করছে। বিদ্যালয়ে নিয়োগ সংক্রান্ত যে অভিযোগ করা হয়েছে, তাও মিথ্যা। ম্যানেজিং কমিটির সকল সদস্যের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে, যা প্রধান শিক্ষক অবগত আছেন। সভাপতি এককভাবে কখনই নিয়োগ দিতে পারেন না। প্রার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে নিয়োগ বোর্ড গঠন করে স্বচ্ছতার সাথে পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত প্রার্থীকেই নিয়োগ দেওয়া হবে। এখানে নিয়োগ বাণিজ্যের কোনো সুযোগ নেই।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠনে প্রধান শিক্ষককে চাপ প্রয়োগ ও হুমকি-ধামকি দেওয়ার বিষয়টিও মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। যদি এমন কোনো ঘটনা ঘটত, তাহলে এতদিন প্রশাসনকে কেন জানানো হয়নি। এ ব্যাপারে কোথাও কোনো অভিযোগ দেয়নি কেন? কারণ এ ধরণের অভিযোগ সঠিক নয়। শুধুমাত্র বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়।

এসব করার একটি কারণ সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান শামীম ও সদস্যরা সৃষ্ট পদে নিয়োগ প্রদানের জন্য প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে রেখেছে। এখন কমিটিতে না আসতে পারায় অবৈধ নিয়োগ দিতে পারছে না। এ কারণে বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন। যা মোটেও সঠিক নয়। অভিযোগটি যশোর শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক তদন্ত চলমান রয়েছে। আশা করি তদন্তের মাধ্যমেই সত্য প্রমাণিত হবে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি উল্লেখ করেন, বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অসত্য প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

আলমডাঙ্গার পাইকপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির সংবাদ সম্মেলন

আপলোড টাইম : ০৯:০৮:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর ২০২২

ভ্রাম্যমাণ প্রতিবেদক, আলমডাঙ্গা: আলমডাঙ্গার পাইকপাড়া জনকল্যাণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পূর্বের অনিয়ম ধামাচাপা দিতে বিগত নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি ষড়যন্ত্র করছে এমন অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান জমির। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মিজানুর রহমান জমির।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আলমডাঙ্গার পাইকপাড়া জনকল্যাণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বর্তমান ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচন নিয়ে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা সঠিক নয়। বিধি মোতাবেক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভাপতি নির্বাচনে প্রধান শিক্ষকের ভোট আবশ্যক না হওয়ায় রেজ্যুলেশনে তাঁর স্বাক্ষর নেই। তবে অন্যান্য সকল কাগজে তাঁর স্বাক্ষর রয়েছে। প্রধান শিক্ষকের আবেদনের প্রেক্ষিতে যশোর শিক্ষাবোর্ড বর্তমান কমিটি অনুমোদন দিয়েছে।

বর্তমান কমিটি বিদ্যালয়ের কল্যাণ ও উন্নতির জন্য যা করণীয় বিধি মোতাবেক সেই কর্মকাণ্ড পরিচালিত করছে। বিদ্যালয়ে নিয়োগ সংক্রান্ত যে অভিযোগ করা হয়েছে, তাও মিথ্যা। ম্যানেজিং কমিটির সকল সদস্যের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে, যা প্রধান শিক্ষক অবগত আছেন। সভাপতি এককভাবে কখনই নিয়োগ দিতে পারেন না। প্রার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে নিয়োগ বোর্ড গঠন করে স্বচ্ছতার সাথে পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত প্রার্থীকেই নিয়োগ দেওয়া হবে। এখানে নিয়োগ বাণিজ্যের কোনো সুযোগ নেই।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠনে প্রধান শিক্ষককে চাপ প্রয়োগ ও হুমকি-ধামকি দেওয়ার বিষয়টিও মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। যদি এমন কোনো ঘটনা ঘটত, তাহলে এতদিন প্রশাসনকে কেন জানানো হয়নি। এ ব্যাপারে কোথাও কোনো অভিযোগ দেয়নি কেন? কারণ এ ধরণের অভিযোগ সঠিক নয়। শুধুমাত্র বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়।

এসব করার একটি কারণ সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান শামীম ও সদস্যরা সৃষ্ট পদে নিয়োগ প্রদানের জন্য প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে রেখেছে। এখন কমিটিতে না আসতে পারায় অবৈধ নিয়োগ দিতে পারছে না। এ কারণে বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন। যা মোটেও সঠিক নয়। অভিযোগটি যশোর শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক তদন্ত চলমান রয়েছে। আশা করি তদন্তের মাধ্যমেই সত্য প্রমাণিত হবে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি উল্লেখ করেন, বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অসত্য প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।